মঙ্গলবার, ৫ ডিসেম্বর, ২০১৭

উপহার

 
                      উপহার
        ◆তরিকুল ইসলাম খালাসী◆
              মধ্যবেনা, বাদুড়িয়া 

জ্ঞান শব্দের অর্থ কি 
জ্ঞানীরা বোঝে, 
তাই তো জ্ঞানীরা অনেক কিছু 
পায় খুঁজে ।

অনেক কিছু জানার পরে কি আর 
মানুষ মুর্খ‍ থাকতে পারে ?
না জেনেই মানুষ 
মু্র্খামী করে ।

আচ্ছা!মানুষ যে সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ
এই কথা কি গেছে ভুলে ?
তাহলে চিন্তা চেতনা 
রেখেছে কোথায় তুলে !

কেউ জল বা ওয়াটার
কেউ বলে পানি 
ভাষা পার্থক‍্য থাকতেই পারে
এই নিয়েই কেন হানাহানি ।


জ্ঞানীদের মতো জ্ঞান অর্জন করার
তুমিও রাখো অধিকার, 
তুমিও হতে পারো শহীদ কুতুব 
সালাউদ্দীন ওমর মোক্তার ।

তুমিও যে মানুষ রাখতে হবে
স্মরণ বারবার 
স্রষ্টার পক্ষ থেকে 
তুমিও এক সমাজের উপহার ।

নচেৎ তুমি মানুষ বটে 
মানুষের মতো নয় জীবন 
এমনটা হয় যদি মনে রেখো 
একদিন হবে অবসান ।।
              =====

রবিবার, ১৫ অক্টোবর, ২০১৭

গান:- আয়রে আয় পাখি

                 আয়রে আয় পাখি
         মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
                মধ‍্যবেনা,বাদুড়িয়া

(বাঁচ্চাদের গান)
আয়রে আয় পাখি
নতুন দিনে নতুন সুরে গান গাইতে ডাকি । 2
তোমার দুটি ডানা
আজকে হবে সবার কাছে তুমিই জানাশোনা । 2
তাই তো তোমায় ডাকি
তোমার ছবি আঁকি, 2
তুমি নতুন দিনের নতুন পাখির ছানা ।
আজকে হবে সবার কাছে তুমিই জানাশোনা । 2

আয়রে আয় পাখি  2

আজকের দিনে একা নয়
ঝাঁকে ঝাঁকে থাকতে হয়, 2
একসাথে এক সুরে গান গাইবো মোরা সবাই । 2
চল্ যেতে হয় যাবো দূরে  2
 আমরা পাখির ছানা ।
আজকে হবে সবার কাছে তুমিই জানাশোনা ।2

আয়রে আয় পাখি  2

আমরা কঁচি আমরা পাখি
আমরা ভবিষ‍্যৎ,
নতুন দিনে নতুন কথায় আজ নিলাম শপথ । 2
নতুন দিনে নতুন গানে  2
জানা হলো অজানা ।
আজকে হবে সবার কাছে তুমিই জানাশোনা  ।2

আয়রে আয় পাখি........।।

                       ▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪
১৬/১০/২০১৭
সময়:- ১১টা ১০মিঃ
লেখা:- চারা তুলতে গিয়ে
চারা খেতেই বসে ।


শুক্রবার, ১৩ অক্টোবর, ২০১৭

কবিতা:- শিক্ষিত সমাজ চাই

             শিক্ষিত সমাজ চাই
       তরিকুল ইসলাম খালাসী 
            মধ‍্য-বেনা,বাদুড়িয়া

আমি খরাপ আমার সাথে ওদের
তুলোনা করোনা
ভালো যে তাকে
মর্যাদা দাও ।

আমি নির্বোধ
আমার মতো মূর্খ
এই সমাজে রেখো না
ওদের কে শিক্ষিত বানাও ।


আমি দেখতে চাই আমার ছেলে
আমার ভাই থাকবে পাহারায়
সুস্থ‍্য সমাজ গড়ে উঠুক
এই দুনিয়ায় ।

ওদের বোধ শক্তি নাই
ব‍্যবহার
হায়নার মতো হয়
এটা কি মানুষের পরিচয় ?

আলো থাকলে কালোর সাথে
সংঘর্ষ হবেই
মোদের ব‍্যবহারে মুগ্ধ হলে
ওরাও ভালো হয়ে যাবেই ।

ওরা যেন রক্ত নিয়ে না খেলে
শিক্ষিত বলে
শিক্ষার মর্যাদা তবেই পাবে
শিক্ষিত পেলে ।

এসো একটাই স্লোগান হোক মোদের
শিক্ষিত সমাজ চাই
শিক্ষিত সমাজ পেলে
সব কিছু হবে জয় ।।

               সমাপ্ত
০৮/০৮/২০১৭
সময়:- ১২:৪৮pm
লেখা:- বাড়িতেই বসে
উত্তর ২৪ পরগনা

গান:- নদী ও নদী

                   ।।। নদী ও নদী ।।।
             মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
                    মধ‍্যবেনা, বাদুড়িয়া

(বাঁচ্চাদের গান)
নদী ও নদী
তুমি থাকতে আমার বাড়ির পাশে যদি,
ধরতাম আমি মাছ
ছুড়তাম আমি ঢিল
আনন্দ উল্লাসে ভর তো আমার মন ।

নদী ও নদী....

নদী তোমার বুকে চলে নৌ
নদী তোমার ভালো লাগে ঢেউ ।
নদী তোমার গর্ভে আছে রঙবেরঙ্গের মাছ
নদী তোমার পাড়ে আছে নানান রকম গাছ ।
তাই দেখিতে ছুটে আসি
ওরে নদী শোন ।

নদী ও নদী.......

নদী তোমার আঁকাবাঁকা পথে যেতে
ভালো লাগে ওই সুমদ্র পাড়ি দিতে ।
নদী তোমার ভালো লাগে আষাঢ় শ্রাবণ
নদী তোমার ভালো লাগে যখন ওঠে বান ।
তাই সকাল বিকাল দেখতে আসি
আমরা বন্ধু স্বজন ।

নদী ও নদী.....….।

বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

গান:- ঈদ তুমি

          ঈদ তুমি
মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
      মধ‍্যবেনা,বাদুড়িয়া

ঈদ তুমি জড়িয়ে ধরো
     রক্ত মাখা মানুষটারে
         ঈদ তুমি আনন্দ দাও
           দুঃখিনী মায়ের অন্তরে ।

             ভালোবাসা কাছে আসা
          ঈদ তুমি শিখিয়ে দাও
     জীবনের যে মূল‍্য আছে
সকলেরই বুঝিয়ে দাও ।

ঈদ তুমি একা নও
         সকল মানবের
         ঈদ তুমি ধ্বংস করো
                          এই জালিমের ।

                ঈদ তুমি ভালোবাসো
          বঞ্চিত ভায়েদের
     ঈদ তুমি পাহারা দাও
মানব জীবনের ।।
                 সমাপ্ত 

কবিতা:- তুমি থাকতে

                  তুমি থাকতে
       মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
             মধ‍্যবেনা,বাদুড়িয়া

যারা মানুষের রক্ত নিয়ে খেলে হোলি
যখন তখন যার তার দেয় বলি
এদের জন‍্য নয় এই দেশের মাটি
আজ এদের হাতেই কেন শাসন কাটি?

তুমি শান্তি প্রিয়... রক্ত দাও
তোমার রক্তে ওরা খেলবে হোলি
তুমি এটাও জানো এবং মানো
ভরা বুক ওরা করবে খালি ।

তুমি মানুষ তারাও মানুষ
শুধু পার্থক‍্য মানুসিকতার
তুমি মানুষ মানুষের কল‍্যাণে
ওরা রূপ নেয় হায়নার ।

তুমি স্বার্থ‍পর ছাড়া মানুষ হতে পারো
দেশের জন্য জীবনটাও দিতে পারো
জীবনের মায়া কাঁন্নায় কাঁনতে নাহি জানো
তুমি থাকতে ওদের হাতে দেশটি কেন?

                      সমাপ্ত

গান:- মানুষ রূপে হায়না

        মানুষ রূপের হায়না
মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
       মধ‍্যবেনা,বাদুড়িয়া
গান....
দু-পায়ে জন্তু দেখতে মানুষ ।     2বার
ওরা মানুষ সেজে মানুষের রক্ত চোষে ।   2বার
ওরাই আবার নাকি সভ‍্য মানুষ !

দু-পায়ে জন্তু দেখতে মানুষ ।     2বার

ওরা মানুষ রূপের হায়না          /
মানুষের রক্ত ছাড়া বাঁচে না । /    2বার
ধর্ম নিয়ে খেলে ধর্ম খেলা,        2বার
মানুষ মারা ছাড়া বোঝেনা ।
ওরাই আবার নবেল জয়ী,      2বার
এইতো দুনিয়ার কান্ডখানা ।

দু-পায়ে জন্তু...... ।   2বার

ওরা মানুষ মেরে কুকুরের খাওয়ায়   /
মানুষের জীবনের দাম নাহি দেয় । / 2বার
ওরা মানুষের থেকেই জন্ম নিয়ে, 2বার
পশুদের মতো দেয় পরিচয় ।
ওরাই আবার মানব দরদী,     2বার
হায়রে হায় এ কি জামানা ।

দু-পায়ে জন্তু.......2বার
ওরা মানুষ সেঁজে.........    2বার
ওরাই আবার নাকি সভ‍্য মানুষ ।
দু-পায়ে জন্তু.... ।। 2বার
              সমাপ্ত


































গান:- আমরা রোহিঙ্গা

আমরা রোহিঙ্গা আমরা আরাকান
     তরিকুল ইসলাম খালাসী 
           মধ‍্যবেনা,বাদুড়িয়া
১৯/০৯/২০১৭
গান...
কে শুনবে
আমাদের কাঁন্নার কন্ঠ !
কে বুঝবে
আমাদের কষ্ট !
আমরা রহিঙ্গা
আমরা আরাকান
আমাদের অপরাধ
আমরা মুসলমান ।

কে খোঁজ নেবে আজ
আমরা কোথায় আছি
মানুষ হয়েও মোরা আজ
মানুষ হয়ে নাহি বাঁচি ।
বিশ্ব বিবেক
নিরব এখন
আমাদের অপরাধ
আমরা মুসলমান ।
        সমাপ্ত

কবিতা:- মানুষ তুমি

   
                   মানুষ তুমি
          মোঃ তরিকুল ইসলাম খালাসী 
                মধ‍্যবেনা,বাদুড়িয়া

মানুষ তুমি
সাদা কালোর বিচার করো ।
বলো তো তোমায়
এই ক্ষমতা কে দিলো ?

মানুষ তুমি পর-কে কাছে টানে
আপনকে দূরে ঠেলো ।
বলো তো এমন আচারণ
তোমায় কে শেখালো ?

মানুষ তুমি ভালো কে দূরে ফেলে
খারাপটারে গ্রহণ করো ।
তুমি আমায় বলবে
এমনটা কেন করো ?

মানুষ
তুমি না শ্রেষ্ঠ জীব ?
সে কথাও ভুলে গিয়ে
নিভিয়ে দিতে চাও প্রদীপ ?

মানুষ তোমার আচারণে
পশুরাও লজ্জা পায়
এই অপমান আর কতো দিন
সইবে ভাই ?

মানুষ এসো মোরা সকলেই
বিবেকের দরজা খুলি ।
হানাহানি মারামারি আর
হিংসা কে ভুলি ।।

              সামাপ্ত
26/07/2017
সময়:-07:17am
লেখা:-বাড়িতেই বসে
উত্তর 24 পরগনা

বৃহস্পতিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭

গান:- কঠিণ বাঁধা

                   কঠিণ বাঁধা
        মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
               মধ‍্যবেনা,বাদুড়িয়া
২৭/০৮/২০১৭
সত‍্য কথা বলবো মোরা
সত‍্যের পথে চলবো ।
এই পথে বাঁধা দিলে কেউ
মোরা রুখে দাঁড়াবো ।

ভয় করিনা আল্লাহ ছাড়া
আল্লাহু আকবর বলবো ।
সৎ নেতার নেতৃত্ত মেনে
এই সমাজে কাজ করবো ।

শপথ মোদের অন‍্য কিছু নয়
জালিমের বিরুদ্ধে লড়বো ।
হিংসা বিভেদ মার কাটাকাটি
সব কিছু কেই ভুলবো ।

আকাশ ভেঙে পড়লেও বাজ
তবু এই পথ নাহি ছাড়বো ।
সত‍্য আর মিথ‍্যাকে মোরা
সব সময় বাঁছাই করে চলবো ।

মানুষ সবাই রক্তের ভাই
আমরা পরকেও আপন করবো ।
বিপদ আপদ মুসিবতের সময়
মানুষের পাশেই থাকবো ।

এই শপথ মোদের এই অঙ্গীকার
কবুল করো প্রভূ
কঠিণ বাঁধা অতিক্রম করে যেন
হাসিতে পারি তবু ।।

                  সমাপ্ত

গান:- কুরবানী

                    কুরবানী
       তরিকুল ইসলাম খালাসী
             মধ‍্যবেনা,বাদুড়িয়া

কুরবানী রে কুরবানী
আত্মত‍্যগের মাস জানি ।
এই মাসেতে মনের পশু
দাও গো তুমি কুরবানী ।

ইসমাইলের কুরবানীতে আল্লাহ খুশি হয়
সেই খুশিতে দেখো দেখো দুম্বা জবাই হয় ।
আল্লাহর ভালোবাসা পেতে
দাও গো তুমি কুরবানী ।

এই দিনটি শিক্ষা দিলো ধনী গরিব নয় !
গরিব দুঃখির মুখে খাবার তুলে দিতে হয় ।
গরিব দুঃখির পাশে থাকা
তারই নাম কুরবানী ।।

                      সমাপ্ত
৮/৯/২০১৭
লেখা:- বাড়িতেই বসে

সোমবার, ১৪ আগস্ট, ২০১৭

কবিতা:-এই তো দুনিয়া

                 এই তো দুনিয়া
       মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
              মধ‍্যবেনা, বাদুড়িয়া

রক্ত দিলাম শহীদ হোলাম
তবে কিসের ভয়!
এই দুনিয়া তো মোদের
চিরস্থায়ী নয় ।

আজ আমি আমার ভাই যারা
অপরাধ না করেও হয়েছি অপরাধী
এই দুনিয়ায় এটা হবেই
বাতিল থাকে যদি ।

যারা ন‍্যায় নীতি প্রতিষ্ঠা করবার জন্য
জীবন দিতেও রাজি
তারা কি কখনো অপরাধী হতে পারে?
অপরাধী তো করেছে কাজী ।

যে কাজী নয় কে ছয় করতেও
 দ্বিধা করে না !
বন্ধু শুনে রাখো
দুনিয়া মমিনের কয়েদী খানা ।

তাই তো আজ বাতিলের
এতো উৎসব
কাকে ধরি আর কাকে খায়
এই হিসাব ।

ওরা মানুষ হয়ে মানুষের মেরে
রাজ চিয়ার পায়
রক্ত নিয়ে খেলা করে
এই দুনিয়ায় !

সন্তান হারা মায়ের
কান্নাকে ওরা ভালোবাসে
কষ্টে থাকা মানুষের
দেখেও হাসে।

মানুষের কষ্ট দেবার জন্যই
আজ চিয়ারে বসেছে
ওরা হবে ধ্বংস, ওরা হবেই ধ্বংস
এ বিশ্বাস আমার আছে ।।

              সমাপ্ত
07/08/2017
সময়:- 02:20pm
লেখা:- বাড়িতেই বসে
উত্তর 24 পরগনা
দুনিয়া




রবিবার, ১৩ আগস্ট, ২০১৭

কবিতা:-বিকৃত স্বাধীনতা

               বিকৃত স্বাধীনতা
       মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
               মধ‍্যবেনা,বাদুড়িয়া

তুমি কেমন স্বাধীনতা!
পারলে না বাঁচাতে মানবতা ।
তুমি কেমন স্বাধীনতা!
বোঝো না গরিবের মনের ব‍্যাথা ।
তুমি কিসের স্বাধীনতা!
যারা ধরে অস্ত্র শোনো শুধু তাদের কথা ।
স্বাধীনতা!
তুমি রাক্ষসী স্বাধীনতা ।
স্বাধীনতা!
তুমি বাড়িয়েছো শত্রুতা ।
স্বাধীনতা!
তোমার বিবেক হীনতায়
জমেছে হাজারও মায়ের মনে ব‍্যাথা ।
স্বাধীনতা!
তোমার কারণে আজ
ধুঁকেধুঁকে মরছে মানবতা ।
স্বাধীনতা!
তুমি আজ বাৎসরিক অনুষ্ঠানকেই বেছে নিয়েছো
এটাই তোমার প্রথম দ্বিচারিতা ।
স্বাধীনতা!
তাই তুমি হেরেগেছো হারতেও সহজ হয়েছে
এখন তুমি পরাধীনতা ।
স্বাধীনতা!
তুমি বিক্রিত স্বাধীনতা ।
স্বাধীনতা!
তোমার না চাওয়া জনতা
একদিন হবেই একতা ।
স্বাধীনতা!
সেদিন তোমার লজ্জায়
বের হবে না মুখের কথা ।
স্বাধীনতা!
তুমি শুনে রাখো
এটাই বাস্তবতা ।।
           সমাপ্ত

লেখার শুরু ০৯/০৬/২০১৭
ট্রেনে করে দমদমে যাওয়ার পথে
সমাপ্ত ০৯/০৮/২০১৭
সময়:-০৪:০৩pm
বাড়িতেই বসে
উত্তর ২৪ পরগনা ।

শনিবার, ২৯ জুলাই, ২০১৭

গান:- নীল আকাশের গায়


      নীল আকাশের গায়
   মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
         মধ‍্যবেনা,বাদুড়িয়া
         (গান)
নীল অকাশের গায়
চাঁদটি আলো দেয় ।
ছোটো বড়ো তাঁরা গুলো
মেতে থাকে খেলায় ।

মেঘেরা খেলা করে উড়ে উড়ে
কখনো বৃষ্টি হয়ে ঝরে পড়ে ।
সাগর নদী ঝর্ণাধারারা
আপন মনে বয়ে যায় ।

ওই আকাশে পাখিরা ঝাঁকে ঝাঁকে
মিষ্টি সুরে গান গায় ডেকে ডেকে ।
সন্ধা হতেই তারা সবাই
আপন ঘরে ফিরে যায় ।।
             সমাপ্ত

10/07/2017
সময়:- 2:30pm
লেখা:- আঠুরিয়া,
উত্তর24পরগনা

গান:- আল্লাহু আল্লাহু নাম

              আল্লাহু আল্লাহু নাম
          তরিকুল ইসলাম খালাসী 
               মধ‍্যবেনা,বাদুড়িয়া

আল্লাহু আল্লাহু নাম
জপি সারাক্ষন ।

ওই নামেতেই এতো মধু
মিষ্টি ফুরাই না ।

আল্লাহু আল্লাহু নাম
জপি সারাক্ষন ।

মৌমাছিরা ফুলে ফুলে
মধু করে আহরণ ।

মৌমাছিরা আর বসে না
ফুলের মধু ফুরাই যখন ।

আল্লাহু আল্লাহু নাম
জপি সারাক্ষন ।।
        সমাপ্ত

কবিতা:- ধর্ম মানে কি?

                      ধর্ম মানে কি
            তরিকুল ইসলাম খালাসী 
                 মধ‍্যবেনা,বাদুড়িয়া

ধর্ম মানে কি প্রতিহিংসা ?
ধর্ম মানে কি কুভাষা ?
ধর্ম মানে কি হতাশা ?

ধর্ম মানে কি অন‍্য ধর্মের প্রতি
তরোয়ালের আঘাত?
ধর্ম মানে কি সংঘাত ?

ধর্ম মানে কি একতা নয় ?
ধর্ম মানে কি ভালবাসা নয় ?
ধর্ম মানে কি জানা বোঝার স্থান নয় ?

ধর্ম মানে কি একে অন‍্যের বিপদে
ঝাপিয়ে পড়া নয় ?
ধর্ম মানে কি মুক্তির পথ নয় ?

ধর্ম মানে কি উসকানি মুলোক কথা বলা ?
ধর্ম মানে কি কাউকে বিপদে ফেলা ?
ধর্ম মানে কি মন চাই জিন্দেগীর পথে চলা ?

ধর্ম মানে এই যদি না হয়
তাহলে কেন করো
ধর্মের নামে অপব‍্যক্ষা !!
               সমাপ্ত

17/07/2017
সময়:- 8:49am
লেখা:- উত্তর বেনা
জামিয়া আশরাফুল উলুম বেনা মাদ্রাসার পাশে
আত্মীয়র বাড়িতে বসে ।
বাদুড়িয়া,উত্তর24পরগনা 

গান:- তোমার সম

                 তোমার সম
     মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
            মধ‍্যবেনা,বাদুড়িয়া
      (গান)
চাঁদ সূর্য দিয়েই তুমি
সাঁজিয়েছো এই ধরা ।

এই ধরাতেই তুমি আবার
মানুষকে করেছো সেরা ।

তোমার সৃষ্টি সাত আসমান
বিনা খুঁটিতে আছে বলেই তুমি যে মহান ।

তোমার সম নেই তো কেউ আর
তুমি পাগল পারা ।

এই ধরাতে তুমি আবার
মানুষকে করেছো সেরা ।

তোমার দয়ায় বেঁচে আছে
মোদের সকল প্রাণ ।

মোরা সবাই তাছবি জপি
গায় তো তোমার গান ।
                সমাপ্ত

01/07/2017
সময়:-8:10am
লেখা:-বাড়ির পাশে
সব্জী খেতে ।
উত্তর 24 পরগনা


কবিতা:- আদর্শের ভিত্তিতে

               আদর্শের ভিত্তিতে
        মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
              মধ‍্যবেনা,বাদুড়িয়া

লোহা শক্ত
আগুনের কাছে নয় ।

আগুন কঠিণ
জলের কাছে নয় ।

তুমি সৎ
তার দাও পরিচয় ।

তাহলে তোমার আবার
কিসের ভয় !

হিংসা আছে বলেই
ভালোবাসার জয় ।

শত্রু না থাকলে কি আর
বন্ধু পাওয়া যায় ?

জীবন আছে তাই
মৃত‍্যু হয় ।

দুঃখ আসলেই
শান্তি বর্ষিত হয় ।

শান্তি কি আর
বাজারে পাওয়া যায় ?

আদর্শের ভিত্তিতে
মানুষ মানুষের মতোই হয় ।।

              সমাপ্ত

21/07/2017
সময়:-10:10am
লেখা:- রামচন্দ্রপুর হাট থেকে ফেরার
পথে শুরু ।
24/07/2017
সময়:-8:25am
 সমাপ্ত
বাড়িতে বসে ।
বাদুড়িয়া, উত্তর24পরগনা

কবিতা:-প্রাপ্য বুঝে নিতে

              প্রাপ‍্য বুঝে নিতে
        তরিকুল ইসলাম খালাসী 
            মধ‍্যবেনা,বাদুড়িয়া

ফুট পথের ধারে
কতো অসহায়কে দেখা যায়
কিন্তু বর্তমান সময়
কে কার খোজ নেয় ।

বরং ওদের মাথায় কাঁঠাল রেখে
কি ভাবে খাওয়া যায়
এই নিয়েই এ দেশে
খুব গোবেষণা হয় ।

মঞ্চে বুলি দিয়ে দেশের দুর্দশা দূর করে
কিন্তু বাস্তাবে একশিকেও নয়
এই তো যাদের করেছি বিশ্বাস
তাদের পরিচয় ।

আসলে চোরের কি আর বিচার আছে
কার জিনিস করছি চুরি !
কিছু না পেলেও পেলাম তো
ছেঁড়া পুটলা থলি ।

এ দেশে চোরেদের
জামাই আদর হয়
শেষ বেশ শশুরের
মেয়ে রেখেও পালায় ।

তাই আর জামাই আদর নয়
নিজের প্রাপ‍্য বুঝে নিতে
এসো সবাই এক সাথেই
এগিয়ে যায় ।।
              সমাপ্ত

24/07/2017
সময়:-01:35
লেখা:-বাড়িতেই বসে
উত্তর 24 পরগনা

কবিতা:- বাঁধার প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলুন

          বাঁধার প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলুন
         মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
                মধ‍্যবেনা,বাদুড়িয়া

হিন্দু মুসলিম জৈন খ্রীষ্টান
সবাই মানুষ তাঁরই দান
কেউ ডাকে আল্লাহ কেউ ডাকে ভগবান
নয় ভেদাভেদ সবাই সমান ।

শিখি একই প্রতিষ্ঠানের ভাষা জ্ঞান
স্কুল কলেজ বিদ্যমান
হয় হিন্দু না হয় মুসলমান
আমাদেরই শিক্ষক হন ।

একই সাথে করি রক্তদান ।
কেউ জৈন কেউ খ্রীষ্টান
হোক না সে মুসলমান
সকলেরই চাওয়া বেঁচে উঠুক একটি প্রাণ ।

একই পুকুরে করি স্নান
হয় সব কিছুতেই আদান প্রদান
সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানুষের সম্মান
আল্লাহ করেছেন দান ।

হিন্দু মুসলিম সুস্থ থাকুন
বাঁধার প্রাচীর ভেঙ্গে ফেলুন
নতুন সমাজ গড়ে তুলুন
এই হোক মোদের স্লোগান ।।
              সমাপ্ত

29/07/2017
সময়:-02:20pm
লেখা:-বাদুড়িয়া হিন্দু মুসলিমের বিভেদ নিয়ে ।
রচনা:- বাড়িতেই বসে
উত্তর 24 পরগনা

শুক্রবার, ২১ জুলাই, ২০১৭

কবিতা:- ঈদের দাবি

ঈদের দাবি
   তরিকুল ইসলাম খালাসী 

এতিম মিস্কিনের মুখের হাসি
ঈদ করেছে দাবি
নতুন কাপড় লাক্সা-সিমায়
পায় যেন ওরা সবি ।

ঈদের দাবি ত্রিশটি রোজা
আরও দাবি যাকাত
যাদের নেই পিতা-মাতা
তাদের রাখো মাথায় হাত ।

ঈদের দাবি পাঁচ ওয়াত নামাজ
আরও দাবি জামায়াত
আমরা মেনে নিলেই তবে
ঈদ করিবে সাফায়াত ।

ঈদের দাবি হিংসা নয়
হও একে অপরের বন্ধু
হোক না সে জৈন-খ্রিস্টান
যদিও হয় হিন্দু ।।

              সমাপ্ত

19জুন 2017
সময় 1:30 মিনিট pm
23শে রমজান,

গান:- ভালো মন্দ

                       ভালো মন্দ
          মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
                 মধ‍্যবেনা,বাদুড়িয়া

চাঁদের আলো ঘরে এলো
তবু কেন অন্ধকার ?

ভুকা যিনি খাদ‍্য পেলো
তবে কেন হাহাকার ?

অভাব ছিলো শান্তি ছিলো
এখন শান্তি কথায় গেলো ?

রোগ ছিলো রোগ এলো
তাই তো রোগের সিজার হলো ।

এমন সময় পেয়েছি মোরা
ভালো মন্দর নেই বিচার ।

পিতার উপর চোখ রাঙ্গানো
এই তো এখন ছেলের আচার ।

স্মৃতি ভালো শিক্ষিত হলো
সমাজ কেন গোল্লায় গেলো ?

দুষ্টু বিড়াল ঢুকলো ঘরে
তাই তো সবই লুটে খেলো ।।
              সমাপ্ত

22/06/2017
সময়:-7:24pm
লেখা:- বাড়িতেই বসে ।

গান:- না বসে থেকো না

না!বসে থেকো না
মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

না!বসে থেকো না
মিথ্যা কে তুমি ভয় পেয়েও না
সত্য একদিন হইবেই জয়
এই কথা তুমি ভুলো না ।
                   ঐ
খোদার হুকুমে চলছে সবাই
সময় কাঁটাও কেন হেলায় খেলায়
জালিমের কৌশল যদি হয় দুর্বল
তাদের ওই হুমকিতে সরে যেয়ো না ।
                   ঐ
করোও ওমর আলীর(রঃ)মতো মজবুত ঈমান
এসো মোরা হই বীর-উসমান  (রঃ)।
যাদেরই রক্তে পেয়েছি ইসলাম
তাদের ওই পথ ছেড়ে দিও না ।।

                     সমাপ্ত
31/05/2016

কবিতা:- তোমাকে ভালোবাসি বলেই

         তোমাকে ভালোবাসি বলেই
        মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
              মধ‍্যবেনা,বাদুড়িয়া

তোমাকে ভালোবাসি বলেই
নিষেদ্ধ করি
ওই অন্ধকার পথে যেওনা ।

তোমাকে ভালোবাসি বলেই
নিষেদ্ধ করি
ওই আগুনে হাত দিওনা ।

তোমাকে ভালোবাসি বলেই
নিষেদ্ধ করি
ওই মাদকের সাথে ওঠা বসা করো না ।

তোমাকে ভালোবাসি বলেই
নিষেদ্ধ করি
কাউকে রক্তপাত করো না ।

তোমাকে ভালোবাসি বলেই
নিষেদ্ধ করি
অন্য ধর্মকে গালি দিওনা ।

তোমাকে ভালোবাসি বলেই
নিষেদ্ধ করি
স্বদাচরণ ছেড়ো না ।

তোমাকে ভালোবাসি বলেই
নিষেদ্ধ করি
অন্যায়ের প্রতিবাদ করতে ভুলো না ।

মনে রেখো
এমন বন্ধু কিন্তু
আর কখনো পাবে না ।।
             সমাপ্ত

20/07/2017
সময়:-12:21pm
লেখা:- উত্তর বেনা
জামিয়া আশরাফুল উলুম বেনা মাদ্রাসার পাশে
শশুরালয়ে বসে ।
বাদুড়িয়া,উত্তর24পরগনা 

সোমবার, ১৭ জুলাই, ২০১৭

গান:- গরীবের মনের ব‍্যাথা

               গরীবের মনের ব‍্যাথা
         মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
                মধ‍্যবেনা,বাদুড়িয়া

গরিব দুখির দুঃখ গুলো
কে বুঝিবে ভাই !
ওপর তলাতে বসে কি আর
দুঃখ বোঝা যায় ?

দক্ষীণা বাতাস আটকে দিলে
ভাবলে না একবার ।
রোগে সোগে জরজরিত
খোজ ন্যাই কে কার !

আজ বড়ো অসহায়
নেইকো ঘরে খাবার ।
তোমরা থাকতেও
কেন এতো হাহাকার ?

আমরা গরিব বলে তুমি
থাকো দূরে দূরে
কিছু দেওয়ার ভয়ে তুমি
তালা দাও দুয়ারে ।

গরিব বলে পরনে আমার
আছে ছেঁড়া কাপড়
তাই তো তোমরা যখন তখন
মারো গালে থাপ্পড় ।

আমরা গরিব বলে থাপ্পড়
খেয়েও প্রতিবাদ করি না
তোমরা মোদের মানুষ বলে
এই জগতে দাম দিলে না ।

আল্লাহ তোমাদের ক্ষমা করুন
এই মোদের মনের বাসনা ।
আমরা গরিব বলে মোদের মনে
 এতো দুঃখ যন্ত্রণা ।।
                    সমাপ্ত

09/07/2017
সময়:-08:40am
লেখা:- বাড়িতেই বসে ।

গান:- আকাশের গায়

                   আকাশের গায়
          মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
                  মধ‍্যবেনা,বদুড়িয়া

আকাশের গায়
দাগ কভু থাকে না
মেঘ মালারা হারাতে পারে না ।

দমকা হাওয়া এসে
মিষ্টি হাসি হেসে
ঝরে পড়ে বৃষ্টি এই দুনিয়ায় ।

আকাশের গায়
দাগ কভু থাকে না.....

মেঘেরা সূর্যকে আড়াল করে
সূর্যকে ধরে কি আর
রাখতে পারে ?

গভীর রাতের অন্ধকারে
ঘাসের ওপর শিশির ঝরে
সবই তাঁর ইশারায় ।

আকাশের গায়
দাগ কভু থাকে না.....
            সমাপ্ত

07/07/2017
সময়:-09:50am
লেখা:-তারাগুনিয়া
হাবিল কাবিলের ফোনের দোকানে বসে ।
বাদুড়িয়া, উত্তর24পরগনা 

কবিতা:-প্রশ্নের উত্তর পেতে

                  প্রশ্নের উত্তর পেতে  
              তরিকুল ইসলাম খালাসী 
                 মধ‍্যবেনা,বাদুড়িয়া

তুমি কি আকাশকে
একবারও প্রশ্ন করেছো,
হে আকাশ! তুমি কেন বৃষ্টি ঝরাও ?

তুমি বাতাসকে হয়তো প্রশ্ন করেছো,
হে বাতাস! কেন তুমি ঘর বাড়িকে
উঁড়িয়ে নিয়ে যাও !

তুমি সূর্যকে প্রশ্ন করতে পারো,
হে সূর্য! তুমি কেন
মেঘের আড়াল হও ?

তুমি পায়ের তলার মাটিকে প্রশ্ন করো,
হে মাটি! তুমি কেন উত্তপ্ত রৌদ্রে
চৌচির হয়ে যাও ?

প্রশ্ন এখানে শেষ নয়
আরো প্রশ্ন করো,
নদী! তুমি কেন ভাঁটা হও ?

তুমি যদি পারো
সাগরের ওই সব প্রাণীকে প্রশ্ন করো,
হে বিশাল প্রাণী!তোমরা কি খাও ?

তুমি পাহাড়ের চুড়ো থেকে নেমে আসা
ঝর্ণাধারাকেও যদি প্রশ্ন করো,
হে ঝর্ণা! তুমি কোথাথেকে আসো আর কোথায় চলে যাও ?

এই সব প্রশ্নের উত্তর পেতে কি
তুমি সত্যিই অবাক হও ?
তাহলে কেন! স্রষ্টাকে ভুলে যাও ?
                  সমাপ্ত

16/07/2017
সময়:- 8:24am
লেখা:- কেওটশাহ পাকা ইন্দারার পাশে
মমতাজ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কসে বসে ।
বাদুড়িয়া,
উত্তর24পরগনা ।

কবিতা:- বন্ধ হোক মোরগের লড়াই

          বন্ধ হোক মোরগের লড়াই
          তরিকুল ইসলাম খালাসী 
              ম‍ধ‍্যবেনা, বাদুড়িয়া

দুই মোরগের পায়
ছুরি বাদলেই হয়
মোরগ লড়াই ।

কারো ব‍্যাথায় কষ্টে
বুক ফেটে যায়,
কেউ আবার আনন্দ পায় ।

সত‍্যিই কি আনন্দদায়ক
মোরগ লড়াই
না জীবনের মারাত্মক ক্ষতি রূপ ন‍্যাই ?

এই দেশে রাজ‍্যে রাষ্ট্রে গ্রাম গঞ্জে
আমরা শান্তি চাই
বন্ধ হোক  মোরগের লড়াই  ।।

               সমাপ্ত

13/07/2017
সময়:- 12:20pm
লেখা:- কেওটশাহ হাট থেকে বাড়ি ফেরার পথে
বাদুড়িয়া,উত্তর24পরগনা 

গান:-তোমারই দান

                তোমারই দান
       মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
               মধ‍্যবেনা,বাদুড়িয়া

আকাশ বাতাস চন্দ্র তাঁরা
তোমার প্রেমে পাগল পারা
তাই তো গায় তোমার গুনো গান ‌।

সাগর নদী ঝর্ণাধারা
মেঘ ঘোনিয়ে বৃষ্টি ঝরা
সবই তোমার দান ।

তোমার প্রেমে পাগল হয়ে
ঝরলো কতো জীবন ।।

গাছগাছালি পাখপাখালি
পাখির কলরব
সৃষ্টি তোমার সব ।

রাতের পরে দিনকে আনা
দিনের পরে রাত
তোমার নিয়মে বাঁধা সব ।

তোমার রহম পেয়ে মোদের
ধন‍্য হলো জীবন ।।

                সমাপ্ত

কবিতা:- এক ফোঁটা রক্তের দাম

           এক ফোঁটা রক্তের দাম
      মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
              মধ‍্যবেনা,বাদুড়িয়া

এক ফোঁটা রক্তের দাম
পারবে কি তুমি দিতে
তাহলে কেন অন‍্যের
রক্ত ঝরাও ?

তুমি কেন গরিবের পেটে
লাথি মেরে
অর্থ ছিনিয়ে নিয়ে
লুটে পুটে খাও ?

তুমি প্রতিস্রুতি নষ্ট করে
সেদিনের বুলি ভুলে
কেন আজ যুবকের বুকে
গুলি চালাও ?

তুমি পরিচয় দিয়েছিলে মানুষের মতো
কিন্তু হায়নার মতো তোমার আচার ব‍্যবহার
ও বুঝেছি.....
তুমি সাপের মতো ঘন-ঘন খলোস পালটাও ।

তুমি যানো এর পরিণতি কি হয় ?
আমরা আছি অপেক্ষায়
এখনো সময় আছে সূর্য উদয় হওয়ার আগে
যার যা প্রাপ‍্য বুঝে দিয়ে দাও ।।
                    সমাপ্ত
11/07/2017
সময়:- 6:35am
লেখা:- আঠুরিয়া,উত্তর24পরগনা

গান:- ঈদ মোবারক

              ঈদ মোবারক
  মোঃ তরিকুল ইসলাম খালাসী
        মধ‍্যবেনা, বাদুড়িয়া

ঈদ মোবারক ঈদ 
ঈদ মোবারক ঈদ, ঈদ মোবারক ঈদ 

খুশির ঈদ এলো আবার 
একটি বছর পরে,
মাহে রমজান পূর্ণ করে
আনন্দে গেয়ে যাই বাঁচ্চারা গীত ।

ঈদ মোবারক ঈদ, ঈদ মোবারক ঈদ
ঈদ মোবারক ঈদ।।

রোযাদার রোযা রেখে পেলো খুশির ঈদ
এই রমজান মাসে নাজিল হলো কুর'আন মাজিদ।
তারি তরে পেয়েছি মোরা
আজ খুশির ঈদ।

ঈদ মোবারক ঈদ,ঈদ মোবারক ঈদ
ঈদ মোবারক।।

গরিব দঃখির পাশে থেকো হে মমিন
তাদের তুমি খুশি রাখো ঈদের দিন।
তাদের হাসি মোদের খুশি 
তাই তো পেলাম ঈদ।

ঈদ মোবারক ঈদ, ঈদ মোবারক ঈদ
ঈদ মোবারক ঈদ ।।
                সমাপ্ত
24থেকে25/06/2017




শনিবার, ১৭ জুন, ২০১৭

কবিতা :- ঈদের নামাজ পড়ে

         ঈদের নামাজ পড়ে
  মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
          মধ্যবেনা, বাদুড়িয়া

আমরা সবাই ঈদের দিনে
ঈদের নামাজ পড়ে
আলিঙ্গন করবো মোরা
একে অপরের গলে ।

একে অপরে ডাকবে সবাই
এসো আমার বাড়ি
লাক্সা-সিমায় মিঠাই যত
দেবে তড়িঘড়ি ।

এই আনন্দ আমরা ছাড়া
আর কে পাবে বল
রাগ-ঝাল যা কিছু সব
হবে ওইদিন ধুলো ।।

            সমাপ্ত
18জুন 2017 সময় 4:18, 22শে রোমজান,শেহারী খাওয়ার পর ।

কবিতা :- ঈদের খুশি হতে

          ঈদের খুশি হতে
  মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
         মধ্যবেনা, বাদুড়িয়া

ঈদের খুশি হতে এতিম মিস্কিন
যায় না যেন বাদ,
তাহলে কিন্তু তোমার খুশি
হবে বরবাদ ।
তোমার যাকাত তোমার ফিতরা
নিয়েই ওদের সব,
তুমি রাখো ওদের সাথে
বেশি করে ভাব ।
ওরা যেন পায় তোমার হাঁড়ির
 লাক্সা-সিমায়,
আচ্ছা বল এটা কি
ঈদের আনন্দ নয় ?
তোমার সন্তান এবার ঈদে
পরবে নতুন সাজ,
ওরা যেন যায় না বাদ
দেখতে হবে তোমায় আজ ।
তবেই পাব আমরা সবাই
ঈদের পুরো আনন্দ
আল্লাহ্ তায়ালাও খুশি হবেন
দেখে মোদের আনন্দ ।।

            সমাপ্ত

17 জুন,2017, সময় 9:30 মিনিট
কাঁকরোল খেতে ফুল ছোঁয়াতে ছোঁয়াতে লিখলাম ।


মঙ্গলবার, ১৩ জুন, ২০১৭

কবিতা :- দেশ দেশান্তরে

          দেশ দেশান্তরে
মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
       মধ্য বেনা, বাদুড়িয়া

একা এসেছিলেন তিনি
বিজয়ের সন্ধানে
ঝাঁপিয়ে পড়েছিলেন
কাফেরদের মাঝখানে ।
ছিল না তলোয়ার
ছিল না তীর ধনুক
ছিল না ইয়ার্গান
নামি দামি বন্দুক ।
ছিল না হাজার সেনা
ছিল না আপন কেহই
ছিল শুধু বিশ্বাস
সিমাহীন স্রষ্টা পথ দেখাবেনই ।
আদর্শের আকর্ষণে
মানুষের বন্ধন
বেড়েই চলে দ্রুত
রক্ত সম্পর্ক আপন জনে
বাঁধার প্রাচীর হয়ে
মানুষদের করত বিভ্রান্ত ।
তবুও হতাশ হননি তিনি
দুর্ভিক্ষের সেই বালুচরে
সেই বাতাস বয়েই চলেছে আজ
দেশ দেশান্তরে ।
             সমাপ্ত 

রবিবার, ১১ জুন, ২০১৭

কবিতা :- তুমিই সব ক্ষমতার শক্তিমান

 তুমিই সব ক্ষমতার শক্তিমান
 মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
         মধ্যবেনা, বাদুড়িয়া

তুমি সব ক্ষমতার শক্তিমান
সর্ব জ্ঞানের তুমিই মহান
তোমার সব সৃষ্টির মধ্য হতে
মানুষ কে করেছ শ্রেষ্ঠ দান ।

তুমি কাউকে রাজা বাদশা করে
করেছ মর্যাদা দান
আবার কাউকে ভিখারি করে
করেছ তার খান খান ।

তুমি কাউকে কলম দিয়ে
দিয়েছ সম্মান
কাউকে কলম দিয়ে কেড়ে নিয়ে
করেছ তার অপমান ।

তুমি কয়েকটি দেশকে ধ্বংস করে
করেছ মানুষকে হয়রান
আবার কয়েকটি দেশকে সম্মান দিয়ে
বরকত দিয়েছ অফুরান ।

তোমার দয়ায় বেচে আছি
সকল জ্বিন ও ইন্সান্
তাই তোমার ডাকে সাড়া দেয় যে
সারা বিশ্বজাহান ।।
              সমাপ্ত 

শনিবার, ১০ জুন, ২০১৭

কবিতা:- চাওয়ার মতো চাইলে

    চাওয়ার মতো চাইলে
 তরিকুল ইসলাম খালাসী 

ভুল করেছি প্রভু আমি
ভুলের ক্ষমা কর তুমি,
না বুঝে অনেক অপরাধ
করেছি আমি মনে জানি ।
কেমন করে চাইলে প্রভু
অপরাধের ক্ষমা করবে তুমি!
তুমি পরোয়ারদিগার জানি
মোদের সাথে আছো তুমি
ভুল হইলে বুঝতে পারি
জানাও মোদের তুমি জানি ।
হে দয়াময় তুমি মোদের
সর্ব সময় সাথে রবে,
কুরআন খুলে দেখো সবে
আছে সূরা-বাক্কারাতে ।
===== প্রভু বলে ======
হে আমার মনুষ্য জাতি
সৃষ্টি তোমায় করেছি আমি,
তাই সত্য পথে চলো তুমি
জান্নাত ঠিকই দেবো আমি ।
হে মনুষ্য জাতি তুমি
সত্য পথ ছাড়লে আমি
জাহান্নমে দেবো ঠিকই
কুরআন খুলে দেখো তুমি ।
দিনে রাত্রে সকাল সাঁঝে
তউবা পড়তে আমি বলি,
ক্ষমা হওয়ার পথটি দেখো
দেখিয়েছি তোমায় আমি ।
সত্য সত্যই থাকিবে বলি
কুরআন খুলে দেখো তুমি,
সাদ্দাদ' নম্রুদ' ফেরাউন কে আমি
কেমন করে ধ্বংস করি !
বুশ হাসিনার মতো তুমি
নুন খেয়ে নুন হারামি,
মোমিন কখনো কোরোনা তুমি
এদের মতো শয়তানি ।
চাওয়ার মতো চাইলে ওগো
ঠিক আমায় পাবে তুমি,
তাই রহমান থেকে শুরু করে
রহিমেতে শেষ করি ।।
              সমাপ্ত 

শুক্রবার, ৯ জুন, ২০১৭

কবিতা:- তুমিই রাখো অধিকার

       তুমিই রাখো অধিকার
   মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

আছে উঁচু শৃঙ্গধর
দাঁড়িয়ে আছে পেরেকের মতো ।
কে রাখিল-কে রাখিল
দাঁড়িয়ে আছে কার ইশারা মতো ?

ইন্দুমতী সাঁতার কাঁটে
গগন ভরা নক্ষত্র ।
কে রাখিল-কে রাখিল
গগন মাঝে সূর্যের মতো যন্ত্র ?

হইল প্রচন্ড ঝঞ্ঝানিল
ঝন্-ঝন্ শব্দ বৃক্ষে যতো ।
খাদ ভরা আছে মৎস্য
দেখো তো আছে কার ইশারা মতো ?

মাঠ ভরা যতো শস্য
সবই তো মোদের জন্য ।
জীবন ধারণ করার অন্ন
দিয়েছে যে! তাকে জানাবে না ধন্য ?

বসুধাই স্রষ্টার আসনে বসিলো যারা
তাদের জানিও না ধন্য ।
স্রষ্টা অবজ্ঞা করিয়া রাখিল
তাদের স্বর্গ হতে ভিন্ন ।

সৃষ্টির বসুন্ধরা
সবই তো তোমার,
ধন্য পাওয়ার একমাত্র
হে প্রভু! তুমিই রাখো অধিকার ।।
              সমাপ্ত

বুধবার, ৭ জুন, ২০১৭

কবিতা:- ঈদের খুশি সবার খুশি

     ঈদের খুশি সবার খুশি
 মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

রাত পোয়ালেই ঈদের খুশি
রান্না হবে লাক্সা-সিমায়
দাওয়াত দিলাম বন্ধু তোমায়
আসতে যেন ভুল না হয় !
ঈদের খুশি সবার খুশি
কাটুক তাই দিনটি ভালো,
ত্রিশটি রোযা রেখে রোযাদার
এই দিনটিই পেল ।
আমার ওপরে রাগ আছে যার
ভাই-রাগটা ভুলে গিয়ে
তোমার আশায় থাকলাম আমি
রাস্তায় দাড়িয়ে ।
এক বাঁধনে বেধে মোরা
করবো ঈদে আনন্দ
হিন্দু-মুসলিম, গরিব ধনীর
থাকবে না আর দ্বন্দ্ব ।
আমি চাই,প্রীতি ভালবাসা
তাই তো মোর এই ভাষা
পুরোন কর বন্ধু ওগো
আমার মনের আশা ।।
             সমাপ্ত 

কবিতা:- রক্তে নেই লেখা


          রক্তে নেই লেখা
 মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

রক্তে নেই লেখা
হিন্দু-মুসলমান
রক্তেই বাঁচে
একটি প্রাণ।
হোক না সে
জৈন খ্রিস্টান ।
মানুষ বলতেই সব
আদম সন্তান
তবে কেন মানুষের মধ্যেই
এতো ব্যবধান?

        সমাপ্ত

কবিতা:- পর্দাহীন যারা

         পর্দাহীন যারা
   তরিকুল ইসলাম খালাসী 

ওলিতে-গলিতে ধর্ষণ হচ্ছে
এটা হওয়ারি কথা ।
ইসলামের হুকুমে
পর্দার মধ্যে থাকতে
তাহাদের লাগে ব্যাথা ।
কী জামানা এলরে ভাই
নগ্ন ছাড়াতো আর কিছু নাই।
কুর'আনের অবমাননা করে এরা
দুনিয়ায় কী বাঁচতে চাই?
উলঙ্গ হয়ে করছে মিছিল
পুরুষেরা দেখছে তাই ।
এই ভাবে মিছিল করলে
সমাজ কী পালটাই ?
ওহে বোন করো অঙ্গীকার
প্রথম করো তুমি পর্দা ।
আপন (সতর) ঢাকতে বোন
পেয়েও নাকো লজ্জা ।
গণআন্দলোনের মতো
মিছিল খুবি দরকার !
এ কথা আমার নয়
এ হুকুম সেই শ্রষ্টার ।।
           সমাপ্ত
প্রকাশিত : ছুন্নাতুল জামায়াত পত্রিকা 
            

গান :- পরিবর্তন

               পরিবর্তন
     তরিকুল ইসলাম খালাসী 
       মধ্যবেনা, বাদুড়িয়া 

মর-তে দিয়ে দেবো জান, 
পাই না ভয় দেখে কামান ।
শাহাদাতের বাণী মুখে নিয়ে, 
চলো চলো সবাই এগিয়ে ।
জীবনের বিনিময় তুমি রক্ত করো ক্ষয় ।
দুনিয়া কারোর নয় করো আল্লাহরই ভয় । 

মর-তে দিয়ে দেবো জান
পাই না ভয় দেখে কামান ।
শাহাদাতের বাণী মুখে নিয়ে
চলো চলো সবাই এগিয়ে ।
বঞ্চিত মানুষের আজ দেবো ফিরিয়ে
তাদের হারানো সম্মান । 


ওই যে দুরে দেখা যায় কাফেলা
পেটে তার নেই যে খাওয়ার দু-বেলা ।
চাই মোরা সোনার ফসল
দুর হোক বিভেদ গন্ডো-গোল ।
এক সুরে শোনবো মোরা বেলালের আজান ।
কুর'আন হোক আজ আমাদের জীবনের বিধান ।।


   
২০১৭ শুরু ১৫.০৬.২০২১ শেষ

 

গান:- অপরাধ

                অপরাধ
  মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
                 09/04/2017
অপরাধের অপরাধী আমি
দাও খোদা দাও
ক্ষমা করে দাও তুমি ।
তুমি তো বলেছ
অপরাধ যতই কর পাহাড় সমান,
ক্ষমা করে দেবো তাই
নাম রেখেছি রহমান ।
তুমি দয়াময় এই বিশ্বময়
ক্ষমা করে দাও আমায় ।
তোমার নামে পাহাড় থেকে
ঝর্নাধারা নেমে আসে
তোমার নামের গুঞ্জন ওই
বয়ে চলে বাতাসে ।
দাও খোদা দাও ক্ষমা করে দাও
তুমি দয়াময় ।
                সমাপ্ত

কবিতা :- ব্যবসা

               ব্যবসা
মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

আমি ব্যবসা করি
তাই বলে কি মিথ্যা বলতে হবে?
ওজনে ফাঁকি দিতে হবে?
কেনো! মিথ্যা না বললে কি
ব্যবসা হয় না
ভেজাল না মেসালে কি
অর্থ বাড়ে না?
বাকি দেয় বলে খাতায়
দু-টাকা বেশি করে লিখতে হবে ?
তাহলে আমি আর সৎ মানুষের পরিচয়
দিলাম কোথায়?
মাথায় টুপি লম্বা জামা
গেরুয়া পোশাক পরিধান করলেই কি
সৎ মানুষ হওয়া যায়?
               সমাপ্ত



কবিতা :- সেদিন আসছে

          সেদিন আসছে
 মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
        মধ্য বেনা, বাদুড়িয়া

সেদিন আসছে আবার
থাকবে না খাবার
তবু খাবে সবাই
ভাগাভাগি করে ।
সেদিন...
জালিমের জুলুম থেকে
মজলুম মুক্তি পাবে
হিংসা বিভেদ ভুলে সবাই
গলে গলে মিলবে ।
সেদিন...
অসহায় এতিম মিস্কিনদের মুখে
হাসি ফুটবে
উজ্জ্বল প্রভাত আবার
সবাই দেখবে ।
সেদিন...
নদী শান্ত হবে
আনন্দে বাঁধ ভাঙবে
পাখিদের মিষ্টি গান
আবার সবাই শুনবে ।
সেদিন...
শিশুরা আগের মতো খেলবে
দোলাতে দোলবে
আদর করে মায়েরা
কোলেতে তুলবে ।।

         সমাপ্ত




গান :- পৃথিবী কারো নয়

         পৃথিবী কারো নয়
 মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

পৃথিবী আমার পৃথিবী তোমার
পৃথিবী কারোর নয় ।
ছেড়ে যেতে হবে সবার
সব সম্পদ
যেতে হবে শুধু
একা তোমায় ।
পৃথিবী.........
অশান্তির এই দুনিয়ায়
কাটছে দিন খামোখাই
নেতা হওয়ার তরে তারা
করছে মানুষ খুন
যদিও সে
আপন ভাই হয় ।
পৃথিবী...........
সত্যের সন্ধান করেছে যারা
পেয়েছে তারা শান্তির পথ
জীবন বাজি রেখে তারা
রক্ত ছড়ায়
যাতে আদম সন্তান
মুক্তি পাই ।।
           সমাপ্ত 

কবিতা :- মুসাফির

               মুসাফির
মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

মুসাফির চলছে পথে
ওই দেখো ঘোড়ার পিঠে
নাঙ্গা তলোয়ার
হাতে নিয়ে
কালেমার পতাকা
উড়িয়ে দিয়ে
শান্তির বার্তা
সঙ্গে নিয়ে ।
মরিচিকা আর নয়
হবেই সত্য বিজয়
নতুন শস্য শ্যমলে ভরবে আবার
এই জগৎ ময় ।
হাহাকার এই দিন
বদলে আসবেই সুদিন
প্রভাতের শোভাতে
জীবন হোক রঙিন ।।
          সমাপ্ত 

কবিতা :- তুমি কি জবাব দেবে

      তুমি কি জবাব দেবে
     তরিকুল ইসলাম খালাসী 

হে আমার সংগ্রামী ভাইবোন
রক্ত চুষা বাদুড় রক্ত চুষেই যাচ্ছে
এই মুহুর্তে মোদের
প্রস্তুতির প্রয়োজন
তাই যদি না হয়
তবে দেখো
অগ্নিশিখায় জ্বলছে
মুসলিম দুনিয়া
ভেসে বেড়ায়
কচিকাঁচাদের কান্না
মোরা সইতে আর পারিনা
এই দুঃখ বেদনা
একটুও কি দেবে না
তাদের শান্ত না?
ইতিহাস কি মিথ্যা হবে?
তুমি কি জবাব দেবে?
সম্মান হানি মা-বোন যখন
ধুঁকে ধুঁকে কাঁদবে ।।
          সমাপ্ত


কবিতা :- অন্ধ ড্রাইভার

              অন্ধ ড্রাইভার
   মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

আমার দেশের সরকার
অন্ধ ড্রাইভার
মুখে বড়ো বুলি তার
করে দুর্নীতির কারবার ।
যাদের যা পাওনা
তাদের তাই দেই কি
মূর্খ নয় তো
ওরা আবার কি ?
কথায় কথায় জাত টানে
মানব জাতি চেনে না
ওরাই নাকি গড়বে দেশ
হাস্যকর বিষয় না!
এসো খাই একসাথে
দুধ ভাত
রাখতে চায় না
জাতপাত
এই কথা ওরা
বাস্তবে রেখেছে কি?
আজ যারা নেশার ঘোরে
করে নাকো শব্দ
তাদের কেই করবে ওরা
আগেভাগেই জব্দ ।।
          সমাপ্ত 

কবিতা :- হাওয়া আসিয়া বলিল

        হাওয়া আসিয়া বলিল 
   মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল 

হাওয়া আসিয়া বলিল 
কানে কানে 
মৌমাছিরা পাড়ি দিয়ে 
বনের মধু আনে ।
পাপড়ি মেলিয়ে ফুলেরা সব
সুগন্ধ ছড়ায় ভুবনে, 
পাখিরা বনে বনে 
খোদার শানে গানে ।
উটেরা পাড়ি দিয়ে 
যাচ্ছে মরু পানে
কঠোর পরিশ্রম করে তারা 
মালিকের বোঝা টানে ।
নদীর ধরে বসতেই আমার 
মন ভরে যায় গানে 
মৎষ্য গুলি তাদের মতোই 
আছে খোদার ধ্যানে ।
কোকিলেরা ডাকি ডাকি
কুহু-কুহু করে 
মধুর কন্ঠে বলিল তারা 
স্রষ্টা সবই জানে ।।
            সমাপ্ত 

কবিতা :- প্রতিবাদী কণ্ঠ

         প্রতিবাদী কন্ঠ
 মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

চলছে আমার ভায়ের ওপর
নির্মম অত্যাচার
প্রতিবাদী কণ্ঠ নেই কেন
বন্ধু তোমার ?
আমার ভায়ের রক্তে রঞ্জিত
আজ রাজপথ
আর তুমি ব্যস্ত
নিয়ে ভবিষ্যত্ !
তোমার হৃদয়টা হলো আজ
এতই পাষাণ?
পারলে না বাঁচাতে
তোমার বন্ধুর প্রাণ !!

         সমাপ্ত 

বুধবার, ২৪ মে, ২০১৭

কবিতা :- আর্তনাদ

             আর্তনাদ
তরিকুল ইসলাম খালাসী
     মধ্য বেনা,বাদুড়িয়া
          24/05/2017
        সময় :- 12 : 38
অপরাধীদের জন্য নয়
আজকের কারাগার
তাই তো আজ আলো থেকেও
দুনিয়া অন্ধকার ।
জালিমের জুলুমে
পুড়ে সব ছারখার
নগর শহর পল্লিতে
মাতালের আবিষ্কার ।
মজলুম ক্ষুধার্ত হলেও
পায় না খাবার
নেইকো আজ কেউ
তাদের আর্তনাদ শুনবার ।।
          সমাপ্ত

রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৭

কবিতা:- চলছে পথে শয়তানের

চলছে পথে শয়তানের
মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

বহু!নারী-পুরুষ এ জামানায়
চলছে পথে শয়তানের ।
এরা কেউ ভয়ে করে না
কঠিন শাস্তি কিয়ামতের ।
আল্লাহর হুকুম ছেড়ে দিয়ে
গোনায় এরা রয় পড়ে ।
কুকুরের মতো স্বভাব এদের
যাকে পায় তাকে কাটে ।
ছোট্ট ছোট্ট পোষাক পরে
পুরুষ-নারীর ভোলায় মন ।
বিশ্বাসীরা দেখে ওদের
থু-থু ফেলে সবাই তখন ।
এদের কৃতি কালচার দেখে
মন আমার যায় ফেটে ।
যুদ্ধ এখন হতো যদি
তবেই আমার রাগ মেটে ।
আল্লাহ্ তুমি রাখো আমার
এদের হতে দুরে ।
প্রতিষ্ঠিত করো সুবিচার
ধৈর্য দাও মোরে ।।
           সমাপ্ত

বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৭

কবিতা :- শুধু তাঁরই দাসত্ব কর

       শুধু তাঁরই দাসত্ব কর
 মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

তোমরা তোমাদের সেই
আল্লাহর দাসত্ব স্বীকার কর ।
কুরআন হাদিসের প্রতি
ঈমান নিয়ে তবেই মর ।
শেষ বিচারের দিন
আসছে ছুটে
যেমন মেঘ ঘনিয়ে
বজ্রপাত ঘটে ।
তোমরা তাঁর দাসত্ব স্বীকার কর
তাঁর ভয় করে তাঁরই পথে চল
সত্যদ্রোহী লোকদের জন্য নির্দিষ্ট
দহন রয়েছে ভয়াবহ ।
তোমরা তাঁর প্রতিশ্রুতি সুদৃঢ় করে
কেমন করে ভঙ্গ কর ?
তাঁর নির্দেশ ছিন্ন করে
কেন বিপর্যয় সৃষ্টি কর ?

বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৭

কবিতা :- তাঁহার ইশারায়

           তাঁহার ইশারায়  
মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

কে দিয়েছেন মনে শান্তি
কে দিয়েছেন বুলি?
কে দিয়েছেন চরণ দুখানি?
তাইতো মোরা চলি।
কে দিয়েছেন নয়ন মাঝে
সূর্যের মতো আলো?
সুন্দর সুন্দর বস্তুকে
কতো দেখতে লাগে ভালো।
কে দিয়েছেন নাসিকা নামের অঙ্গ
দুটি ছিদ্র করে?
কার ইশারায় সকল প্রাণীই
আপন প্রাণ রক্ষা করে?
কে দিয়েছেন ভূগর্ভে তোমার
কে দিয়েছেন শক্তি?
কার ইশারায় মোরা আজ
সম্মাননীয় এক ব্যক্তি?
কে দিয়েছেন ঠান্ডা-গরম
কে দিয়েছেন ঝড়ের মাঝে বৃষ্টি?
কার ইশারায় 'হও' শব্দে
এই জগৎ সৃষ্টি?
            সমাপ্ত 

সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৭

প্রবন্ধ:- অবশ্যই রাষ্ট্রপ্রধানের সমালোচনা করার অধিকার রাখি

অবশ্যই রাষ্ট্রপ্রধানের সমালোচনা করার
                      অধিকার রাখি
          @মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল@
                    15/06/2016
আমরা রাষ্ট্রপ্রধানের কাজ কর্মের প্রতি তীব্র তীক্ষ্ন দৃষ্টি রাখার অধিকার রাখি।এবং সেই সঙ্গে রাষ্ট্রের বড় বড় দায়িত্বপূর্ণ পদাধিকারী ব্যক্তিদের কার্যকলাপের প্রতি লক্ষ্য রাখা সামগ্রিক ভাবে গোটা জাতির এবং ব্যক্তিগত ভাবে প্রত্যেকটি নাগরিকের একান্ত কর্তব্য।কিন্তু আমার দেশের রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি রাজ্যপাল ও গ্রাম অঞ্চল ব্লকের নেতারা যে অপরাধ করে যাচ্ছে তা আজকের মুসলমান আলেমরা মাথা পেতে নিচ্ছে সার্থ-সিদ্ধির জন্য ।কিন্তু এই আলেমদের কাজ ছিল তাদের ভুল-ভ্রান্তি গুলি স্পষ্ট ভাবে তাদেরকে বলে দেওয়া ।আজ না বলার কারণেই তারা মারাত্মক ভুল করে যাচ্ছে ।এবং তারা শেষপর্যন্ত গোটা জাতি ও রাষ্ট্রকেই ধ্বংস করে দিচ্ছে ।
এর একটাই কারণ, দেশের মুসলমানরা নিরব বলেই ।যতদিন মুসলমানদের আলেমরা নিরব থাকবে ততদিন পর্যন্ত মুসলমানরা লাঞ্ছিত নিপীড়িত হতেই থাকবে ।এ জন্যে হাদিসে উদ্ধৃত হয়েছে, নবী করীম(সঃ)বলেছেন :
"দ্বীন হলো নছীহত ।আমরা বললাম:কারজন্যে?তিনি বললেন:(রাষ্ট্রীয়)নেতাদের জন্যে এবং মুসলিম জনগণের জন্যে ।"(মুসলিম শরীফ)
এভাবে নছীহতের পরও যদি কোন শুভ ফলোদয় না হয়, তা হলে রাষ্ট্রপ্রধানদের ঠিক ভাবে পরিচালিত করার জন্যে শক্তি প্রয়োগ করতে হবে ।রসূল্লাহ(সঃ)বলছেন: প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করতে হবে ।আর এরা বলছে এটা হিন্দুত্ববাদের দেশ এখানে চলবে না ।এতুই দুর্বল ঈমান এদের,আবার বলে আমরা মুসলমান।মুসলমান হতে হলে কি কি করোওনিও এরা কী জানে না!এরা কি এটাও জানে না নবী করীম (সঃ)-এর কি নির্দেশ ছিল! নবী করীম(সঃ)আমাদের আদেশ করেছেন :
"আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি,তোমরা অবশ্যই ন্যায়ের আদেশ করবে ।অন্যায়ের প্রতিরোধ করবে ।যালেমের হাত শক্ত করে রাখবে,সত্য নীতির ওপর স্থির করে রাখবে এবং তাকে সত্য কাজ করতেই বাধ্য করবে ।অন্যথায় মনে রাখবে, আল্লাহ্ তোমাদের মনকে পরস্পরের প্রতি খারাপ করে দেবেন ।আর শেষ পর্যন্ত তোমাদের কে পূর্ববর্তীদের মতো অভিশপ্ত করবেন ।"(আবু দাউদ)
রসূল্লাহ(সঃ)আরও বলেছেন :যে "লোকেরা যখন যালেমকে জুলুম করতে দেখবে, তখন যদি তারা দু'হাত শক্ত করে না ধরে রাখে তাহলে আল্লাহর আযাব সাধারণ ভাবে সবাইকে গ্রাস করতে পারে ।"(রিয়াদ্বুচ্ছালেহীন)
রাষ্ট্রপ্রধান ও রাষ্ট্রের অপরাপর দায়িত্বপূর্ণ পদাধিকারীদের প্রতি এরূপ তীক্ষ্ন দৃষ্টি রাখার অধিকার একটা জাতীয় অধিকার ।সেই অধিকার আমরা কী রাখতে পেরেছি?আবার বলছি আমরা মুসলমান ।সর্বপ্রথম পুরুষ যিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন হজরত আবুবকর সিদ্দিক(রাঃ)খলিফা নির্বাচিত হয়ে সর্বপ্রথম যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন :"আমি ভালো করলে তোমরা সবাই আমার সহযোগিতা করবে ।আর আমি যদি বাঁকা পথে চলতে শুরু করি,তোমরা আমাকে সঠিক পথে চলতে বাধ্য করবে।"(তাবকাতে  কুবরা ইবনে সায়াদ,3য়খণ্ড,183পৃষ্ঠা)"
দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর ফারুক(রাঃ)তার এক ভাষণে একথা বলেননি? যে "তোমাদের মধ্য   থেকে কেউ আমার মধ্যে কোনওরূপ বক্রতা লক্ষ্য করলে তা দূর করে দেয়া তার কর্তব্য ।তখন উপস্থিত লোকদের একজন বলে উঠলো: "আল্লাহর কসম,আপনার মধ্যে কোনওরূপ বক্রতা দেখতে পেলে আমরা আপনাকে আমাদের তরবারির সাহায্যেই ঠিক করে রাখবো ।"এ কথা শুনে দ্বিতীয় খলিফা উচ্চস্বরে বলে উঠলেন : আল্-হামদুল্লাহ,"আল্লাহ্ হজরত মুহাম্মদ(সঃ)-এর উম্মাতের মধ্যে এমন লোক সৃষ্টি করেছেন, যারা তাদের তরবারির দ্বারা ওমর  কে ঠিক পথে চালাতে পারে ।"তাই বলবো আমি আমার মুসলিম ভাইদের কে, আমরা এখনো আমাদের অধিকার কে যদি বুঝে না নিতে পারি ।তাহলে আগামীতে এমন এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি আসছে যে কথা মুখে বোঝানো যায় না ।যেমন যেখানে যে ঔষধের প্রয়োজন সেখানে সেই ঔষধ ব্যবহার না করলে ইনফেকশন হয়ে যায় ।তদ্রূপ সত্য মিথ্যার পার্থক্য না করলে'শুধু বিপর্যয় নয়'বরং মহা-বিপর্যয় সৃষ্টি হয় ।

প্রবন্ধ:- বর্তমান বিশ্বে মিথ্যা অপবাদের শিকার হচ্ছে মুসলিম জাতি

বর্তমান বিশ্বে মিথ্যা অপবাদের শিকার হচ্ছে
                       মুসলিম জাতি
          @মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল@
                    মধ্য-বেনা,বাদুড়িয়া
আজ সারা বিশ্বে মুসলিমদের ওপরে বিভিন্ন দিক দিয়ে বর্তমান বিশ্বের মানব দরদী সংস্থা গুলি নির্মমভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে। কখনো বোমা ফেলছে তাদের ইবাদতগাহে,আবার কখনো তাদের বাস ঘরে। কখনো গুলি করে মারছে তাদের নেতাদের,আবার কখনো মারছে তাদের বাচ্চাদের। কখনো আবার তাদের ঘরের মেয়েদের তুলে নিয়ে এসে তাদের কে ধর্ষণ করছে।আবার কখনো তাদের গর্ভবতী মায়েদের পেটচিরে বাচ্চা বারকরে ত্রিশূলের আগায় নাঁচাচ্ছে। কখনো কখনো তাদের ওপরে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যাবত্ জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হচ্ছে। কখনো আবার তাদেরকে ফাঁসি দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। এই হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের মানব দরদীদের মানবতা। কিন্তু একেই কি বলে মানবতা? না একটা জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়া কেই বলে মানবতা? কই মুসলিমরা এমন ভাবে কোনো জাতির ওপরে তো অত্যাচার চালায় না। কাউকেই তো এরা বিনা দোষে দোষী সাব্যস্ত করে না। এরা তো এক সাথেই থাকতে চাই, এক পথে চলতে চাই,ও একসাথেই খেলতে চাই, এবং সবাই একে ওপরের বন্ধু হতে চাই। আর এটাই কী এদের অপরাধ? যখন হিটলার ইহুদিদের উপরে নির্মমভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে। তখনো তো ওই মানব দরদী সংস্থা গুলি মানবতা দেখায় নি। সেই মানবতা এবং উদারতা দেখিয়ে ছিল কারা জানো? যাদের কে আজ তোমরা নিঃস্ব করে দিতে চাইছো, তারাই সেদিন তোমাদের পাশে ছিল এবং তোমাদের মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করে দিয়ে ছিল। নুন খেয়ে নুন হারামি তাই না? তোমারই আবার মানবতা শেখাও! তোমরা মানবতার নাম করে একটা মানব জাতিকে পাঁঠার বলিতে বলি দিতে উঠে পড়ে লেগেছো তাই না! তোমাদের এটা মানবতা নয় বরং মেরে পোতা হচ্ছে এই নিরীহ মানুষদের কে। তবে মনে রেখে দিয়েও মুসলিম জাতি ভীতু নয়। এরা সত্যকে উদঘাটন করবেই। সেদিন ইঁদুরদের গর্তে পালাতে হবেই। বিশ্বাসীদের বুঝতে আর বাকি নেই কারা আজ সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কারা মানবতা কে হত্যা করছে। কারা দেশকে শ্মশান এবং কয়লার কারখানায় পরিণত করতে চাচ্ছে। এই মানব জাতি সজাগ হবেই হবে। জানি বিপদের আশঙ্কা হলে বিড়াল গাছে ওঠে,শিয়াল গর্তে ঢোকে,আবার শিয়াল বিড়াল ইঁদুরের রাজত্ব চলে  এই দুনিয়ায়। প্রকৃত মুসলিমরা রাজত্ব চায়না বরং এরা 'দ্বীন"প্রতিষ্ঠা করতে চাই। ন্যায় নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রক্তের প্রয়োজন হলে পিছপা হয় নাই। এরা শান্তিপূর্ণ রাজ্য রাষ্ট্র দেশ চাই।ভোগবাদীদের পতন চাই। শান্ত পরিবেশে স্বাধীন পতাকা ওড়াতে চাই। ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে খোলা আকাশের নিচে একসাথেই থাকতে চাই। জাতপাত দূর করে এঁকে ওপরের ভাই হয়ে সেই স্রষ্টার কাছে ফিরে যেতে চাই।।

শনিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৭

কবিতা :- মুজাহিদ

                   মুজাহিদ
         মোঃ তরিকুল ইসলাম

সত্যের পথে যদি দাও তুমি জান
লখ্য গুনে বাড়বেই সম্মান ।
মুজাহিদ-মুজাহিদ
বুকে তুলে নাও পাক-কুর'আন ।
মিশর-ভারত ও বাংলার
মা-বোনেদের
যারা করছে ইজ্জোত হরণ ।
তাদের কে করবো নাস্তানাবুদ
থাকতে মোদের জান ।
মুজাহিদ-মুজাহিদ
দাও গাও এই স্লোগান ।
হারাম হালাল চেনো আগে
মন্দ কথা বলো না রাগে ।
সার্থক হবেই তবে জীবন
আসে আসুক মরণ ।
মুজাহিদ-মুজাহিদ
তুমি সেই আল্লাহর দান ।
           সমাপ্ত

কবিতা:- কাফের হয়ে মরব না

     কাফের হয়ে মরব না
   তরিকুল ইসলাম খালাসী 

ঈমান যখন এনেছি ভাই
কফের হয়ে মরব না ।
বাতিলেরি পতাকা মোরা
কখন ভাই ধরবো না ।
সামনে চেয়ে এগিয়ে যাবো
ভয় করব না কাফেরদের ।
শক্তি যদি কম হয়ে যাই
চালিয়ে নেবেন আল্লাহ মোদের ।
উপোস করে থাকবো তবু
কাফেরদের কাছে চাইব না ।
খোদার পাঁচিল ডিঙ্গিয়ে মোরা
ঝাপ দিয়ে ভাই পড়বো না ।
বিঁধেছে কাঁটা ফুটেছে কাঁকর
ধৈর্য মোরা ধরবো হে ।
এর প্রতিফল চাইব মোরা
খোদার কাছে পাইব রে ।
ঈমান যেন যাই না চলে
খোদা রহম কর মোরে ।
কবুল তুমি করিলে খোদা
মোর মনের বাসনা মিটবে রে ।।
             সমাপ্ত 

কবিতা:- বিভেদের বেড়া জাল

       বিভেদের বেড়া জাল
@মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল@

জন্মেছি মোরা মানুষ হয়ে
রক্ত মোদের লাল
ভাই ভাইয়ের মধ্যে কে বুনিলো
বিভেদের বেড়া জাল ?
হিংসা বিভেদ ধ্বংসের কারণ
এরাই কেন হলো আপন?
কিসের মোহে পড়ে তুমি
বরবাদ করলে এ জীবন?
হিন্দু মুসলিম জৈন খ্রিস্টান
কেন এতো নামের গুঞ্জন?
মানুষ হয়েই তো জন্মেছি মোরা
হতে পারিনা আপন?
হাওয়া বাতাস রাতদিন
সূর্যের আলো তো  সমানেই পাই,
আর দেরি নয় এসো মোরা
একে অপরের ভাই হয়ে যায় ।।
               সমাপ্ত 

কবিতা:- প্রতিবাদ না করলে

              প্রতিবাদ না করলে
        মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

প্রতিবাদ না করলে
      শয়তানের হাত থেকে
                  মুক্তি পাবে না কেউ ।
   
পীর ফকির সুফি দরবেশ
                হোক না কেনো সেউ ।

 শয়তানের কৌশাল
         সত্যের কাছে দুর্বল
               তুমি যদি থাকো অটল

দেখবে পিছিয়ে গেছে
                   সাগরের ঢেউ ।।

                 সমাপ্ত

কবিতা:- দুঃস্বপ্ন

          দুঃস্বপ্ন
  মোঃতরিকুল ইসলাম মন্ডল

কি একটা সময়

            মনুষের কোনো হুশ নাই!

আঁধার রাতের দুঃস্বপ্নে

             জীবনটা সাজাই ।

দিনের বেলাই সুফি গাজি

            রাত হলে তার ধান্দাবাজি ।

কালো চাস্মা পরে সে

             জীবনটা কাটাই।

সুখ শান্তী পেতে সে
 
                    কি না করে ।

 জড়পদার্থের মতো তার

                    জীবনটিও ঝরে ।

তবুও সে.....

            সত্পথের কথা না ভেবে

অন্ধকার পথধরে

          জীবনে এগিয়ে যেতে চাই ।।

                 সমাপ্ত

কবিতা:- ভিন্ন খবর

ভিন্ন খবর
       মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
            মধ্য-বেনা,বাদুড়িয়া
ভিন্ন দেশে বাড়ি আমার
ভিন্ন কথা কই
তাই তো আমি মজলুম এতো
অত্যাচার সই ।
আশা মনে থাকবো আমি
সবারই পাশে
তাই তো ডাকি এসো থাকি
মিলে ও মিশে ।
মানুষ মোরা আমরা সবাই
আদমের সন্তান
আর দেরি নয় এসো মেনে নিই
আল্লাহরই বিধান ।
বিশাল উঁচু সবই নিচু
আছে যার হাতে মোর জান
তাঁর হুকুমেই সব কিছু ভাই
পাবেই সমাধান ।।
           সমাপ্ত

কবিতা:- সেদিন ওরা বুঝবে

সেদিন ওরা বুঝবে
       মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

লক্ষ্য মায়ের বক্ষে ব্যথা
রক্তাক্ত সন্তান
যদি থেকে যায় এই সমাজে ভাই
তবে কিসের গাও জয়গান?
লক্ষ্য উনোনে শূন্য হাড়ি
আর তোমরা দেখাও জমিদারি
ওরা রক্ত করলো পানি
আর তোমরা বানিয়েছ ভুঁড়ি !
ওদের রক্তে তোমার ফিরলো জীবন
যদিও হও তুমি ধনী
জীবন পেয়েই তুমি আবার
করেছ তাদের হয়রানি!
মানুষ তুমি আর মানুষ নহে
তুমি নিকৃষ্ট জন্তু
ভাবনার বিকাশ না ঘটালে
জন্তুরাই তোমার ছিড়ে খাবে কিন্তু ।
থাকতে সময় জাগতে হবে
তবেই সময়ের মূল্য পাবে
ভাইকে বাঁচাতে রক্ত দেবে
দেখবে সেদিন ওরা বুঝবে ।।
             সমাপ্ত

কবিতা:- ধ্বংসের পথে

ধ্বংসের পথে
          মোঃতরিকুল ইসলাম

মানব সমাজে ধষ নেমেছে

                        ওই বাধ বাদবে কে?

শিক্ষিত বুদ্বীজিবিরা করছে ভুল

                     গলাধাক্কা দেই মানব কে।

আর ঠেকাতে পারবে না

              যতুই হোক তোমার চেনা।

মারলে খেতে হবে মার

           তবুও মনের আশা মেটবে না।

মনের আশা যদি মেটাতে হয়

                 আল্লাকে ভাই কররে ভয়।

সুখ শান্তী আরাম আয়েস

                  সবকিছু থাকবে বজায়।

কুরআন কে তুমি আকড়ে ধরো

                 বেশি করে কালেমা পড়ো।

যুগের সাথে তালমিলিয়ে

            জীবন দিয়ে জীহাদ করো।।

                    সমাপ্ত

কবিতা:- আছি সেই দিনের অপেক্ষায়

     আছি সেই দিনের অপেক্ষায়
  @মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল@
          মধ্য-বেনা,বাদুড়িয়া
আমরা আছি সে দিনের অপেক্ষায় ।
যেদিন মিথ্যা পারবে না
সত্যকে আড়াল করতে
দুষ্কৃতী পারবে না
মায়ের বুক খালি করতে ।
যেদিন থাকবে না পড়ে
ভায়ের লাশ অলিতে গলিতে
আর লজ্জায় বোন ঢাকবে না মুখ
ঝোলানো ওই দড়িতে ।
যেদিন ক্ষুধার্ত ক্ষুধার চোটে
ঘুরবে না আর পথে পথে
বেকারত্ব দূর হবে
সমাজ হতে ।
যেদিন গরিব তার ন্যায্য অধিকার
পাবে ফিরে
আর মজলুম মুক্তি পাবে
সঠিক বিচারে ।
যেদিন আকাশ বাতাস
শান্ত হবে
অপরাধী লজ্জায়
মুখ ঢাকবে,আর বলবে
হায়-কেন ছিলাম অন্ধ
কেন করেছি দ্বন্দ্ব
পারলাম না দিতে
সমাজকে আনন্দ!
আছি...........
সেই দিনের অপেক্ষায়।।
             সমাপ্ত

কবিতা:- একটু ভাববেন জনগণ

          একটু ভাববেন জনগণ
        @মোঃ তরিকুল ইসলাম@

যারা বুদ্ধির বলে আজ
মানুষকে ঠকায়
সত্যিই কী তারা বুদ্ধিমান ?
একটু ভাববেন জনগণ ।

তোমার টাকা আমার টাকা
ওরা শুধু পকেট করছে ফাঁকা
তোমার আমার দুর্বল পেয়ে
ওরা বানিয়েছে বোকা ।

এই ভাবে চলছে বলে
দেশটা গেছে রসাতলে
আর কতো দিন সোইবো অপমান !
একটু ভাববেন জনগণ।

নেতারা মিছিলে নিয়ে
তোমার আমার বন্দুকের সামনে দিয়ে
ওরাই আবার দেয় পিছুটান
একটু ভাববেন জনগণ ।
                 সমাপ্ত

কবিতা:- কিসের জন্য

                     কিসের জন্য
            মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

আগুন হয় যদি
ফুলের বাগান
তবে কেন হতাশ হও
মুসলমান ?
লালসার ছোবলে
তুমি জ্ঞান হারিয়ে
বিক্রি কর না
ঈমান ।
মোরা করুণাময়কে পেয়েও
মরণের ভয় করে
কেন আছি দূরে ?
তারাই তো ভয় করে
শয়তানের হাত ধরে
যারা গেছে বহুদূরে ।
সৎ সাহস নিয়ে
এগিয়ে এসেছেন যারা
তারাই হয়েছে ধন্য ।
মোরা ভেবেছি কি একবারও
দুনিয়াটা সৃষ্টি
তিনি করেছেন কিসের জন্য ?
              সমাপ্ত
03/02/2015
14/04/2017

কবিতা:- ভেদাভেদ

             ভেদাভেদ
মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

এসো মোরা একসাথে
সুখ দুঃখ ভাগ করি
হিংসা ভুলে গিয়ে
এগিয়ে যাওয়ার পথ ধরি ।
তোমার রক্তে যদি
ফেরে আমার জীবন
তবে বলো ভেদাভেদ
কিসের প্রয়োজন ?
সমাজ নীতি অর্থ নীতির মানে কী
শত্রুতা ?
এসো না মোরা বাঁচায়
মানবতা ।
   
    03-04-2017

কবিতা:- তুচ্ছ

             তুচ্ছ
মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

দুনিয়ার আইন নগণ্য
অপরাধী পাই না সাঁজা ।
নির্দোষ মানুষের ধরে তারা
চাপায় অপরাধের বোঝা ।
মিথ্যা ছলনা অপবাদ প্রতারণা
জয় কখনো হবে না ।
তাদের তরে সেই খানে
আছে কঠিন যন্ত্রণা ।
দুনিয়ার আইন ছেড়ে দাও
খোদার আইন মেনে নাও
তবেই পাবে শান্ত না ।
সেই আদালতে সূক্ষ্ম বিচার
হবেই হবে ।
দুর্বল অসহায় মজলুম যারা
তারা শান্তি পাবে ।
আফসোস হবে তাদের শুধু
যারা দুনিয়ায় বাহাদুরি করবে ।।

                সমাপ্ত
26/05/2014

গান :- সমাজ

                সমাজ
তরিকুল ইসলাম খালাসী

আমি নিজেকে কবি বলবো না
তবু কবিতা লিখি ।
বর্তমান যে জামানা
হায়-হায় মোদের হবে কী ?
চোরেরা পাঠ নেয়
রাজা বাদশার ।
মূর্খরা হতে চাই
হ্যাড-মাস্টার ।
আজ সমাজের শিক্ষিতদের
কোনো মূল্য আছে কী  ?
ওরাই তো করছে
অন্যায় জুলুম অবিচার ।
যারা দুর্বল মজলুম
তাদের উপর ।
এমন সরকার
মোদের নেই দরকার
এদেশ কে সবাই
বাঁচাবে কী ?
দাও হাতে হাত কাঁধে কাঁধ
সামনে আসুক যতই বিপদ।
সব মাড়িয়ে একসাথে
সত্যের পথে চলবে কী ?

            সমাপ্ত
11/11/2014

কবিতা:- অস্ত্র

                অস্ত্র
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
          07/04/2017
অস্ত্র!তাতে কি হয়েছে!
ওরা তো শিশু,
নানা ওরা বড়ো হয়ে
করবে অনেক কিছু।
আরে ওরা তো নারী দুর্বল জাত
নানা তুমি কি জানো ওরাই ভবিষ্যত!
আচ্ছা ওরা নাকি পুরুষের
চুষে খেতে চাই?
তাই কি কখনো হয়!
 স্রষ্টার সৃষ্টি সব চলে জাননা!
নিয়ম মেনেই,
যতই বাড়াবাড়ি করুক আছে সব
অতি দুর্বলের আওতায়।
আরে বাঁদরের হাতে খোন্তা দিয়ে কি কখনো
ঢোলের বাজনা পাওয়া যায় ?
তবুও সাবধান হওয়া ভালো নয়!
ঠিক যেমনি শেখে তেমনই বাজায় ।



কবিতা:- এসো এক গাছের নিচে

  এসো এক গাছের নিচে
মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

সত্য কথা বললে
তাঁরা আজও দুমকে মরে ।
সত্যের পথে চললে
তাঁরাই মোদের জেলে ভরে ।
তবুও করিনা  ভয়
জোরালো কণ্ঠে বলতে চাই ।
হে আমার মতো
মানব সন্তান
এসো ওই
বিশাল এক গাছের ছায়ায় ।
যাঁর স্বস্তি নিশ্বাস
চিরশান্তিময় ।
চাইতে যদি তোমাদের হয়
এসো এক স্রষ্টার কাছেই চাই ।
উলঙ্গ মানব মূর্তির কাছে
কেন মোরা হয় ঠাঁই ?
যারা পারে না নিতে
পারে না খেতে
তাঁরাই কি কখনো
পারে দিতে ?
জীবনের প্রত্যেকটা দিন
যদি হয়ে যাও ঋণ
তবে কি ভাবে
স্রষ্টার সম্মুখে
মুখ দেখাবে সেইদিন ?

          সমাপ্ত
18/01/2015

প্রবন্ধ:- বর্তমান মুসলমানদের পরিস্থিতি

বর্তমান মুসলমানদের পরিস্থিত
       @মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল@
                  মধ্য-বেনা,বাদুড়িয়া
বাংলার মুসলমানরা যেন ক্রীতদাসদের ন্যায়ে
তাগুতের তাবেদারি করছে। যেদিকে জোয়ার আসছে সেদিকেই গা-ভাসিয়ে দিচ্ছে ।কিন্তু এরা জানে না এদেরকে মাগুর মাছেরা ছিন্নভিন্ন করে খাওয়ার চেষ্টা করছে!নানান রকম ফাঁদ পেতে রেখেছে ।সেই ফাঁদে পা-দেওয়ার কারণেই আজ এরা জুলুমের শিকার হচ্ছে ।আসলে শয়তানের কৌশল যে বড়ুই দুর্বল ।এই কথা যেন তুচ্ছ মনে করে নিয়েছে ।এরা নামাযে বলছে আল্লাহ তোমারি ইবাদত করি এবং তোমার কাছেই সাহায্য চাই,এই অঙ্গীকারও করছে ।
কিন্তু এরাই আবার প্রকাশ্য বলে C.P.I.Mকংগ্রেস T.M.Cআমাদের খাওয়ায় পরাই।এরা যেন ওদের পোষা কুকুরদের নেয়।খাওয়ার ছুড়ে দেওয়ার আগেই লাফিয়ে খেতে যায় ।ইসলামিক পরিভাষায় এদের কে মুসলমান বলা যায় না বরং এরা ভণ্ড ।এরা মুসলমানের রূপ ধারণ করে মুসলিমদের ধোঁকা দিচ্ছে ।
এরা আল্লাহর ওই কথা কে অস্বীকার করে ।
যে কথা আল্লাহর প্রেরিত রসূলের বাণী ছিল ।
'আকিমুদ্দিন" অর্থাত্-দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দলোনের  কথা ।এরা কুরআন কে আরবি সুরেই মেনে নিয়েছে ।কিন্তু আরবির অর্থ বুঝতে চাই না ।ইসলামের সহজ হুকুম গুলোকে আঁটা কামড় দিয়েই মেনে নেয় ।কিন্তু বাতিল পথকে রুখে দেওয়ার মতো হুকুম গুলিকে মেনে নিতে পারে না ।জীবনের লক্ষ এদের দুই নৌকায় পা-দেওয়ার মতো ।আল্লাহ্ কাফেরদের থেকেও এই মুনাফিকদের পরিস্থিতির কথা কুরআনে বলেছেন বেশি করে ।
কারণ মুনাফিকরাই ইসলামের সবচেয়ে বেশি
ক্ষতিকারক।কুরআনে আল্লাহ্ পাক বলছেন ।যখন তাদেরকে বলা হয় :তোমরা এসো,
আল্লাহর রসূল তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন, তখন তারা মাথা ঘুরিয়ে নেয় এবং আপনি তাদেরকে দেখবেন যে, তারা অহঙ্কার করে মুখ ফিরিয়ে নেয় (5:মুনাফিকুন)।এবং
আরও বলেন :দুর্ভোগ সেসব নামাযীর,যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর; যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে(4:5:6 আল-মাউন)।
আল্লাহ্ পাক সূরা-বাক্বারার মধ্যে বলেন :(বিপথগামী ওঁরাই )যারা আল্লাহর সঙ্গে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়ার পর তা ভঙ্গ করে এবং আল্লাহ্ পাক যা অবিচ্ছিন্ন রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন, তা ছিন্ন করে,আর পৃথিবীর বুকে অশান্তি সৃষ্টি করে ।ওরা যথার্থই ক্ষতিগ্রস্ত(27) ।
বাংলার মুসলমানদের পরিস্থিতি ঠিক এরা কমই ।এরা আল্লাহর নিষিদ্ধ মদ জুয়া চুরি গুণ্ডা বাজি  এবং বেশ্যা বারের কর্ম নিজেরা না করলেও পূর্ণাঙ্গ সমর্থন করে যাচ্ছে ।কিন্তু আল্লাহর আদেশ ছিল, এই সমস্ত অপকর্মকে নিজেদের জীবন থেকে পরিত্যাগ করা । এবং এই পরিত্যাগ করা কে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা অনুযায়ী বাস্তবায়িত করার প্রচেষ্টা করা।কিন্তু যারা মুসলমান নাম নিয়ে জোয়ারে গা-ভাসিয়েছে। তারা কী আল্লাহর ওই সমস্ত হুকুম গুলি পালন করছে?যারা আল্লাহর হুকুমকে বাস্বায়ন করে না তারা কী কখনোই মুসলমান হতে পারে?আল্লাহর রসূলের ভাষায় এরা কখনোই মুসলমান হতে পারে না ।
মুসলমান তো তারাই হবে, যারা A to Z আল্লাহর হুকুমকে নিজের জীবনে মেনে নেবে ।ও গ্রাম অঞ্চল ব্লক রাজ্যে এবং রাষ্ট্রীয় ভাবে বাস্বায়নের প্রচেষ্টা করবে ।কিন্তু সেই সংখ্যক মুসলমান তো  খুবই কম ।এই কম থাকার পরেও কি তিন হাজারের বিরুদ্ধে তিনশো তেরো জন যথেষ্ট ছিল না বদরের যুদ্ধে!মুসলিম লিগের নেতা হাসানুজ্জামান কে জ্যাতিবাবু বলেছিলেন, জামান সাহেব তুমি পার্লামেন্টে এসে একা কি করবা? জমান সাহেব বলেছিলেন জ্যাতিবাবু আপনার মুখে দাঁত কোয়টি ?জ্যাতিবাবু বললেন কেন বত্রিশটি ।জামানসাহেব বলেছিলেন বাবু বত্রিশটি দাঁতে ব্রাশ লাগে কটি?
জ্যাতিবাবু নিজেই বলেছিলেন একটি ।জামান সাহেব বলেছিলেন দেখুন বত্রিশটি দাঁতে যদি একটি ব্রাশ যথেষ্টই হয়।পার্লামেন্টে সত্যের জন্য একাই যথেষ্ট ।আজ বিশেষ করে বাংলার আলেমরা কিছু নগদ পাবার জন্য ইসলাম থেকে দূরে সরে গিয়েছে ।তাই দেখে সাধারণ মুসলমানরা বিচলিত হয়ে পড়েছে ।যারা আমরা কুরআন প্রেমিক রাসূল প্রেমিক ইসলাম প্রেমিক তারা কী কখনোই বাতিলের সাথে আদানপ্রদান করতে পারে?তাই যদি হয় রাসূল্লাহ(সঃ)শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থা আনতে আল্লাহর হুকুমকে লঙ্ঘন করে কাফেরদের কোনো চুক্তি কী মেনে নিয়ে ছিলেন?
ও বাংলার আলেমরা! তাহলে আপনারা ওই সমস্ত অপকর্ম গুলি মেনে নেন কেন? এটা ভারত বর্ষ হিন্দুত্ববাদের দেশ ।তাই কী আপনারা ভয় পান?কে বলেছে এটা হিন্দুত্ববাদেরে দেশ! এটা সেই আল্লাহর সৃষ্টি জমিন ।এই আল্লাহর জমিনে আল্লাহর হুকুম চলবে না এ কেমন কথা?আপনারা কি অঙ্গীকার করেননি? আমরা মুসলমান! তাহলে কেন,কেন মেনে নেন ওই অশ্লীল আচারণ গুলি কে!
আফসোস মোদের বড়োই আফসোস ।হ্যাঁ-এটা সর্ব জাতির বসবাসের দেশ ।প্রত্যেকে প্রত্যেকেই নিজস্ব ধর্মকে পালন করতে পারে ।কিন্তু অপকর্ম গুলি প্রত্যেক জাতির জন্যই কি ক্ষতিকারক নয়? আমার দেশের হিন্দু-মুসলিম জৈন-খ্রিস্টান বোদ্ধ এবং ছোটোজাত-উঁচু জাত প্রত্যেকেই আমরা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানুষ ।তাই জাতি বর্ণ নির্বিশেষে এসো আমরা সকলেই একসাথে আবার অন্যায়কে উৎখ্যাত করে ন্যায় নিষ্ঠা দিয়ে গ্রাম-অঞ্চল রাজ্য-রাষ্ট্র গড়ে তুলি ।

কবিতা:- কিয়ামত

                       কিয়ামত
         মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
               মধ্য-বেনা, বাদুড়িয়া

             দ্বীর্ণ-বিদীর্ণ হইবে যখন
            আসিবে তখন কিয়ামত ।
      দুনিয়ায় দেখানো খোদার শিখানো
             আছে বড়োই নিয়ামত ।
           কবর যখন খুলিয়া দেবে,
               সমুদ্র যাইবে ফেটে ।
             মানুষ তখন হাহাকারে
              উঠবে খোদার ডেকে ।
           ভয়ে ভীতু মানুষেরা তখন
              বলিতে থাকিবে হায় ।
             এমন দৃশ্য তো কখনও
                মোরা দেখি নাই ।
           সত্য মিথ্যা বাঁছাই হইবেই
               কিয়ামতের মাঝে ।
           সত্য পন্থীরা চলিয়ে যাইবে
               গুলবাগিচার দিকে ।
          পাপিদের মুখে রইবে তখন
                হায়রে হায়রে হায় ।
         এমন দিন আসিবে জানিলে
               করিতাম না অন্যায় ।
            হে প্রভু এ দিনের তরে
             ছাড়িয়া দাও আমায় ।
           পুনর্জন্মে আসিয়া আমি
           এবাদাত করিব তোমায় ।।

                       সমাপ্ত

কবিতা:- শিশু হারা মা

               শিশু হারা মা
     মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

সৃষ্টি তুমি করেছিলে
কেন তুলে নিলে ।
                কোন্ জনমের তুমি
                প্রতিশোধ নিলে?
ভেঙে গেলো ঘর,
হলাম যাযাবর ।
                কতো আশা ছিল এ জীবনে
                হায় কি পেলাম আজ প্রতিদানে ।
বাচ্চার এই স্মৃতি নিয়ে
বেঁচে থাকা বড়ো দায় ।
                কাকে যে বোঝাব আমি
                লাগে কতো অসহায় ।
আঁধারে কেটেছে জীবন
আলো তাই সাইলো না ।
                আমার নয়ণমণি
                আর আমার থাকলো না ।
যার ধমণীতে বয়
আমার এই রক্ত কণা ।
                সে যখন আঘাত করে
                সয়না সে বেদনা ।
কী চেয়েছিলাম আজ কিযে হলো
কতো আশা ছিল ।।

                    সমাপ্ত

শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৭

প্রবন্ধ:- উদারতার প্রয়োজন

             উদারতার প্রয়োজন
            তরিকুল ইসলাম খালাসী

প্রয়োজন মোদের একতা,
               প্রয়োজন মোদের সততা,
প্রয়োজন মোদের সিংহ সাহস,
               আর প্রয়োজন উদারতা ।
কিন্তু আজ সারা বিশ্বে মানবজাতির মধ্যে হিংসা হিংসা আর হিংসা। একটি মানুষ আর একটি মানুষের মধ্যে বিরাট এক প্রাচীর হয়ে উঠেছে। কিন্তু তা কেন! এটাই কী মানুষের বৈশিষ্ট্য? আমরা প্রত্যেকেই বলব, না! কখনোই এটা মানুষের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। তাহলে কেন জাতিতে জাতিতে দন্দ চলছে? করণ একটাই, আজ মানুষ তার সৃষ্টি কর্তাকে চিনতে না পারার কারণেই এই বর্বরতার শিকার হচ্ছি আমরা। যতদিন সৃষ্টি কর্তাকে না চিনতে পারবো,
ততদিন আমরা বিপদ গ্রস্ত হতেই থাকবো।তাহলে উপায়! আমাদের একতা, আমাদের সততা,মানুষ মানুষের ভালবাসা, স্রষ্টার হুকুমকে মেনে নেওয়া, আর মিথ্যা প্রবঞ্চনার নাগাল থেকে বহু দূরে থাকা এবং নিজেকে খাঁটি মানুষ হিসাবে গড়ে তোমায় হচ্ছে মানুষের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু আজ সে একতা কোথায়? সততা কোথায়?
ভালবাসা কোথায়? স্রষ্টার হুকুম মানার তো দূরের
কথা,বরং স্রষ্টার হুকুম মানার নাম করেই নানান রকম দলাদলি মারামারি খুনোখুনি রাহাজানি চলতেই আছে আমাদের এই সমাজে। আচ্ছা বলুন তো!পৃথিবীর স্রষ্টাকজন? আমরা প্রত্যেকেই
বলব, তিনি 'এক" এবং অদ্বিতীয়। তাহলে এতো ঝগড়া কেন!রক্তপাত কেন? আমি বলব স্বার্থসিদ্ধির জন্য। সে ব্যক্তি কারা? যারা দুনিয়ার মহে পাগল হয়ে গেছে,তারা ধর্মের কতিপয় বাহ্যিক অনুষ্ঠান পালন করে শুধু নিয়ম পালনের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত কয়েকটা ধর্মীয় কাজ করে।এবং তাকওয়ার কয়েকটা রূপের প্রদর্শনী করে। এটিই আসলে সৎকাজ নয়, বরং সেই স্রষ্টার পবিত্র গ্রন্থ আল্-কুরআনুল্-কারিমের মধ্যে বলছেন : সৎকাজ শুধু এই নয় যে পূর্ব দিকে কিম্বা পশ্চিম দিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর, কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মোহব্বতেঁ আত্মীয়-স্বজন, এতেম মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃতপ্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তাঁরাই হল সত্যশ্রয়ী,আর তারাই পরহেযগার।  (বাক্বারা-177)এবারে আপনারা বলুন! যারা কিছু ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে তারা কী সত্যিই স্রষ্টার পথের পথিক? না কখনই এরা স্রষ্টার পথের পথিক হতে পারে না বরং এরা স্রষ্টাদ্রোহী।তাহলে স্রষ্টার পথের পথিক কারা? যারা স্রষ্টার হুকুমকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে নেই এবং সমাজে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করে,  আর যখন তার ভাইদের সাথে কথা বলে নম্রতার সহিত কথা বলে, এরাই হচ্ছে সেই স্রষ্টার পথের পথিক। এদের উপরে যখন জালেমরা অত্যাচার করে তখনও এরা সাহসিকতার সহিত সত্য কথাটাই মানুষ কে বলে, এবং ধৈর্য্য ধারণ করে সততার পরিচয় দেই। এরা কখনো কট্টরপন্থী হয় না বরং এরাই হয় উদারপন্থী। তাহলে আমাদের হতে হবে কী কট্টরপন্থী না উদারপন্থী? আমাদের হতে হবে উদারপন্থী। কারণ,স্রষ্টা পবিত্র আল্-কুরআনুল্-কারিমের মধ্যে বলছেন : আমি জিন জাতি এবং মানুষ জাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধু আমার দাসত্ব করার জন্যেই। (আয-যারিয়াত-56) অর্থাত্- আমি তাদেরকে অন্য কারো দাসত্বের জন্য নয় আমার নিজের দাসত্বের জন্য সৃষ্টি করেছি। তারা আমার দাসত্ব করবে এজন্য যে, আমি তাদের স্রষ্টা। যখন অন্য কেউ এদের সৃষ্টি করেনি তখন তার দাসত্ব করার কি অধিকার এদের আছে? তাছাড়া তাদের জন্য এটা কি করে বৈধ হতে পারে যে, এদের স্রষ্টা আমি অথচ এরা দাসত্ব করবে অন্যদের! এই ব্যাক্ষা থেকে কি আমাদের এটাই শিক্ষা নয় যে, আমরা সেই স্রষ্টার দাস! সেই  আল্-কুরআনুল্-কারিমের মধ্যে অধিকাংশ আয়াতেই তিনি বলেছেন :আমি নিতান্ত দয়ালু এবং করুণাময়। স্রষ্টা যদি এতুই উদার হয়,  তাহলে তাঁর বান্দাদের  কোন্ পন্থী হওয়া উচিত? অবশ্যই উদারপন্থী হওয়া উচিত। এবং তিনিও পছন্দ করেন তাঁর হুকুম মেনে চলা মানুষদের কে। তাই বলব হিংসা দিয়ে হিংসা নয় মারামারি করে নয় খুনোখুনি করে নয় বরং আমাদের প্রয়োজন একতা বদ্ধ হওয়া,আর প্রয়োজন সৎ ও সাহসিকতার,একে ওপরের প্রতি ভালবাসা এবং প্রয়োজন উদারতার ।।
                                 
                         

কবিতা:- বিদ্রূপ

              বিদ্রূপ
  তরিকুল ইসলাম খালাসী 
         
হোক না যতই ছোট মানুষ
তাকে ছোট ভেবো না ।
আর হোক না কেউ সাদাসিধে
তাকে পাগল বলো না ।
ওই বাচ্চাটাকে এতিম বলে
গলা ধাক্কা দিওনা ।
হাজার শত্রু হলে তুমি
তাঁকেও খতি করনা ।
বধির বোবা অন্ধ দেখে
ঠাট্টা বিদ্রূপ করনা ।
মরার পরে শাস্তি আছে
মুক্তি সেদিন পাবে না ।।
            সমাপ্ত
১০.০৪.০১৭