উদারতার প্রয়োজন
তরিকুল ইসলাম খালাসী
প্রয়োজন মোদের একতা,
প্রয়োজন মোদের সততা,
প্রয়োজন মোদের সিংহ সাহস,
আর প্রয়োজন উদারতা ।
কিন্তু আজ সারা বিশ্বে মানবজাতির মধ্যে হিংসা হিংসা আর হিংসা। একটি মানুষ আর একটি মানুষের মধ্যে বিরাট এক প্রাচীর হয়ে উঠেছে। কিন্তু তা কেন! এটাই কী মানুষের বৈশিষ্ট্য? আমরা প্রত্যেকেই বলব, না! কখনোই এটা মানুষের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। তাহলে কেন জাতিতে জাতিতে দন্দ চলছে? করণ একটাই, আজ মানুষ তার সৃষ্টি কর্তাকে চিনতে না পারার কারণেই এই বর্বরতার শিকার হচ্ছি আমরা। যতদিন সৃষ্টি কর্তাকে না চিনতে পারবো,
ততদিন আমরা বিপদ গ্রস্ত হতেই থাকবো।তাহলে উপায়! আমাদের একতা, আমাদের সততা,মানুষ মানুষের ভালবাসা, স্রষ্টার হুকুমকে মেনে নেওয়া, আর মিথ্যা প্রবঞ্চনার নাগাল থেকে বহু দূরে থাকা এবং নিজেকে খাঁটি মানুষ হিসাবে গড়ে তোমায় হচ্ছে মানুষের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু আজ সে একতা কোথায়? সততা কোথায়?
ভালবাসা কোথায়? স্রষ্টার হুকুম মানার তো দূরের
কথা,বরং স্রষ্টার হুকুম মানার নাম করেই নানান রকম দলাদলি মারামারি খুনোখুনি রাহাজানি চলতেই আছে আমাদের এই সমাজে। আচ্ছা বলুন তো!পৃথিবীর স্রষ্টাকজন? আমরা প্রত্যেকেই
বলব, তিনি 'এক" এবং অদ্বিতীয়। তাহলে এতো ঝগড়া কেন!রক্তপাত কেন? আমি বলব স্বার্থসিদ্ধির জন্য। সে ব্যক্তি কারা? যারা দুনিয়ার মহে পাগল হয়ে গেছে,তারা ধর্মের কতিপয় বাহ্যিক অনুষ্ঠান পালন করে শুধু নিয়ম পালনের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত কয়েকটা ধর্মীয় কাজ করে।এবং তাকওয়ার কয়েকটা রূপের প্রদর্শনী করে। এটিই আসলে সৎকাজ নয়, বরং সেই স্রষ্টার পবিত্র গ্রন্থ আল্-কুরআনুল্-কারিমের মধ্যে বলছেন : সৎকাজ শুধু এই নয় যে পূর্ব দিকে কিম্বা পশ্চিম দিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর, কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মোহব্বতেঁ আত্মীয়-স্বজন, এতেম মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃতপ্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তাঁরাই হল সত্যশ্রয়ী,আর তারাই পরহেযগার। (বাক্বারা-177)এবারে আপনারা বলুন! যারা কিছু ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে তারা কী সত্যিই স্রষ্টার পথের পথিক? না কখনই এরা স্রষ্টার পথের পথিক হতে পারে না বরং এরা স্রষ্টাদ্রোহী।তাহলে স্রষ্টার পথের পথিক কারা? যারা স্রষ্টার হুকুমকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে নেই এবং সমাজে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করে, আর যখন তার ভাইদের সাথে কথা বলে নম্রতার সহিত কথা বলে, এরাই হচ্ছে সেই স্রষ্টার পথের পথিক। এদের উপরে যখন জালেমরা অত্যাচার করে তখনও এরা সাহসিকতার সহিত সত্য কথাটাই মানুষ কে বলে, এবং ধৈর্য্য ধারণ করে সততার পরিচয় দেই। এরা কখনো কট্টরপন্থী হয় না বরং এরাই হয় উদারপন্থী। তাহলে আমাদের হতে হবে কী কট্টরপন্থী না উদারপন্থী? আমাদের হতে হবে উদারপন্থী। কারণ,স্রষ্টা পবিত্র আল্-কুরআনুল্-কারিমের মধ্যে বলছেন : আমি জিন জাতি এবং মানুষ জাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধু আমার দাসত্ব করার জন্যেই। (আয-যারিয়াত-56) অর্থাত্- আমি তাদেরকে অন্য কারো দাসত্বের জন্য নয় আমার নিজের দাসত্বের জন্য সৃষ্টি করেছি। তারা আমার দাসত্ব করবে এজন্য যে, আমি তাদের স্রষ্টা। যখন অন্য কেউ এদের সৃষ্টি করেনি তখন তার দাসত্ব করার কি অধিকার এদের আছে? তাছাড়া তাদের জন্য এটা কি করে বৈধ হতে পারে যে, এদের স্রষ্টা আমি অথচ এরা দাসত্ব করবে অন্যদের! এই ব্যাক্ষা থেকে কি আমাদের এটাই শিক্ষা নয় যে, আমরা সেই স্রষ্টার দাস! সেই আল্-কুরআনুল্-কারিমের মধ্যে অধিকাংশ আয়াতেই তিনি বলেছেন :আমি নিতান্ত দয়ালু এবং করুণাময়। স্রষ্টা যদি এতুই উদার হয়, তাহলে তাঁর বান্দাদের কোন্ পন্থী হওয়া উচিত? অবশ্যই উদারপন্থী হওয়া উচিত। এবং তিনিও পছন্দ করেন তাঁর হুকুম মেনে চলা মানুষদের কে। তাই বলব হিংসা দিয়ে হিংসা নয় মারামারি করে নয় খুনোখুনি করে নয় বরং আমাদের প্রয়োজন একতা বদ্ধ হওয়া,আর প্রয়োজন সৎ ও সাহসিকতার,একে ওপরের প্রতি ভালবাসা এবং প্রয়োজন উদারতার ।।
তরিকুল ইসলাম খালাসী
প্রয়োজন মোদের একতা,
প্রয়োজন মোদের সততা,
প্রয়োজন মোদের সিংহ সাহস,
আর প্রয়োজন উদারতা ।
কিন্তু আজ সারা বিশ্বে মানবজাতির মধ্যে হিংসা হিংসা আর হিংসা। একটি মানুষ আর একটি মানুষের মধ্যে বিরাট এক প্রাচীর হয়ে উঠেছে। কিন্তু তা কেন! এটাই কী মানুষের বৈশিষ্ট্য? আমরা প্রত্যেকেই বলব, না! কখনোই এটা মানুষের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। তাহলে কেন জাতিতে জাতিতে দন্দ চলছে? করণ একটাই, আজ মানুষ তার সৃষ্টি কর্তাকে চিনতে না পারার কারণেই এই বর্বরতার শিকার হচ্ছি আমরা। যতদিন সৃষ্টি কর্তাকে না চিনতে পারবো,
ততদিন আমরা বিপদ গ্রস্ত হতেই থাকবো।তাহলে উপায়! আমাদের একতা, আমাদের সততা,মানুষ মানুষের ভালবাসা, স্রষ্টার হুকুমকে মেনে নেওয়া, আর মিথ্যা প্রবঞ্চনার নাগাল থেকে বহু দূরে থাকা এবং নিজেকে খাঁটি মানুষ হিসাবে গড়ে তোমায় হচ্ছে মানুষের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু আজ সে একতা কোথায়? সততা কোথায়?
ভালবাসা কোথায়? স্রষ্টার হুকুম মানার তো দূরের
কথা,বরং স্রষ্টার হুকুম মানার নাম করেই নানান রকম দলাদলি মারামারি খুনোখুনি রাহাজানি চলতেই আছে আমাদের এই সমাজে। আচ্ছা বলুন তো!পৃথিবীর স্রষ্টাকজন? আমরা প্রত্যেকেই
বলব, তিনি 'এক" এবং অদ্বিতীয়। তাহলে এতো ঝগড়া কেন!রক্তপাত কেন? আমি বলব স্বার্থসিদ্ধির জন্য। সে ব্যক্তি কারা? যারা দুনিয়ার মহে পাগল হয়ে গেছে,তারা ধর্মের কতিপয় বাহ্যিক অনুষ্ঠান পালন করে শুধু নিয়ম পালনের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত কয়েকটা ধর্মীয় কাজ করে।এবং তাকওয়ার কয়েকটা রূপের প্রদর্শনী করে। এটিই আসলে সৎকাজ নয়, বরং সেই স্রষ্টার পবিত্র গ্রন্থ আল্-কুরআনুল্-কারিমের মধ্যে বলছেন : সৎকাজ শুধু এই নয় যে পূর্ব দিকে কিম্বা পশ্চিম দিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর, কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মোহব্বতেঁ আত্মীয়-স্বজন, এতেম মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃতপ্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তাঁরাই হল সত্যশ্রয়ী,আর তারাই পরহেযগার। (বাক্বারা-177)এবারে আপনারা বলুন! যারা কিছু ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে তারা কী সত্যিই স্রষ্টার পথের পথিক? না কখনই এরা স্রষ্টার পথের পথিক হতে পারে না বরং এরা স্রষ্টাদ্রোহী।তাহলে স্রষ্টার পথের পথিক কারা? যারা স্রষ্টার হুকুমকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে নেই এবং সমাজে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করে, আর যখন তার ভাইদের সাথে কথা বলে নম্রতার সহিত কথা বলে, এরাই হচ্ছে সেই স্রষ্টার পথের পথিক। এদের উপরে যখন জালেমরা অত্যাচার করে তখনও এরা সাহসিকতার সহিত সত্য কথাটাই মানুষ কে বলে, এবং ধৈর্য্য ধারণ করে সততার পরিচয় দেই। এরা কখনো কট্টরপন্থী হয় না বরং এরাই হয় উদারপন্থী। তাহলে আমাদের হতে হবে কী কট্টরপন্থী না উদারপন্থী? আমাদের হতে হবে উদারপন্থী। কারণ,স্রষ্টা পবিত্র আল্-কুরআনুল্-কারিমের মধ্যে বলছেন : আমি জিন জাতি এবং মানুষ জাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধু আমার দাসত্ব করার জন্যেই। (আয-যারিয়াত-56) অর্থাত্- আমি তাদেরকে অন্য কারো দাসত্বের জন্য নয় আমার নিজের দাসত্বের জন্য সৃষ্টি করেছি। তারা আমার দাসত্ব করবে এজন্য যে, আমি তাদের স্রষ্টা। যখন অন্য কেউ এদের সৃষ্টি করেনি তখন তার দাসত্ব করার কি অধিকার এদের আছে? তাছাড়া তাদের জন্য এটা কি করে বৈধ হতে পারে যে, এদের স্রষ্টা আমি অথচ এরা দাসত্ব করবে অন্যদের! এই ব্যাক্ষা থেকে কি আমাদের এটাই শিক্ষা নয় যে, আমরা সেই স্রষ্টার দাস! সেই আল্-কুরআনুল্-কারিমের মধ্যে অধিকাংশ আয়াতেই তিনি বলেছেন :আমি নিতান্ত দয়ালু এবং করুণাময়। স্রষ্টা যদি এতুই উদার হয়, তাহলে তাঁর বান্দাদের কোন্ পন্থী হওয়া উচিত? অবশ্যই উদারপন্থী হওয়া উচিত। এবং তিনিও পছন্দ করেন তাঁর হুকুম মেনে চলা মানুষদের কে। তাই বলব হিংসা দিয়ে হিংসা নয় মারামারি করে নয় খুনোখুনি করে নয় বরং আমাদের প্রয়োজন একতা বদ্ধ হওয়া,আর প্রয়োজন সৎ ও সাহসিকতার,একে ওপরের প্রতি ভালবাসা এবং প্রয়োজন উদারতার ।।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন