শনিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৭

প্রবন্ধ:- বর্তমান মুসলমানদের পরিস্থিতি

বর্তমান মুসলমানদের পরিস্থিত
       @মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল@
                  মধ্য-বেনা,বাদুড়িয়া
বাংলার মুসলমানরা যেন ক্রীতদাসদের ন্যায়ে
তাগুতের তাবেদারি করছে। যেদিকে জোয়ার আসছে সেদিকেই গা-ভাসিয়ে দিচ্ছে ।কিন্তু এরা জানে না এদেরকে মাগুর মাছেরা ছিন্নভিন্ন করে খাওয়ার চেষ্টা করছে!নানান রকম ফাঁদ পেতে রেখেছে ।সেই ফাঁদে পা-দেওয়ার কারণেই আজ এরা জুলুমের শিকার হচ্ছে ।আসলে শয়তানের কৌশল যে বড়ুই দুর্বল ।এই কথা যেন তুচ্ছ মনে করে নিয়েছে ।এরা নামাযে বলছে আল্লাহ তোমারি ইবাদত করি এবং তোমার কাছেই সাহায্য চাই,এই অঙ্গীকারও করছে ।
কিন্তু এরাই আবার প্রকাশ্য বলে C.P.I.Mকংগ্রেস T.M.Cআমাদের খাওয়ায় পরাই।এরা যেন ওদের পোষা কুকুরদের নেয়।খাওয়ার ছুড়ে দেওয়ার আগেই লাফিয়ে খেতে যায় ।ইসলামিক পরিভাষায় এদের কে মুসলমান বলা যায় না বরং এরা ভণ্ড ।এরা মুসলমানের রূপ ধারণ করে মুসলিমদের ধোঁকা দিচ্ছে ।
এরা আল্লাহর ওই কথা কে অস্বীকার করে ।
যে কথা আল্লাহর প্রেরিত রসূলের বাণী ছিল ।
'আকিমুদ্দিন" অর্থাত্-দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দলোনের  কথা ।এরা কুরআন কে আরবি সুরেই মেনে নিয়েছে ।কিন্তু আরবির অর্থ বুঝতে চাই না ।ইসলামের সহজ হুকুম গুলোকে আঁটা কামড় দিয়েই মেনে নেয় ।কিন্তু বাতিল পথকে রুখে দেওয়ার মতো হুকুম গুলিকে মেনে নিতে পারে না ।জীবনের লক্ষ এদের দুই নৌকায় পা-দেওয়ার মতো ।আল্লাহ্ কাফেরদের থেকেও এই মুনাফিকদের পরিস্থিতির কথা কুরআনে বলেছেন বেশি করে ।
কারণ মুনাফিকরাই ইসলামের সবচেয়ে বেশি
ক্ষতিকারক।কুরআনে আল্লাহ্ পাক বলছেন ।যখন তাদেরকে বলা হয় :তোমরা এসো,
আল্লাহর রসূল তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন, তখন তারা মাথা ঘুরিয়ে নেয় এবং আপনি তাদেরকে দেখবেন যে, তারা অহঙ্কার করে মুখ ফিরিয়ে নেয় (5:মুনাফিকুন)।এবং
আরও বলেন :দুর্ভোগ সেসব নামাযীর,যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর; যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে(4:5:6 আল-মাউন)।
আল্লাহ্ পাক সূরা-বাক্বারার মধ্যে বলেন :(বিপথগামী ওঁরাই )যারা আল্লাহর সঙ্গে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়ার পর তা ভঙ্গ করে এবং আল্লাহ্ পাক যা অবিচ্ছিন্ন রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন, তা ছিন্ন করে,আর পৃথিবীর বুকে অশান্তি সৃষ্টি করে ।ওরা যথার্থই ক্ষতিগ্রস্ত(27) ।
বাংলার মুসলমানদের পরিস্থিতি ঠিক এরা কমই ।এরা আল্লাহর নিষিদ্ধ মদ জুয়া চুরি গুণ্ডা বাজি  এবং বেশ্যা বারের কর্ম নিজেরা না করলেও পূর্ণাঙ্গ সমর্থন করে যাচ্ছে ।কিন্তু আল্লাহর আদেশ ছিল, এই সমস্ত অপকর্মকে নিজেদের জীবন থেকে পরিত্যাগ করা । এবং এই পরিত্যাগ করা কে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা অনুযায়ী বাস্তবায়িত করার প্রচেষ্টা করা।কিন্তু যারা মুসলমান নাম নিয়ে জোয়ারে গা-ভাসিয়েছে। তারা কী আল্লাহর ওই সমস্ত হুকুম গুলি পালন করছে?যারা আল্লাহর হুকুমকে বাস্বায়ন করে না তারা কী কখনোই মুসলমান হতে পারে?আল্লাহর রসূলের ভাষায় এরা কখনোই মুসলমান হতে পারে না ।
মুসলমান তো তারাই হবে, যারা A to Z আল্লাহর হুকুমকে নিজের জীবনে মেনে নেবে ।ও গ্রাম অঞ্চল ব্লক রাজ্যে এবং রাষ্ট্রীয় ভাবে বাস্বায়নের প্রচেষ্টা করবে ।কিন্তু সেই সংখ্যক মুসলমান তো  খুবই কম ।এই কম থাকার পরেও কি তিন হাজারের বিরুদ্ধে তিনশো তেরো জন যথেষ্ট ছিল না বদরের যুদ্ধে!মুসলিম লিগের নেতা হাসানুজ্জামান কে জ্যাতিবাবু বলেছিলেন, জামান সাহেব তুমি পার্লামেন্টে এসে একা কি করবা? জমান সাহেব বলেছিলেন জ্যাতিবাবু আপনার মুখে দাঁত কোয়টি ?জ্যাতিবাবু বললেন কেন বত্রিশটি ।জামানসাহেব বলেছিলেন বাবু বত্রিশটি দাঁতে ব্রাশ লাগে কটি?
জ্যাতিবাবু নিজেই বলেছিলেন একটি ।জামান সাহেব বলেছিলেন দেখুন বত্রিশটি দাঁতে যদি একটি ব্রাশ যথেষ্টই হয়।পার্লামেন্টে সত্যের জন্য একাই যথেষ্ট ।আজ বিশেষ করে বাংলার আলেমরা কিছু নগদ পাবার জন্য ইসলাম থেকে দূরে সরে গিয়েছে ।তাই দেখে সাধারণ মুসলমানরা বিচলিত হয়ে পড়েছে ।যারা আমরা কুরআন প্রেমিক রাসূল প্রেমিক ইসলাম প্রেমিক তারা কী কখনোই বাতিলের সাথে আদানপ্রদান করতে পারে?তাই যদি হয় রাসূল্লাহ(সঃ)শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থা আনতে আল্লাহর হুকুমকে লঙ্ঘন করে কাফেরদের কোনো চুক্তি কী মেনে নিয়ে ছিলেন?
ও বাংলার আলেমরা! তাহলে আপনারা ওই সমস্ত অপকর্ম গুলি মেনে নেন কেন? এটা ভারত বর্ষ হিন্দুত্ববাদের দেশ ।তাই কী আপনারা ভয় পান?কে বলেছে এটা হিন্দুত্ববাদেরে দেশ! এটা সেই আল্লাহর সৃষ্টি জমিন ।এই আল্লাহর জমিনে আল্লাহর হুকুম চলবে না এ কেমন কথা?আপনারা কি অঙ্গীকার করেননি? আমরা মুসলমান! তাহলে কেন,কেন মেনে নেন ওই অশ্লীল আচারণ গুলি কে!
আফসোস মোদের বড়োই আফসোস ।হ্যাঁ-এটা সর্ব জাতির বসবাসের দেশ ।প্রত্যেকে প্রত্যেকেই নিজস্ব ধর্মকে পালন করতে পারে ।কিন্তু অপকর্ম গুলি প্রত্যেক জাতির জন্যই কি ক্ষতিকারক নয়? আমার দেশের হিন্দু-মুসলিম জৈন-খ্রিস্টান বোদ্ধ এবং ছোটোজাত-উঁচু জাত প্রত্যেকেই আমরা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানুষ ।তাই জাতি বর্ণ নির্বিশেষে এসো আমরা সকলেই একসাথে আবার অন্যায়কে উৎখ্যাত করে ন্যায় নিষ্ঠা দিয়ে গ্রাম-অঞ্চল রাজ্য-রাষ্ট্র গড়ে তুলি ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন