বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫

প্রতিহিংসা

প্রতিহিংসা 
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (উত্তর ২৪ পরগনা) 

প্রতিহিংসা বুকে পুষে,
কি-ই বা লাভ হয়?
নিজেই জ্বলে প্রতিদিন,
চোখে নামে ক্ষয়।

কষ্ট দিলে কষ্ট পাবে,
এ কথা নয় ভুল,
জেনে রেখো বদলা নিলে
দিতে হয় মাশুল।

রেগে গেলে জ্বলে প্রাণ,
শান্তি যায় দূরে,
ক্ষমা দিলে ভালোবাসা
আসে প্রতি ঘরে।

নরম ভাষা, শান্ত মন,
আনে হৃদয় জয়,
প্রতিহিংসা ছেড়ে দিলে
পাওয়া যায় পরিচয়।।

অর্থ/ব্যাখ্যা: 

এই কবিতায় কবি প্রতিহিংসার অপকারিতা ও ক্ষমাশীলতার মহত্ত্ব তুলে ধরেছেন। তিনি বুঝিয়েছেন, প্রতিহিংসা হৃদয়কে শান্তি থেকে বঞ্চিত করে আর ক্ষমা মানুষকে ভালোবাসা ও প্রকৃত পরিচয় এনে দেয়।

---
প্রথম স্তবক:
“প্রতিহিংসা বুকে পুষে,
কি-ই বা লাভ হয়?
নিজেই জ্বলে প্রতিদিন,
চোখে নামে ক্ষয়।”
👉 প্রতিহিংসা হৃদয়ে জমা করলে কোনো লাভ হয় না। এতে অন্যকে নয়, বরং নিজেকেই প্রতিদিন জ্বালা-যন্ত্রণা ও ক্ষয়ের মধ্যে পড়তে হয়।
---
দ্বিতীয় স্তবক:
“কষ্ট দিলে কষ্ট পাবে,
এ কথা নয় ভুল,
জেনে রেখো বদলা নিলে
দিতে হয় মাশুল।”
👉 অন্যকে কষ্ট দিলে তার ফল ভোগ করতেই হবে। তবে প্রতিশোধ নিলে শান্তি মেলে না, বরং এর জন্য বড় মূল্য বা মাশুল দিতে হয়।
---
তৃতীয় স্তবক:
“রেগে গেলে জ্বলে প্রাণ,
শান্তি যায় দূরে,
ক্ষমা দিলে ভালোবাসা
আসে প্রতি ঘরে।”
👉 রাগে হৃদয় জ্বলে উঠে, তখন শান্তি দূরে সরে যায়। কিন্তু যদি ক্ষমা করা যায়, তবে ভালোবাসা ও আনন্দ প্রতিটি ঘরে ছড়িয়ে পড়ে।
---
চতুর্থ স্তবক:
“নরম ভাষা, শান্ত মন,
আনে হৃদয় জয়,
প্রতিহিংসা ছেড়ে দিলে
পাওয়া যায় পরিচয়।। ”
👉 কোমল কথা আর শান্ত মন মানুষকে জয় করতে পারে। প্রতিহিংসা ত্যাগ করলে সত্যিকার ব্যক্তিত্ব ও মানবিক পরিচয় অর্জন করা যায়।

---
সারকথা:
কবি বোঝাতে চেয়েছেন—প্রতিহিংসা মানুষকে পোড়ায়, শান্তি কেড়ে নেয়; আর ক্ষমাশীলতা ও নরম স্বভাবই মানুষকে ভালোবাসা ও সত্য পরিচয় দেয়।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন