দায়িত্ব
তরিকুল ইসলাম খালাসী মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (উত্তর ২৪ পরগনা)
দায়িত্ব বুঝেই করলে পালন
আসে নেমে সুখ,
রাজা প্রজার ভালোবাসায়
পালায় সকল দুঃখ।
গোড়ে ওঠে ভাতৃত্ব আর
হৃদয় ভরা শান্তি,
সম্প্রীতির এই ঝলমলেতে
রয় না কোনো ক্লান্তি।
হিংসা বিদ্বেষ রয় না তখন
রয় না অপবাদ,
সবাই মিলে ভালোবাসার
করে যায় আবাদ।
চলুক এ পথ যুগে যুগে
আসো খুলি হৃদয়,
দায়িত্ব বুঝেই নিজ নিজের
হৃদয় করি জয় ।।
অর্থ/ব্যাখ্যা:
এই কবিতায় কবি বলেছেন—মানুষ যদি দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করে, তাহলে সমাজে শান্তি, ভালোবাসা ও সম্প্রীতি প্রতিষ্ঠিত হয়। দায়িত্ববোধ মানুষকে সত্যিকারের মানবিক ও ভ্রাতৃত্বপূর্ণ করে তোলে। হিংসা, বিদ্বেষ ও অপবাদ তখন আর টিকে থাকতে পারে না। তাই কবি আহ্বান করেছেন—সবাই যেন নিজ নিজ দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করে সমাজে ভালোবাসা ও শান্তির বীজ বপন করে।
---
প্রথম স্তবক:
“দায়িত্ব বুঝেই করলে পালন
আসে নেমে সুখ,
রাজা প্রজার ভালোবাসায়
পালায় সকল দুঃখ।”
👉 দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে মানুষের জীবনে সুখ আসে। শাসক ও শাসিত যদি ভালোবাসায় আবদ্ধ থাকে তবে সমাজ থেকে দুঃখ-কষ্ট দূর হয়ে যায়।
---
দ্বিতীয় স্তবক:
“গোড়ে ওঠে ভাতৃত্ব আর
হৃদয় ভরা শান্তি,
সম্প্রীতির এই ঝলমলেতে
রয় না কোনো ক্লান্তি।”
👉 দায়িত্ববোধের মাধ্যমে সমাজে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন গড়ে ওঠে। তখন হৃদয় ভরে যায় শান্তিতে। সম্প্রীতির আলোয় জীবন আলোকিত হয়ে ওঠে, সেখানে ক্লান্তি বা অবসাদ থাকে না।
---
তৃতীয় স্তবক:
“হিংসা বিদ্বেষ রয় না তখন
রয় না অপবাদ,
সবাই মিলে ভালোবাসার
করে যায় আবাদ।”
👉 দায়িত্বশীল সমাজে হিংসা, বিদ্বেষ বা অপবাদ জায়গা পায় না। সবাই মিলে ভালোবাসা ও ঐক্যের পরিবেশ সৃষ্টি করে।
---
চতুর্থ স্তবক:
“চলুক এ পথ যুগে যুগে
আসো খুলি হৃদয়,
দায়িত্ব বুঝেই নিজ নিজের
হৃদয় করি জয় ।।”
👉 কবি আহ্বান করছেন—এই দায়িত্বশীলতার পথ যুগে যুগে চলতে থাকুক। প্রত্যেকে যদি আন্তরিকভাবে নিজের দায়িত্ব পালন করে তবে হৃদয় জয় করা সম্ভব, আর তাতেই শান্তি প্রতিষ্ঠা হয়।
---
সারকথা:
কবিতার মূল বার্তা হলো—নিজ নিজ দায়িত্ব সঠিকভাবে পালন করলে সমাজে শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও ভালোবাসা প্রতিষ্ঠিত হয়। হিংসা ও বিদ্বেষ দূর হয়, আর ঐক্যের আলোয় মানুষ সত্যিকারের সুখ খুঁজে পায়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন