শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫

নিরহংকার মানুষগুলো

নিরহংকার মানুষগুলো 
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (উত্তর ২৪ পরগনা) 

নিরহংকার মানুষগুলো
চুপেই থাকে বেশ,
নিজে হারে, তবু কারো
করে না তো রেষ।

চোখে তাদের শান্ত আলো,
বুকে মমতা রয়,
তাদের পাশে থাকলে যেন
হৃদয়’টা জুড়ায়।

চায় না কোনো বাহবা পেতে,
হয় নাকো দাম্ভিক,
ভদ্রতায়ই জয় করে সব,
হয় আন্তরিক।

সত্য পথেই থাকে দৃঢ়,
ভালোবাসায় ভরে বুক,
এমনই মানুষ ভোগ করে ভাই
রবের দেওয়া সুখ।। 

অর্থ/ব্যাখ্যা: 

এই কবিতায় কবি বিনয়ী ও নিরহংকার মানুষের চরিত্র বর্ণনা করেছেন। তারা বাহ্যিক বড়াই না করে নীরব থেকেও নিজের মহত্ত্ব প্রকাশ করে। এমন মানুষই সত্যিকার অর্থে হৃদয় জয় করে এবং আল্লাহর (রবের) দেওয়া শান্তি উপভোগ করে।

---
প্রথম স্তবক:
“নিরহংকার মানুষগুলো
চুপেই থাকে বেশ,
নিজে হারে, তবু কারো
করে না তো রেষ।”
👉 বিনয়ী মানুষ অহংকার করে না। তারা নীরব থেকে অন্যের সাথে প্রতিযোগিতায় হারলেও কারো প্রতি বিদ্বেষ বা রেষারেষি পোষণ করে না।
---
দ্বিতীয় স্তবক:
“চোখে তাদের শান্ত আলো,
বুকে মমতা রয়,
তাদের পাশে থাকলে যেন
হৃদয়’টা জুড়ায়।”
👉 এই মানুষগুলোর চোখে থাকে শান্তির দীপ্তি এবং হৃদয়ে থাকে অশেষ মমতা। তাদের সান্নিধ্যে মানুষের মনে প্রশান্তি ও স্বস্তি জন্মায়।
---
তৃতীয় স্তবক:
“চায় না কোনো বাহবা পেতে,
হয় নাকো দাম্ভিক,
ভদ্রতায়ই জয় করে সব,
হয় আন্তরিক।”
👉 তারা প্রশংসা বা বাহবা চায় না, দাম্ভিকতা করে না। বরং ভদ্রতা ও আন্তরিকতার মাধ্যমে মানুষের মন জয় করে নেয়।
---
চতুর্থ স্তবক:
“সত্য পথেই থাকে দৃঢ়,
ভালোবাসায় ভরে বুক,
এমনই মানুষ ভোগ করে ভাই
রবের দেওয়া সুখ।। ”
👉 এরা সর্বদা সত্যের পথে অটল থাকে এবং হৃদয় ভালোবাসায় পূর্ণ রাখে। তাই তারা আল্লাহর দেওয়া প্রকৃত সুখ উপভোগ করতে পারে।

---
👉 সারকথা:
কবি বলতে চেয়েছেন—নিরহংকার, ভদ্র ও সত্যবাদী মানুষরাই প্রকৃত শান্তির অধিকারী। তারা বিদ্বেষ এড়িয়ে ভালোবাসা দিয়ে জীবনকে সুন্দর করে তোলে।





কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন