তরিকুল ইসলাম খালাসী
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (উত্তর ২৪ পরগনা)
হাসিমুখে বলো কথা,
গলে যাবে মন,
কঠিন দিনও হাসে তখন—
ফুটে উঠুক বন।
মধুর ভাষা, কোমল চোখ—
ভরিয়ে দেয় প্রাণ,
নরম হাসি ছড়িয়ে দেয়
ফুলের মতো ঘ্রাণ।
রাগ-ক্ষোভের দেয়াল ভেঙে
গড়ো ভালোবাসা,
হাসিখুশি জীবন হলে
পাবে শান্তি-আশা।
যেখানে আছে হাসিমুখ,
সেখানে ঝরে শান্তি,
হৃদয় জয় হলে তবে
ঘুচে যাবে ক্লান্তি।।
অর্থ/ব্যাখ্যা:
এই কবিতায় কবি বলেছেন—হাসিমুখ শুধু নিজের জীবন নয়, অন্যের জীবনকেও আলোকিত করে। হাসি মন জয় করে, দুঃখ-দুর্দশা ভুলিয়ে দেয় এবং শান্তি-ভালোবাসার পরিবেশ সৃষ্টি করে।
---
প্রথম স্তবক:
“হাসিমুখে বলো কথা,
গলে যাবে মন,
কঠিন দিনও হাসে তখন—
ফুটে উঠুক বন।”
👉 হাসিমুখে কথা বললে মানুষের মন সহজেই জিতে নেওয়া যায়। কঠিন সময়ও তখন আনন্দে ভরে ওঠে, ঠিক যেন শুষ্ক বনে ফুল ফুটে ওঠে।
---
দ্বিতীয় স্তবক:
“মধুর ভাষা, কোমল চোখ—
ভরিয়ে দেয় প্রাণ,
নরম হাসি ছড়িয়ে দেয়
ফুলের মতো ঘ্রাণ।”
👉 মধুর কথা আর কোমল দৃষ্টি মানুষের হৃদয় প্রশান্ত করে। নরম হাসি যেন ফুলের ঘ্রাণের মতো চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে, যা সবার মনকে প্রফুল্ল করে।
---
তৃতীয় স্তবক:
“রাগ-ক্ষোভের দেয়াল ভেঙে
গড়ো ভালোবাসা,
হাসিখুশি জীবন হলে
পাবে শান্তি-আশা।”
👉 হাসি রাগ ও ক্ষোভের প্রাচীর ভেঙে দেয়। জীবনে আনন্দ থাকলে তা ভালোবাসা ও শান্তির পথ খুলে দেয়।
---
চতুর্থ স্তবক:
“যেখানে আছে হাসিমুখ,
সেখানে ঝরে শান্তি,
হৃদয় জয় হলে তবে
ঘুচে যাবে ক্লান্তি।। ”
👉 যেখানে হাসিমুখ থাকে, সেখানে শান্তির পরিবেশ তৈরি হয়। হৃদয় জয় হলে জীবনের দুঃখ ও ক্লান্তি দূর হয়ে যায়।
---
👉 সারকথা:
এই কবিতার মূল শিক্ষা হলো—হাসি হলো জীবনের শক্তি। এটি দুঃখ-দুর্দশা দূর করে, মানুষকে কাছে আনে এবং ভালোবাসা ও শান্তিতে ভরিয়ে তোলে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন