সোমবার, ৩০ জুন, ২০২৫

এসো দলবদ্ধ হই

এসো দলবদ্ধ হই 
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (উত্তর ২৪ পরগনা) 

এসো দলবদ্ধ হই
শির রাখি উঁচু,
ঈমান জ্বালাই বুকে
কুদৃষ্টি করি নিঁচু।

এসো ত্যাগ করি গর্ব,
শিখি নম্র ভাষা,
ভ্রাতৃত্বেই গড়ি সমাজ,
ছড়িয়ে দিই ভালোবাসা।

এসো সত্য কথা বলি,
মিথ্যা পদদলি,
ফুলের মতো সমাজটাকে
সঙ্গে নিয়ে চলি।

এসো জীবনটাকে রবের ভয়ে
গড়ি বিধান মেনে,
বিনিময়ে নিই চলো
ওই জান্নাত কিনে।।


শনিবার, ২৮ জুন, ২০২৫

হাসিখুশি

📜 হাসিখুশি
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (উত্তর ২৪ পরগনা) 

হাসিমুখে বলো কথা,
গলে যাবে মন,
কঠিন দিনও হাসে তখন—
ফুটে উঠুক বন।

মধুর ভাষা, কোমল চোখ—
ভরিয়ে দেয় প্রাণ,
নরম হাসি ছড়িয়ে দেয়
ফুলের মতো ঘ্রাণ।

রাগ-ক্ষোভের দেয়াল ভেঙে
গড়ো ভালোবাসা,
হাসিখুশি জীবন হলে
পাবে শান্তি-আশা।

যেখানে আছে হাসিমুখ,
সেখানে ঝরে শান্তি,
হৃদয় জয় হলে তবে
ঘুচে যাবে ক্লান্তি।।

শুক্রবার, ২৭ জুন, ২০২৫

নিরহংকার মানুষগুলো

📜 নিরহংকার মানুষগুলো 
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (উত্তর ২৪ পরগনা) 

নিরহংকার মানুষগুলো
চুপেই থাকে বেশ,
নিজে হারে, তবু কারো
করে না তো রেষ।

চোখে তাদের শান্ত আলো,
বুকে মমতা রয়,
তাদের পাশে থাকলে যেন
হৃদয়’টা জুড়ায়।

চায় না কোনো বাহবা পেতে,
হয় নাকো দাম্ভিক,
ভদ্রতায়ই জয় করে সব,
হয় আন্তরিক।

সত্য পথেই থাকে দৃঢ়,
ভালোবাসায় ভরে বুক,
এমনই মানুষ ভোগ করে ভাই
রবের দেওয়া সুখ।। 


#নিরহংকার  
#মানবিকতা  
#ভদ্রতা  
#সত্যপথ  
#নৈতিকতা  
#মানুষ_হও  
#আন্তরিকতা  
#আত্মউন্নয়ন  
#বাংলাকবিতা  
#তরিকুল_ইসলাম_খালাসী

#Humility  
#Simplicity  
#Kindness  
#GoodCharacter  
#PoetryOfLife  
#MoralValues  
#Truthfulness  
#BengaliPoetry  
#IslamicPoetry  
#Tarikul_Islam_Khalashi




বৃহস্পতিবার, ২৬ জুন, ২০২৫

প্রতিহিংসা

প্রতিহিংসা 
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (উত্তর ২৪ পরগনা) 

প্রতিহিংসা বুকে পুষে,
কি-ই বা লাভ হয়?
নিজেই জ্বলে প্রতিদিন,
চোখে নামে ক্ষয়।

কষ্ট দিলে কষ্ট পাবে,
এ কথা নয় ভুল,
জেনে রেখো বদলা নিলে
দিতে হয় মাশুল।

রেগে গেলে জ্বলে প্রাণ,
শান্তি যায় দূরে,
ক্ষমা দিলে ভালোবাসা
আসে প্রতি ঘরে।

নরম ভাষা, শান্ত মন,
আনে হৃদয় জয়,
প্রতিহিংসা ছেড়ে দিলে
পাওয়া যায় পরিচয়।।


কুধারণার কুফল

কুধারণার কুফল 
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (উত্তর ২৪ পরগনা) 

মুখের বুলি ফাটায় বোমা,
বিষবাষ্প সব বুকে জমা।
সত্যটাকে না কেউ বোঝে,
দূরবীন দিয়ে দোষটি খোঁজে।

শুনে রাখে অর্ধেক কথা,
বুঝে না সে কিসে ব্যথা।
যা হয়নি তাও বানায়,
মনের ভেতর আগুন ছড়ায়।

রাগে ভরে চোখের পানি,
দূরে ঠেলে আত্মীয় জানি।
একটু কথায় ভাঙে মন,
হারায় হৃদয়–বন্ধন।

কুধারণা বিষের মতো,
ঘুণে খায় হৃদয় যতো।
সচেতন হও আজই তুমি,
ভুলে দাও সে কুসম্ভ্রমই।

সত্য বলো, বুঝে চলো,
বিশ্বাসের ওই আলো জ্বালো।
মিষ্টি ভাষা, ভালো মন,
এসেই যাবে আপনজন।।


আমার কবিতা

আমার কবিতা 
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📍 মধ্যবেনা, বাদুড়িয়া (উত্তর ২৪ পরগনা)

আমার কবিতা হাসে-কাঁদে,
আলো-আঁধার খেলে,
রঙ মিশে যায় জীবনধারায়
এই কাব্যের ঢেলে।

আমার কবিতা বলে চলে
সত্য, সাহস, স্বপ্ন,
মনের কোণে গোপন রাখা
আশা জাগায় যত্ন।

আমার কবিতা ন্যায়ের ভাষায়
জাগায় সুপ্ত প্রাণ,
ভালোবাসা, শান্তির আলো
বয়ে আনে দান।

আমার কবিতা জেগে থাকে
নীরব রাতের বুকে,
জুলুম দেখলে জ্বলে ওঠে,
অন্যায় দেয় রুখে।

কলম ধরি, নিজস্ব ভাষায়
লিখি শত ব্যথা,
আমি নই, আমার কবিতা—
প্রকাশ করে সব কথা।।


---

📌 বিভাগ:

আত্মপ্রকাশমূলক কবিতা | ন্যায়, ভালোবাসা ও মানবতা | ইসলামিক আদর্শে অনুপ্রাণিত


---

🏷️ হ্যাশট্যাগ:

#আমার_কবিতা
#তরিকুল_ইসলাম_খালাসী
#বাংলা_কবিতা
#ইসলামিক_কবিতা
#নৈতিকতা
#আত্মপ্রকাশ
#কলমের_আলো
#সত্য_সাহস_স্বপ্ন
#সাহিত্য_স্বর
#poetryoftruth
#banglakobita
#voiceofjustice
#penforpeace
#tarikul_kobita

কলম চলুক সত্যের পথে

কলম চলুক সত্যের পথে
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা, বাদুড়িয়া

কলম চলুক সত্যের পথে,
মিথ্যা হোক পরাজয়,
আলো ছড়াক শব্দ দিয়ে—
পাপে মন না ভরায়।

রবের নামে উঠুক আওয়াজ,
অন্ধকার হোক ভাঙা,
ন্যায়ের পক্ষে বলুক কলম—
না হয় দুনিয়া রাঙা।

ভয়কে করে পদদলিত,
জুলুমের দেয় জবাব,
দীন ও ন্যায়ের বার্তা নিয়ে
কলম রাখে হিসাব।

যে কলম চলে জ্ঞান-কথায়,
হক্‌ কথা সবার চিত্তে,
সে-ই কলম রবের রহম
ছড়িয়ে দেয় দিক দিকেতে।।


---

📌 বিভাগ: ইসলামিক কবিতা / নৈতিক শিক্ষা / কলম ও দায়িত্ব
🏷️ #তরিকুল_ইসলাম_খালাসী #কলমের_মার্কাজ #সত্য_রচনা #ইসলামিক_কবিতা #নৈতিক_আলো


বিশ্বাস

📜 কবিতা: বিশ্বাস 
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (উত্তর ২৪ পরগনা ) 

বিশ্বাস মানে অন্ধ নয়,
সত্য জানার পথ,
যে খোঁজে আলোর ঠিকানা,
সে-ই পায় সঠিক জগৎ।

বিশ্বাস মানে শান্ত আশা,
ভরসায় ভরা মন,
রবের নামে রাখে ভরসা,
চায় না দুনিয়ার ধন।

বিশ্বাস মানে ভালোবাসা,
সত্‍‌ পথে থাকা,
মিথ্যা ছেড়ে সত্য ধরার
অঙ্গীকারেই ঢাকা।

বিশ্বাস মানে ধৈর্য রাখা
দুঃখ-কষ্টে ভাই,
রবের রহম যার সহায়,
সে-ই শান্তি পাই।

বিশ্বাস মানে সাহস জোগায়
সত্য পথে চলা,
রবের উপর ভরসা রেখে
অন্তর রাখো খোলা।


---

🖋️ লেখকের কথা

তরিকুল ইসলাম খালাসী একজন ইসলামিক ও সামাজিক কবি, যিনি বহু বছর ধরে কবিতার মাধ্যমে নৈতিক বার্তা ছড়িয়ে যাচ্ছেন। এই কবিতাটি বিশ্বাসের গভীরতা ও সৌন্দর্যকে সহজ ভাষায় প্রকাশ করে।


---

🏷️ ট্যাগসমূহ:

#ইসলামিক_কবিতা #বিশ্বাস #নৈতিকতা #তরিকুল_ইসলাম_খালাসী #ইসলামিক_বার্তা #বাংলা_কবিতা

বুধবার, ২৫ জুন, ২০২৫

আত্মবিশ্বাস

আত্মবিশ্বাস 
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (কোলকাতা) 

আত্মবিশ্বাসে গড়ে ওঠো ভাই
মানুষ হও খাঁটি,
ভরসা রাখো নিজের ওপর
পাবে সফলতার চাবিকাঠি।

পদে পদে আসবে বাধা,
তবু চলতে হবে পথ,
এখনি তোমার গড়তে হবে
আগামীর ভবিষ্যত।

ভয়-শঙ্কা ভুলে চলো
সত্যেই রাখো চোখ,
আত্মবিশ্বাস জুগিয়ে দেবে
সাহস, শক্তি, সুখ।

হে তরুণ, জাগো এবার
গড়ো নিজের গল্প,
নয় বেশি নয় হাতে তোমার
সময় খুবই অল্প।। 

#ইসলামিক_কবিতা #বিশ্বাস #নৈতিকতা #তরিকুল_ইসলাম_খালাসী #ইসলামিক_বার্তা #বাংলা_কবিতা


মঙ্গলবার, ২৪ জুন, ২০২৫

জুলাইয়ের সেই দিনটা

জুলাইয়ের সেই দিনটা 
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (কোলকাতা) 

মুখরিকা: 

জুলাইয়ের সেই দিনটা
স্মরণ করতে চাই,
ফ্যাসিবাদের এই বাংলায়
নাই কোনো ঠাঁই নাই। 
--- 
✦ ১ম অন্তরা:

ছাত্রজনতা রাস্তায় নেমে
লিখেছিল যে গান,
ভয়ে তবু কণ্ঠ থামে না,
চায় ন্যায়েরই মান।
সেই সাহসের উত্তরাধিকার —
শপথে আবার চাই।
ফ্যাসিবাদের এই বাংলায়
নাই কোনো ঠাঁই নাই।
জুলাইয়ের সেই….....
---
✦ ২য় অন্তরা:

মিথ্যা কথা, দমননীতি
ছিল যে তখন চূড়ায়,
তবুও তরুণ মেরুদণ্ডে
দাঁড়িয়েছিল সজায়।
আজো সেই চেতনার টানে —
প্রাণটা কেঁপে যায়।
ফ্যাসিবাদের এই বাংলায়
নাই কোনো ঠাঁই নাই। 
জুলাইয়ের সেই….....
---
✦ ৩য় অন্তরা: 

বাঁধা আসে, ধমক আসে,
তবু থামে না পথ,
এই বাংলার বাতাস জানে —
ছাত্র একতার হিম্মত।
সেই প্রতিধ্বনি বুকের ভেতর —
রক্তে গর্জন গায়। 
ফ্যাসিবাদের এই বাংলায়
নাই কোনো ঠাঁই নাই। 
জুলাইয়ের সেই….....।। 

#ইসলামিক_কবিতা #বিশ্বাস #নৈতিকতা #তরিকুল_ইসলাম_খালাসী #ইসলামিক_বার্তা #বাংলা_কবিতা

তোমাদের ভুলিনি আমরা

তোমাদের ভুলিনি আমরা 
 তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (কোলকাতা) 

(শহীদ আবু সাঈদ মুগ্ধ ও শহীদদের স্মরণে)

আবু সাঈদ মুগ্ধ —
তোমাদের ভুলিনি আমরা,
মরণি মরণি জানি —
শহীদ হয়েছ তোমরা।
---
বুকে পাথর বেঁধে
এসেছিলে রাজপথে,
গড়তে সোনার বাংলা —
মানুষ থাকবে সুখে।
ফ্যাসিবাদ যাবে রুখে,
সাফাই হবে এই জংলা।
তোমাদের রেখেছি
স্মৃতির পাতায় তাই আমরা।
মরণি মরণি জানি —
শহীদ হয়েছ তোমরা।
আবু সাঈদ মুগ্ধ…
---
বৃথা যায়নি রক্ত তোমাদের,
বিজয় পেয়েছি আমরা।
ভুলিনি ভুলিনি আঠারো কোটির —
হৃদয়ে শুধুই তোমরা।
তোমাদের আজ তাই —
রেখেছি স্মরণে আমরা।
মরণি মরণি জানি —
শহীদ হয়েছ তোমরা।
আবু সাঈদ মুগ্ধ…।। 

#ইসলামিক_কবিতা #বিশ্বাস #নৈতিকতা #তরিকুল_ইসলাম_খালাসী #ইসলামিক_বার্তা #বাংলা_কবিতা

ইসলাম শেখায় ভালো কথা

ইসলাম শেখায় ভালো কথা 
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (কোলকাতা) 

ইসলাম শেখায় ভালো কথা,
মানুষ গড়ে নৈতিকতা,
সত্য বলো, মিথ্যা ছাড়ো,
গড়ে তোলো একতা।

মায়া-মমতা, দয়া শেখায়,
হিংসা ছেড়ে ভালোবাসায়,
ত্যাগ বিনিময় লোভকে ছাড়ি,
সময় যে ফুরায়।

আত্মা গড়ো দ্বীন শিক্ষায়,
মানুষেরই ভেদাভেদ নাই,
কালো সাদার দিনটি শেষ,
ইসলাম বলে ভাই।

প্রেম, করুণা, ধৈর্য দিয়ে,
রবের বাণী সঙ্গে নিয়ে,
সৎকর্মে মনটা যেন,
পড়ে থাকে ভাই।

ক্ষমা-দান নিয়ে সাথে,
থেকো তুমি গরিবের পাশে,
হালাল খাদ্য দাও গো তুলে,
হৃদয় থেকে ভালোবেসে।

চলো সবাই দ্বীনকে মানি,
সত্য পথেই জীবন টানি,
খুলে দেখি জীবন বিধান,
তবেই পাবো পরিত্রাণ।।


দায়িত্ব

দায়িত্ব
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (কোলকাতা) 

দায়িত্ব বুঝেই করলে পালন
আসে নেমে সুখ,
রাজা প্রজার ভালোবাসায়
পালায় সকল দুঃখ।

গোড়ে ওঠে ভাতৃত্ব আর
হৃদয় ভরা শান্তি,
সম্প্রীতির এই ঝলমলেতে
রয় না কোনো ক্লান্তি।

হিংসা বিদ্বেষ রয় না তখন
রয় না অপবাদ,
সবাই মিলে ভালোবাসার
করে যায় আবাদ।

চলুক এ পথ যুগে যুগে 
আসো খুলি হৃদয়, 
দায়িত্ব বুঝেই নিজ নিজের 
হৃদয় করি জয় ।।

সোমবার, ২৩ জুন, ২০২৫

নেশা মুক্ত সমাজ গড়ো

নেশা মুক্ত সমাজ গড়ো
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (কোলকাতা) 

তুমি হবে আগামীকালের
দেশ গড়ার কারিগর,
নেশা মুক্ত সমাজ গড়ো
হৃদয় করো পরিষ্কার।

মদের নেশা ধ্বংস আনে
ভেঙে ফেলে সুখ,
জীবন মানে স্বপ্নভরা
নিও না সাথে দুঃখ।

নেশার জালে জড়িয়ে গেলে
হেরে যাবে জীবন,
আলো মুছে অন্ধকার ওই
হবে তোমার আপন।

চোখে মুখে আগুন, ও ভাই,
দিও না আর ভরে,
কুসঙ্গ থেকে তাই তো বলি—
থাকো অনেক দূরে।

ভাঙে সংসার, বাড়ে হাহাকার,
দুঃখেই ভরে মন,
কুকুর, বিড়াল, শিয়ালের মতো
আসে তখন মরণ।

ফিরে এসো বন্ধু আমার,
বদলাও এই জীবন,
রবের ডাকে দাও গো সাড়া—
হবেই ফুলের মতন।

তুমি হবে আগামী দিনের
আলোকিত পথিক,
সত্য-মর্যাদা আঁকো বুকে,
হয়ো না আর দাম্ভিক।।


এই যুদ্ধ

এই যুদ্ধ
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (কোলকাতা)

মাথা উঁচু করে,
দাঁড়িয়েছে ইরান,
দেখো বিশ্বের মুসলমান —
কারে কয় ঈমান।

এই ঈমান প্রস্তুত সাদা
জীবন দিতে,
মুমিন যারা, তাদের আজ
পথ চেনাতে।

এই যুদ্ধ! ভয় নয়,
ঐক্য শেখায়,
বাতিলকে রুখতে
সঠিক পথ দেখায়।

আল্লাহকেই ধরেছে যারা,
তারাই পেয়েছে বিজয়,
শহীদ-গাজীর নামেই দেখো
ইতিহাসের পাতায় রয়।

হোক! এক দেহেই একটি প্রাণ —
আমরাই মুসলমান,
আমাদের বীরত্ব দেখুক
বিশ্ব জাহান।। 

রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫

স্বরণ করো

স্বরণ করো 
তরিকুল ইসলাম খালাসী
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (কোলকাতা) 

দুনিয়া শুধু পথের ধাঁধা,
চলতে হবে সরল,
রবের পথে পা বাড়িয়ে
চলন করো বদল।

ভোগে মগ্ন যদি থাকে মন
পাবেই রবের শাসন,
এটা নয় গাল গপ্পো আর
মুখের শুধু ভাষণ।

চোখে লাগে দুনিয়া মিঠে,
দেখো সবই ধোঁকা,
সত্য পথে ফিরলে তবেই
রবের পাবে দেখা।

নফসের দাস হয়োনা আর,
ভেঙে ফেলো মোহ,
রবের ওয়াদা হবেই পূরণ,
নেই তাতে সন্দেহ। 

স্মরণ করো মৃত্যুর কথা,
ভুলো না পরকাল,
তুমি দুনিয়াতে যা করেছো
পাবেই তার প্রতিফল ।।





মঙ্গলবার, ১৭ জুন, ২০২৫

তরিকুল ইসলাম খালাসী এর জীবনী

তরিকুল ইসলাম খালাসী
জন্ম: ১৯ মে ১৯৯৬
গ্রাম: মধ্যবেনা, পোস্ট: বেনা
অঞ্চল: চন্ডিপুর, থানা: বাদুড়িয়া
মহাকুমা: বসিরহাট, জেলা: উত্তর ২৪ পরগনা
রাজ্য: পশ্চিমবঙ্গ, দেশ: ভারত

তরিকুল ইসলাম খালাসী একজন ভারতীয় কবি যিনি মূলত ইসলামিক ও সামাজিক বিষয়ভিত্তিক ছন্দময় কবিতা ও ইসলামিক গানের জন্য পরিচিত। ২০০৭ সাল থেকে তিনি নিয়মিত লেখালেখি শুরু করেন এবং এখন পর্যন্ত প্রায় ৭০০টি কবিতা ও ইসলামিক গান রচনা করেছেন, যার মধ্যে প্রায় ১০০টি মোবাইল ফোন নষ্ট হয়ে যাওয়ার কারণে হারিয়ে গেছে।
সাহিত্যকর্ম
তরিকুল ইসলামের লেখা ধর্মীয় ভাবনা, আত্মশুদ্ধি, সামাজিক মূল্যবোধ এবং কুরআনের ছন্দে ব্যাখ্যার ওপর ভিত্তি করে। তাঁর কবিতাগুলো মূলত অন্ত্যমিলপূর্ণ এবং ৪+৩ মাত্রার ছন্দে রচিত।
প্রকাশনা
তাঁর লেখা কবিতা ও ইসলামিক গানগুলি প্রধানত বাংলাদেশে বিভিন্ন মাধ্যম থেকে প্রকাশিত হয়েছে। এর মধ্যে উল্লেখযোগ্য কিছু পত্রিকা ও অনলাইন মাধ্যমে প্রকাশিত লেখাগুলি হল: সুন্নাত আল জামাত, মীযান, মাসিক যুব প্রত্যাশা, ত্রৈমাসিক প্রত্যয়, তারণ্য, প্রত্যয়, টিডিএন বাংলা, তরিকুলের কবিতা ওয়েবসাইট এবং তাঁর ফেসবুক পেজ। গানগুলো ইউটিউবে প্রকাশিত হয়েছে হেভেন টিউন, উইমেনস হেভেন, হেভেন টিউন খুলনা, হেভেন টিউন সাতক্ষীরা, স্টুডিও ওয়ান, ফেমাস টিউন, হাসান নাকিব, স্টুডিও তালহা, কন্ঠের সুর, তামাদ্দুন, আলাপন টিভি, রংধনুর দল, মধ্যপ্রাণ, আলোরবার্তা সহ আরও অনেক চ্যানেলে।
পুরস্কার ও স্বীকৃতি
তিনি স্বীকৃতি পেয়েছেন নিচের সাহিত্য গ্রুপগুলো থেকে:
- স্বপ্নপূরণ সাহিত্য গ্রুপ (বাংলাদেশ)
- শখের কবিতা ও সাহিত্য আড্ডা (বাংলাদেশ)
- সাপ্তাহিক কবিতা গ্রুপ (ভারত)

রবিবার, ১৫ জুন, ২০২৫

পিছনে ফেরার নেইগো সময়

পিছনে ফেরার নেইগো সময়  
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (কোলকাতা) 

পিছনে ফেরার নেইগো সময়  
এগিয়ে চলো ভাই, 
সামনে তোমার বিজয় দেখো 
পেয়েও নাকো ভয় । 

রবের উপর ভরসা রাখো, 
বিজয় তোমার সাথে, 
ধৈর্য তুমি সঙ্গী করো  
চলো শান্তির পথে । 
তুমি হার মানিলে যাবে হেরে.. 
মনে রাখো ভাই । 
সামনে তোমার বিজয় দেখো 
পেয়েও নাকো ভয় । 
পিছনে ফেরার……….... 

আল্লাহ যারে সহায় হয় 
সেই তো পাই জয়, 
তুমি মুমিন দাও গো তোমার 
শুধুই পরিচয় । 
সত্য পথে থাকলে টিকে..
নেই তো কোন ক্ষয় । 
সামনে তোমার বিজয় দেখো 
পেয়েও নাকো ভয় । 
পিছনে ফেরার……….... ।।



যুবক তুমি নবীর সেনা

যুবক তুমি নবীর সেনা 
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (কোলকাতা) 

আলো-আঁধার পথের মাঝে  
জ্বলুক ঈমান দীপ,  
যুবক তুমি নবীর সেনা,  
হয়ো না দাম্ভিক। 

বিপদ এলে ভয় পেও না,
রবকে করো স্মরণ,
তোমার শক্তি তাকওয়াতে,
এই তো চিরধরণ। 
যদি তুমি সত্যে থাকো.. 
হবে যে নির্ভীক ।
যুবক তুমি নবীর সেনা,  
হয়ো না দাম্ভিক। 
আলো-আঁধার....…..... 

তাকওয়া দিয়ে গড়ো সমাজ 
জাগাও তোমার জাতি, 
ভালো পথেই অর্জন করো 
তুমি তোমার খ্যাতি । 
মিথ্যা পথে হেঁটো না ভাই..
হাঁটে মুনাফিক ।
যুবক তুমি নবীর সেনা,  
হয়ো না দাম্ভিক। 
আলো-আঁধার....…..... ।।


শুক্রবার, ১৩ জুন, ২০২৫

আমপারা কবিতা সংকলন

আমপারা কবিতা সংকলন 
📘 উৎসর্গ

এই ক্ষুদ্র কাব্য সংকলন উৎসর্গ করা হলো সেই সব হৃদয়বান পাঠকের প্রতি— যারা কুরআনের বাণীকে হৃদয়ে ধারণ করে, ছন্দে ছন্দে পথ খোঁজে আলোর।

✍️ লেখকের কথা

আলহামদুলিল্লাহ। এই সংকলনের প্রতিটি কবিতা সূরা "আমপারা"র বাণী অবলম্বনে লেখা। সহজ ভাষা, মাধুর্যপূর্ণ ছন্দ, এবং অন্ত্যমিলের মাধ্যমে কুরআনের শিক্ষা পাঠকের অন্তরে পৌঁছে দেওয়াই ছিল আমার উদ্দেশ্য। ২০০৭ সাল থেকে লেখালেখির এই যাত্রায় আমি চেষ্টা করেছি সত্যের কথা তুলে ধরতে — কখনো ইসলামের প্রতি ভালোবাসা, কখনো সমাজের প্রতিবাদে কলম ধরেছি। এই সংকলনে তা আরও সুসংবদ্ধভাবে প্রকাশ পেয়েছে।

এই কাব্যগ্রন্থ সকল পাঠকের জন্য হোক হেদায়াতের সোপান।

আল্লাহ আমাদের কবুল করুন। আমীন।

— তরিকুল ইসলাম খালাসী

বৃহস্পতিবার, ১২ জুন, ২০২৫

উৎসর্গ

🌹 উৎসর্গ

আল্লাহ রাব্বুল আলামিনের নামে,
যিনি কলম ধরিয়ে দেন, বাণী দেন, ইলহাম দেন।

উৎসর্গ করছি—
👉 সেই সকল ইমানদার হৃদয়কে,
যারা কুরআনের আলোয় জীবন গড়তে চায়,
👉 সেই সকল শিক্ষক ও অভিভাবককে,
যারা তরুণ প্রজন্মকে দীনী জ্ঞান দিতে চেষ্টারত,
👉 এবং সেই সকল ভাই-বোনকে,
যারা ছন্দে খুঁজে পান ঈমানের স্পর্শ।

আরও উৎসর্গ করছি—
আমার প্রিয় পিতা-মাতা ও পূর্বপুরুষদের প্রতি,
যাদের দোয়া, ত্যাগ ও ভালোবাসা আমার পথচলার পাথেয়।

আল্লাহ তাআলা তাঁদের সবাইকে উত্তম প্রতিদান দিন,
এবং আমাদের সবাইকে কুরআনের আলোয় জীবন গড়ার তাওফিক দান করুন।

আমীন।

লেখকের কথা

✍️ লেখকের কথা

(“ছন্দে ছন্দে কুরআনের বাণী” সংকলনের প্রারম্ভিক বক্তব্য)

আলহামদুলিল্লাহ।

পবিত্র কুরআন—মানবতার পথপ্রদর্শক, শান্তির দিশারী। সেই মহান বাণীর সৌন্দর্য ও শিক্ষা যেন আরও হৃদয়গ্রাহী হয় – এই উদ্দেশ্য নিয়েই আমার এই ক্ষুদ্র প্রয়াস, “ছন্দে ছন্দে কুরআনের বাণী”।

আমি তরিকুল ইসলাম খালাসী, পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগণার মধ্যবেনা গ্রামের একজন খারেজি ও সিনিয়র মাদ্রাসার ছাত্র। ২০০৭ সাল থেকে লেখালিখির জগতে আছি। ইসলামিক ও সামাজিক ছন্দমিলপূর্ণ কবিতা রচনায় আমার বিশেষ আগ্রহ।

আলহামদুলিল্লাহ, আজ পর্যন্ত আমার লেখা প্রায় ১০০টির কাছাকাছি ইসলামিক গান ও কবিতা এপার বাংলা ও ওপার বাংলার বিভিন্ন পত্রিকায়, এবং জনপ্রিয় ইউটিউব চ্যানেলগুলোতে প্রকাশিত হয়েছে। এই কাজগুলো অনেক ভাই-বোনের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছে—এটাই আমার বড় প্রাপ্তি ও তৃপ্তি।

এই সংকলনে আমি চেষ্টা করেছি আমপারা অংশের সূরাগুলোর মূল শিক্ষা ও বার্তাকে ছন্দের মাধ্যমে সহজ ভাষায় উপস্থাপন করতে। প্রতিটি কবিতা যেন শুধু ছন্দের খেলা না হয়ে বরং চিন্তা, ঈমান, ও আমলের দিশা দেয়—এটাই আমার কামনা।

এই কাজ কোনোভাবেই নিছক কবিতা লেখা নয়—বরং এটি কুরআনের আলোয় জীবন গড়ার দিকে এক ছোট্ট পদক্ষেপ। ভুলত্রুটি থেকে থাকলে ভাইয়ের চোখে দেখবেন, সংশোধনের সুযোগ দেবেন।

আমি কৃতজ্ঞ—আমার রবের প্রতি, যিনি কলম চালিয়েছেন। কৃতজ্ঞ আমার পাঠকের প্রতি, যিনি এই কবিতাগুলো হৃদয় দিয়ে গ্রহণ করবেন। কৃতজ্ঞতা জানাই আমার শিক্ষক, সহপাঠী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের—যারা সবসময় প্রেরণা জুগিয়েছেন।

আল্লাহ তাআলা এই ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা কবুল করুন এবং সকল পাঠককে কুরআনের আলোয় আলোকিত জীবন যাপনের তাওফিক দান করুন।
আমীন।


---

✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
মধ্যবেনা, বাদুড়িয়া, উত্তর ২৪ পরগণা (পশ্চিমবঙ্গ)
📅 লেখালিখির সূচনা: ২০০৭ সাল
🎵 প্রকাশিত ইসলামিক গান: প্রায় ১০০
📰 প্রকাশনা: বিভিন্ন পত্রিকা ও ইউটিউব চ্যানেল
📖 ইসলামিক ও সামাজিক কবি


ভেদ করো না✍️

🕊️ ভেদ করো না

✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা আলে ইমরান: আয়াত ১০৫ অবলম্বনে
---
📜
ভেদ করো না, ভাইরে মোরা |
একই দীনের লোক,
তওহিদেরই রশি ধরি |
ভাঙবো না সেই শোক।
---
হকের পথে যারা ছিল |
তারা ভুলে যায়,
জানার পরও ভাগ হইলে |
রহমত ফিরায় পায়।
---
নামাজ পড়ো, রোজা রাখো |
তবু যদি ভাঙো,
ঈমান কাঁদে, সেই সমাজ |
জাহান্নামে ঝাঙো।
---
রাসূল বলেন, “ঐক্য রাখো” |
আছে বাণী সুনী,
যারা করে দল উপদল |
তাদের মোহর রাণী!
---
পার্থিব মোহ, দুনিয়ার রং |
করো সেসব ত্যাগ,
এক উম্মতের ছায়াতলে |
আসুক রহম ভাগ।।


তোমার পথে

তোমার পথে 
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (কোলকাতা) 

তোমারই নামে করি যে শুরু,
তুমি দয়া-ভরা,
তুমি যে প্রভু, জগতের রব,
রহমতে পথ ধরা।

তোমারি দয়া ঢেকে রাখে
পাপ-পঙ্কিল মনে,
তুমি বিচার দিবসের মালিক,
থামাও অন্যায় ক্ষণে।

তোমারি কাছে ইবাদতের
নয়ন তুলে চায়,
তোমারি দ্বারে সাহায্যের মিনতি—
মন কাঁদে শুধুই তাই।

সোজা সে পথ দেখাও আমায়
যে পথে তব দান,
সত্য, ন্যায়ের, নেক বান্দার
আছে যেখানে স্থান।

ভ্রান্ত যে পথে গজব নামে,
দেখিও না সে দিক,
তোমার পথে রাখো হে প্রভু,
জীবন হোক সৌভিক।। 

নাসের রব

নাসের রব

✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী

চাই আশ্রয় হে নাসের রব,
শয়তানের খারাপ,
তুমি ইলাহ, তুমি যে মালিক,
তোমাতেই শান্তি চাপ।

চুপটি করে ফিসফিস করে,
মনটা করে কালো,
দেয় কুমন্ত্রণা, সন্দেহ-বিষ,
হৃদয় করে ভালো।

সে যে লুকায় মানুষের মাঝে,
অদৃশ্য তার খেলা,
জিন আর মানুষ – সবাই ভেতরে,
জড়ায় শয়তান বেলা।। 


ভোরের প্রভু

ভোরের প্রভু

✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী

ভোরের প্রভু, তোমারই কাছে
চাই যে আশ্রয় পাকা,
সব অশুভ আর ক্ষতি থেকে
রাখো আমায় ঢাকা।

রাতের আঁধার ঢেকে যখন
মনটা নামে ঘরে,
তোমারি নিকট বলি মিনতি —
ভয় যেন না ধরে।

যে যাদুতে বাঁধে বন্ধন,
হিংসা ছড়ায় প্রাণে,
তার ছায়া থেকে তুমি রক্ষা
করো আমার জানে।। 

এক আল্লাহ

এক আল্লাহ 

✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী

বলো হে প্রিয়! আল্লাহ একজন,
নাই তাঁর কোনো জোড়া,
তিনি অমুখাপেক্ষী রব,
আছেন আপন অহরা।

জন্ম নেন না, কাউকে দেন না,
তিনি অনাদি চির,
তাঁরই আদেশে চলে বিশ্ব,
তাঁরই কৃপায় নীর।

নেই তাঁর মতো কোনো সত্তা,
নেই সমান দুনিয়া,
তিনি ছাড়া উপাস্য নন —
এই তো ঈমান জিয়া।

সৃষ্টি, পালন, ধ্বংসে তিনিই
করেন একক কাজ,
তাঁরিই নামে জপে জগত,
চলে শান্তির রাজ।। 


লাহাবের পরিণাম✍️

🔥 লাহাবের পরিণাম

✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী

লাহাবের হাতে জ্বলবে আগুন,
ধ্বংস তারই নাম,
নবীকে সে করত অপমান,
চায়নি সোজা ধাম।

ধন-সম্পদ ছিল অগণিত,
চেয়েছিল তা বাঁচে,
সেই ধনও রক্ষা করবে
না তার ভয়াল কাঁচে।

তার স্ত্রীও ছিল প্রতিহিংসায়,
কাঠ কুড়িয়ে আনে,
গলায় থাকবে শক্ত এক রশি,
জ্বলবে আগুন জানে।। 



কাউসারের দান✍️

🌸 কাউসারের দান

✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী

আমরা দিলাম কাউসার দান,
নবীর জন্য বয়ে,
তুমি তবে নামাজ কোরো,
কোরবানি দাও হয়ে।

নিন্দুকেরা যতই বলুক,
নবী একা নন,
তাদের চিহ্ন মুছে যাবে,
থাকবে না সে বন।

আমার ধর্ম

আমার ধর্ম

✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী

হে কাফেরের দল শুনে রাখ,
তোমার পথ নয়,
আমার ইবাদত শুধু রবের,
নয় কোনো দ্বিমত রয়।

তোমরা যাকে সেজদা করো,
তাতে আমি নই,
আমার রব এক ও অদ্বিতীয়,
তাকেই ভালো পাই।

তোমার ধর্ম, তোমার কাছে,
আমার পথ আমার,
ভেদ থাকবে বিশ্বাসভিত্তিতে,
চিরকাল নিরঙ্কার।। 



---

নাসরের বিজয়✍️

🕊️ নাসরের বিজয়

✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী

আসবে যখন আল্লাহ্‌র সহায়,
জয়ের ঢেউ বই,
দলে দলে আসবে মানুষ
ইসলামেরই ঠাঁই।

তবে তুমি প্রশংসা করো,
রবের নামে গান,
ক্ষমা চাও সব ভুল-ত্রুটির,
তিনি মাফ করে দেন।। 



রবের দান

📜 রবের দান
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা কুরাইশ (সূরা ১০৬) অবলম্বনে


---

কুরাইশ ছিল এক জনপদে,
কাবার পাশে ভাই,
তাদের নিয়ে রবের রহম,
ছিলেন সাথে তাই।

শীত-গ্রীষ্মে যেতো তারা,
বাণিজ্যেরই তরে,
রবই দিতেন শান্তি ও রিজিক,
ভয় ছিল না পরে।

রবই তাদের খাওয়াতেন ভাই,
দিতেন নিরাপত্তা,
চিনতো না তারা ক্ষুধার জ্বালা,
ছিল না কোন ব্যথা।

তাই বলি ভাই, আমরাও যেন
রবের পথে যাই,
যার দয়া সব পথ দেখায় —
তাঁরই স্মরণ চাই।।


ধ্বংস হল অহংকার✍️

📜 ধ্বংস হল অহংকার
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা আল-ফীল (সূরা ১০৫) অবলম্বনে

হাতি নিয়ে এল সৈন্যদল,
কাবা করতে ক্ষয়,
আব্রাহা যে গর্ব করতো,
রব দিলেন ভয়।

ভাবলো জিতে নেবে সবাই,
নেবে কাবার মান,
আল্লাহ পাঠাল পাখি দল,
পাথর ছিলো প্রাণ।

তাদের মুখে আগুন পাথর,
ছুঁড়লো একসাথে,
সব গর্ব আর সেনাবাহিনী,
গেলো মাটির সাথে।

দেখলে যেন খড়ের গাদা,
চূর্ণ হলো তারা,
রবের সেনা কীভাবে আসে —
দুনিয়াও বুঝলো সারা।। 


অভিশপ্ত অহংকার✍️

📜 অভিশপ্ত অহংকার

✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা আল-হুমাযা (সূরা ১০৪) অবলম্বনে


---

যে বদনাম করে সবাইকে,
পিছনে দেয় গালি,
রবের কাছে সে সত্যিই
পাপে ভরা খালি।

ধন জমিয়ে ভাবে সে যে,
চিরকাল তা রবে,
মৃত্যু এলে কিছুই থাকবে?
সবই মাটির হবে।

সে জানে না শাস্তি কেমন,
আগুন কেমন জ্বলে,
জাহান্নামের আগুন ঠাঁই,
পুড়বে চিরকালে।

হৃদয় ভেদে ঢুকবে আগুন,
চেপে ধরবে প্রাণ,
রবের শাস্তি বড়ই কঠিন,
কাঁপে সারা জ্ঞান!


সময় যায় যে চলে✍️

📜 সময় যায় যে চলে
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা আল-আসর (সূরা ১০৩) অবলম্বনে


---

সময় যায় যে চলে ধীরে,
থামে না তা ভাই,
যে হারায় এই সময়টাকে,
দুঃখ শুধু পাই।

সবার জীবন ক্ষতিতে ভাই,
এই তো কুরআন বলে,
যারা চলে হকের পথে,
তারাই সোজা চলে।

যে ঈমান রাখে বুকে,
সৎ কাজ করে,
সত্যবাদী সেই হয়,
রব তাকেই পছন্দ করে।

ধৈর্যধারী সেই বান্দারা,
চলে সরল পথে,
তাদের জন্যই রহমত মেলে,
রবের দয়ার স্রোতে।। 



গোনার নেশা✍️

📜 গোনার নেশা
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা আত্-তাকাসুর (সূরা ১০২) অবলম্বনে


---

ধন-সম্পদ, নাম ও যশে,
ডুবে আছে মন,
গোনার নেশায় মানুষ ছুটে,
ভোলে সে জীবন।

কবরেতে ঢুকলে তবে,
চোখ খুলে যায়,
তখন কিন্তু কিছু বলা,
হবে না আর ভাই।

ভেবেছিলে এই দুনিয়াই,
চির চলবে হায়!
আখিরাতে হিসাব আছে,
সেই দিন আসবেই।

যদি আগে জানতে তুমি,
শেষ কেমন হয়,
তবে এমন গোনার নেশা,
করতে না তো জয়।

আগুন হবে সামনে তোমার,
রবই তা দেখাবেন,
যারা করে অবাধ্যতা,
তাদের মাঝেই দেবেন।

সেই আগুনে পুড়বে তারা,
ভাবেনি যারা পরে,
ভেবেছে যে, শুধু ভোগে,
সব সুখ আছে ঘরে।। 




ক্বারিয়ার দিন

📜 ক্বারিয়ার দিন
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা আল-ক্বারিয়া (সূরা ১০১) অবলম্বনে


---

ভয়ংকর এক দিন আসবে,
কাঁপবে সব পাহাড়,
সবাই বলবে — কী যে হলো,
ভয়েই কাঁপে গাঁড়।

মানুষ হবে পাতার মতো,
উড়বে বাতাসে,
পাহাড়গুলো হবে তুলো,
ভেঙে যাবে পাশে।

যার আমলভর খাতা ভারী,
পাবে সে সম্মান,
জান্নাত হবে তার ঠিকানা,
সুখে ভরা স্থান।

আর যার খাতা খালি পড়ে,
ভালো কিছু নাই,
নিয়তির সেই আগুন ঘর,
জ্বলছে যেখানে চাই।। 


বেপরোয়া ঘোড়ার মতো✍️

📜 বেপরোয়া ঘোড়ার মতো
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা আল-আদিয়াত (সূরা ১০০) অবলম্বনে


---

ঘোড়া ছুটে যুদ্ধ করে,
চোখে আগুন জ্বলে,
ভোর বেলায় হামলা চালায়,
ধুলো ওঠে গলে।

রব করলেন শপথ তাতে,
দিলেন বুদ্ধির ডাক,
তবু মানুষ লোভে অন্ধ,
ভোলে রবের ভাক।

ধন-সম্পদ চাই যে শুধু,
গুনে রাখে মাল,
ভেবে না সে মরার পরে,
কি হবে তার হাল।

যখন খুলবে বুকে পাতা,
সবই জানবে লোকে,
রবই জানেন কে কী করেছে,
রাত-দিনের ঢাকে।। 


যখন কাঁপবে এই জমিন✍️

📜 যখন কাঁপবে এই জমিন
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা আয-যিলযাল (সূরা ৯৯) অবলম্বনে


---

যখন কাঁপবে এই জমিন,
ভীষণ রকম ধরা,
সবই বেরোবে ভেতর থেকে,
লুকিয়ে ছিল যারা।

মানুষ বলবে, কী হয়েছে,
কেন কাঁপে ধরা?
জমিন বলবে, আমার বুকে,
ছিল গোপন সরা।

রবের হুকুম, আমি তখন,
সাক্ষী হবো ঠিক,
যে যা করেছে গোপনে ভাই,
সবই জানবে ঠিক।

নিজ নিজ কাজ নিয়ে মানুষ,
দাঁড়াবে একদিন,
রবের কাছে হিসেব দেবে,
রবে না কোন চিন।

যে করেছে ন্যায়ের কাজ,
সেটুকু সে পাবে,
আর যে পাপে ডুবে ছিলো,
শাস্তির পথ ধাবে।। 



সত্যের আলো✍️

📜 সত্যের আলো
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা আল-বাইয়্যিনাহ (সূরা ৯৮) অবলম্বনে


---

সবাই ছিলো দ্বিধার মাঝে,
সত্য কে আর চায়?
রব পাঠালেন প্রিয় নবী,
আলো দিলেন ভাই।

তিনি এলেন কুরআন নিয়ে,
পবিত্র সে কথা,
যে তা মানে — পায় সে জ্ঞান,
জেগে ওঠে ব্যথা।

আগের কিতাব ছিল তাদের,
তবু বুঝলো কই?
নবীর কথা মানলো না কেউ,
চলার সঠিক নয়।

যারা রবের পথে চলে,
সৎ কাজে দেয় মন,
তাদের জন্য জান্নাত সাজে,
শান্তিরই সেই ধন।

আর যারা করে গাফিল,
চায় না ভালো হক,
তাদের জন্য আগুন আছে,
আছে ভয়ানক শোক।। 


কদরের রাত✍️

📜 কদরের রাত
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা আল-কদর (সূরা ৯৭) অবলম্বনে


---

লাইলাতুল কদর বয়ে আনে,
রহমতের এক ঝর,
এই রাতে নেমেছে কুরআন,
আলো করে ঘর।

হাজার মাস থেকেও বেশি,
এ এক বরকত রাত,
রবের রহম ছড়িয়ে পড়ে,
যে করে ইবাদাত।

ফেরেশতারা নেমে আসে,
জিবরাইলও সাথে,
রবের হুকুম নিয়ে নেমে,
আনন্দ-শান্তি পাথে।

যত ইবাদত, যত দোআ,
এই রাতেই চাই,
রব ক্ষমা দেন, রহমত দেন,
দূর করেন সব দায়।

এই রাতের শেষ প্রহরেও,
শান্তি নামায় রব,
যে জেগে থাকে, কাঁদে রাতে —
সে পায় কাছে প্রভ।। 


পড়ো তুমি রবের নামে✍️

📜 পড়ো তুমি রবের নামে
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা আলাক (সূরা ৯৬) অবলম্বনে


---

পড়ো তুমি রবের নামে,
যিনি সবই করেন,
মানুষকে তিনি বানিয়েছেন
রক্তবিন্দু ধরেন।

কলম দিয়ে শেখান তিনি,
বুদ্ধি দিলেন ঠিক,
যা কিছু আজ মানুষ জানে —
সবই তাঁর লিখিত লিখ।

মানুষ পরে ভুলে যায় ভাই,
চায় না নত হতে,
ভাবছে যেন নিজেই বড়,
চলায় নিজের মতে।

নামাজ দেখে বাঁধা দেয় সে,
পাপের পথে টানে,
রব যে সবই জানেন আগে,
কে কোথা সে চেনে।

যদি সে না মানে কথা,
টেনে ধরা হবে,
কোনও কাজে আসবে না আর
লোক, দল, পয়সা, রবে।

তুমি বরং সেজদা করো,
রবের পথে চলো,
সেই পথে যে শান্তি মেলে —
রহমতে ভরে ফেলো।। 

মানুষ হলো শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি✍️

📜 মানুষ হলো শ্রেষ্ঠ সৃষ্টি
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা আত্-তীন (সূরা ৯৫) অবলম্বনে


---

তিনে ডালে ফল ঝুলে ভাই,
তুর পাহাড় খাঁড়া,
এই শহরটা মোবারক –
মক্কা পবিত্র ধারা।

রব করলেন কসম দিয়ে,
এই সব চিহ্ন ধরে,
সত্য পথে ধরে মানুষ
গড়লেন শ্রেষ্ঠ করে।

কিন্তু যারা ভুল পথে যায়,
চলায় না সে ঠিক,
পড়ে গিয়ে হয় দুর্বল,
জীবন হয় ক্ষতিক।

যারা সৎ কাজ বুকে,
রবের নামে রাখে,
তাদের জন্য জান্নাত সাজে,
সুখের আলো মাখে।

বিচার কি আর হবে না ভাই?
কে দেবে সে জবাব?
আল্লাহই তো বিচারক,
ন্যায়ের মালিক সব।। 



স্বস্তি আছে কষ্টের পরে✍️

📜 স্বস্তি আছে কষ্টের পরে
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা আল-ইনশিরাহ (সূরা ৯৪) অবলম্বনে


---

রব কি বুকে প্রশান্তি দেনি,
হালকা করেন বোঝা?
যা ছিল ভাই ভারে ভারী,
দিলেন শান্তি সোজা।

তোমার নামে দিলেন মর্যাদা,
চির উচ্চ সেই,
কষ্ট আসে — স্বস্তি আসে,
রব তো রয় সঙ্গেই।

হ্যাঁ গো ভাই, কষ্ট যতই,
পথ যেন আঁধার,
সাথেই আসে সহজ রহম,
আছে আলোবার।

যখন তুমি পাবে অবসর,
থেমো না সে ক্ষণে,
নতুন কাজে মন দিও ভাই,
রবের নামে সনে।

রবের দিকে রাখো চাহনি,
তাঁরই দয়ার চাই,
তাঁরই পথে, চির শান্তি,
তাঁরই রহমত পাই।। 

রব তো পাশে রয়✍️

📜 রব তো পাশে রয়
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা আদ্-দুহা (সূরা ৯৩) অবলম্বনে


---

সূর্য যখন আলো আনে,
রাত নামে ধীরে,
রব তো তোমায় ফেলেনি ভাই,
ছিলেন সাথেই ঘিরে।

যা সামনে আসে জীবনে,
ভালো তারই ফল,
রবই জানেন কাকে দিবেন,
ভালোবাসার জল।

এতিম ছিলে, দিলেন ঠাঁই,
আপন করে ভাই,
পথহারা যে ছিলে আগে,
রবই পথ দেখাই।

ছিলে গরিব, দিলেন দান,
ভরিয়ে দিল বুকে,
তাই তো এখন গরিব দেখে,
চোখ ফেরাও না মুখে।

এতিম যদি আসে কাছে,
মন ভাঙিও না,
যে চায় কিছু, ফিরিও না,
চোখ সরিও না।

রব যা দেন, সে নিয়ামত,
লুকায়ো না ভাই,
তাঁরই দয়া, গুণের কথা,
সবার মাঝে ছড়াই।। 


দিন আর রাত✍️

📜 দিন আর রাত
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা আল-লাইল (সূরা ৯২) অবলম্বনে


---

রাত যখন সব ঢেকে রাখে,
আলো চলে যায়,
দিন আসে সে কাজ নিয়ে,
সাথে রোদ ঝলমায়।

পুরুষ-নারী সৃষ্টি সবাই,
ভিন্ন কাজে রয়,
যে দেয় খরচ আল্লাহর পথে,
তার জীবনই জয়।

ভয় করে যে রবকে সত্য,
পথে থাকে ঠিক,
সহজ করে দেন আল্লাহ,
তার সকলেই দিক।

যে কৃপণ, হয় না নরম,
অসত্যে তার বাস,
রব দেন তার রাস্তাখানি,
বেদনায়ই ভাস।

হেদায়াত তো আল্লাহর হাতে,
তিনিই জানেন সব,
দুনিয়া ও আখেরাতে
তাঁরই থাকে রব।

ভয় থেকে যে বাঁচে আগুন,
পবিত্র তার মন,
যে শুধু দেয়, চায় না কিছু,
রবই যার পূরণ।

সব ভালোই আল্লাহ দেখে,
লুকানোও রয়ে,
তাকে দিবেন উত্তম ফল,
সন্তুষ্টি সয়ে।। 

আত্মার আলো✍️

📜 আত্মার আলো
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা আশ-শামস (সূরা ৯১) অবলম্বনে


---

সূর্য যখন ওঠে রে ভাই,
আলো মেলে হাত,
চাঁদও তারে অনুসরণে,
দেয় শান্তির রাত।

দিনটি আসে কাজের ডাকে,
রাত দেয় বিশ্রাম,
রব বানান আকাশ-মাটি,
সবই আছে সালাম।

তুমি আমি আত্মা পেয়ে,
ভালো-মন্দে ঝুঁকি,
রব দেখান কোনটা সোজা,
আর কোনটা ধুঁকি।

যে নিজেকে রাখে পরিষ্কার,
ভয় রাখে প্রাণে,
জান্নাত তারই জন্য সাজানো,
রহমতেরই টানে।

যে কিনা নষ্ট করে নফস,
চায় না ভালো পথ,
পাপে ডুবে যায় সে অন্ধ,
ভাঙে সবই রথ।

সামূদের এক গোঁয়ার দল,
শোনে না নবী কথা,
আল্লাহর সেই উটনিকে
মারে নিষ্ঠুর ব্যথা।

ভয় ছিল না হৃদয়ভরে,
চায়নি কোন মাফ,
রব দিলেন ধ্বংস তাতে,
শেষ তাদের সব।

এইসবই আছে শিক্ষা ভাই,
কে নেয় কদর আজ?
যে চলে রবের পথ ধ’রে—
তারে দেন সিরাজ।। 

আকাবার পথ✍️

📜 আকাবার পথ

✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা আল-বালাদ (সূরা ৯০) অবলম্বনে


---

এই শহরের শপথ করেন,
রহমতের যে রব,
তুমি আছো এই নগরে,
খোলা আছে সব।

মানুষ আসে দুনিয়াতে,
কষ্ট নিয়ে ভাই,
জীবন জুড়ে দুঃখ ভরা,
সুখটা কেমন পাই?

বলে মানুষ, “আমার শক্তি,
কে আমাকে ঠেকায়?”
অহংকারে ভরে থাকে,
কেউ তার ভুল না কয়।

খরচ করে হাজার টাকা,
দেখাতে সে রূপ,
কিন্তু তাতে ভালো নেই তো,
ভেতর শুধু কূপ।

চোখের সামনে খোলা ছিলো
আকাবার পথ ভাই,
যেখানে আছে দয়া-মায়া,
নেই যে ভয় বা ক্ষয়।

একজনকে মুক্ত করা,
যে দাস দুঃখজড়,
অভাবীর মুখে ভাত তুলে
হয়ে যায় সে বড়।

কোনো আত্মীয় কষ্ট পেলে—
সাহায্য কর ভাই,
অচেনাকেও খাবার দিলে—
রবে না কোনো দায়।

যারা চায় রবের পথে,
আনে ঈমান সাথে,
ধৈর্য ধরে চলে তারা,
সততা সে হাতে।

রব তাদের ভালোবাসেন,
দেন শান্তির ঘর,
আর যারা মুখ ফিরিয়ে নেয়,
তাদের শাস্তি ধর।

জ্বলবে আগুন, থামবে না তা,
ব্যথা হবে ভার,
চিরকালই পুড়বে তারা—
রবে অন্ধকার।। 

তোমার পিছু রাখে এক নজর✍️

📜 তোমার পিছু রাখে এক নজর

✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা আল-ফজর (সূরা ৮৯) অবলম্বনে


---

তুমি কি দেখো না ভোরের আলো,
ফাটে অন্ধকার,
আসে সাথে কসমের ঘনঘটা,
রব দিলেন হুঁশিয়ার!

দশটি রাত, জোড় আর বিজোড়,
সবই তো রাখে মান,
গণনা হয় প্রতিটি ক্ষণ—
রয় না কিছু গোপন।

তুমি কি জানো না আদ-জাতিকে,
কী শক্তিশালী তারা!
তবে কুৎসিত অহংকারে
ধ্বংস হলো একসারা।

সামূদেরও ছিলো রাজ্য বহু,
পাহাড়ে করত ঘর,
অবাধ্যতায় নামলো শাস্তি—
থামল তাদের জ্বর।

ফেরাউন ছিলো এক জালেম রাজা,
শক্তিতে করতো গর্ব,
অন্যায়ের ছাপে ডুবিয়ে দিলো,
রব দিলেন শাস্তি তরব।

মানুষ ভাবে, "রব দিলো সুখ—
তিনি আমায় চায়!"
আর যদি দেন কোনো পরীক্ষা—
অভিযোগে সে কাঁদে হায়!

না, এ নয় উত্তম মনোভাব—
চাই না তুমি ভুলো,
তোমার পিছু রাখে এক নজর—
ফেরেশতা যারা চলো।

সেদিন আসবে, ডাকবে রব:
“হে প্রশান্ত প্রাণ,
চলো ফিরে তোমার প্রভুর কাছে—
সন্তুষ্টির মহান!”

চলো জান্নাতের সেই ঘরে,
আমার বান্দা রে!
যেখানে আছে অনন্ত শান্তি—
ভালোবাসা ঘিরে।। 


ঢেকে দেবে চেহারা✍️

📜 ঢেকে দেবে চেহারা

✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা আল-গাশিয়াহ (সূরা ৮৮) অবলম্বনে


---

এসেছে কি সেই খবর ভাই,
ঢেকে দেবে মুখ?
কিছু চেহারা থাকবে সেদিন,
কষ্ট-জর্জর সুখ।

ক্লান্ত চোখে তাকিয়ে দেখবে,
কিছুই নেই যে ঠিক,
চেষ্টা করেও পাবে না ফল,
রবে শুধু শূন্য দিক।

কেউ যাবে আগুনের মাঝে,
খুবই গরম জল,
জ্বলবে চামড়ার পর চামড়া,
থামবে না সে বল।

আর কিছু মুখ থাকবে সেদিন,
আলোকময় বেশ,
তারা পাবে জান্নাতের শান্তি—
রব দিয়েছেন রেশ।

নরম বিছানা, ঝর্ণার পানি,
গাছের ছায়া স্নিগ্ধ,
রবি যাকে খুশি করেছেন,
সে পায় জীবন নিঃদ্বন্দ্ব।

তুমি কি ভাবো না এ ভবে—
কে বানালো সব?
উঁচু আকাশ, মাটি-পাহাড়,
সবই তো দিলেন রব।

তুমি শুধু স্মরণ দাও ভাই,
নও তুমি কর্তা,
রবই বিচার করবেন সব—
তাঁরই আছে শর্তা।। 


সবচেয়ে মহান

📜 সবচেয়ে মহান

✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা আল-আ‘লা (সূরা ৮৭) অবলম্বনে


---

ঘোষণা করো, পবিত্র রব,
সবচেয়ে মহান,
তিনিই সব গড়েছেন ভাই,
পর্যবেক্ষক জান।

দেন তিনি রূপ ও গঠন,
মাপজোখ ঠিকঠাক,
পথও দেন সঠিক জানি,
গোল করে না বাঁক।

তিনি জীবন দেন গাছপালায়,
রিজিক দেন সবার,
সবুজ করে, পরে তা হয়,
ভস্ম-ভরা কাঠার।

তোমায় তিনি শেখালেন,
বলো যেন ঠিক,
তিনি জানেন যা গোপনে,
আর প্রকাশ্য দিক।

তুমি স্মরণ দাও ওদের,
যদি তারা চায়,
যে ভয় করে, সে-ই শেখে,
রবের পথেই যায়।

অভাগারা এড়িয়ে চলে,
নিয়ে পিঠের বোঝা,
জ্বলবে তারা আগুনে ভাই,
পাবে শুধুই সাজা।

যারা পায় পরিশুদ্ধ প্রাণ,
তাদের জন্য শান্তি,
যিকর করে লাভ করে ভাই,
নয় সে অগণিতি।

তারা জানে দুনিয়া ক্ষণিক,
আখিরাতে জয়,
এটাই তো সঠিক পথ ভাই,
মিথ্যা এতে নয়।

এই বাণী ছিলো আগে,
ইব্রাহিম-মূসার,
যারা ভয় করে সেই পায়,
চায় না যারা হার।। 


তারার ডাক✍️

📜 তারার ডাক

✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা আত-তারিক (সূরা ৮৬) অবলম্বনে


---

শপথ ওই আকাশ রাত্রির,
তারার ঝিলমিল,
উজ্জ্বল এক তারা আছে,
সবার মাঝে মিল।

তুমি কি তা জানো ভাই,
কি সেই তারার ডাক?
যা লুকানো সত্য বয়ে,
জাগায় আল্লাহভাক্।

প্রতিটি প্রাণ পাহারায় ভাই,
রব রেখেছেন লোক,
যা কিছু হয়, লেখে তারা,
লুকায় না এক চোখ।

মানুষ দেখে না কীভাবে,
হলো তার শুরু?
একফোঁটা জল ছিল শুধু,
নেই তাতে গরু।

রক্ত-মাংসে গড়েন রব,
দিলেন জীবনের ধারা,
তিনি আবার বানাতে পারেন,
যখন চায় সে মারা।

যেদিন খুলে যাবে সব,
গোপন মন-ব্যথা,
চুপ থাকবে তখন মুখ,
বলবে না কেউ কথা।

এই কুরআন মজার কিছু,
এমন ভাবো না,
এতে আছে ভয় আর শিক্ষা,
মিথ্যা কিছু না।

পাপীরা করে ফাঁদ রচনা,
লুকিয়ে গোপনে,
আল্লাহও দেন ফাঁদের জবাব,
পরিকল্পনা পুণ্যে।

তাই এখন তাদের ছেড়ে,
দাও যে অবকাশ,
রবই জানেন কে কখন,
পাবে কোন সর্বনাশ।। 

গর্তে আগুন✍️

📜 গর্তে আগুন

✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা আল-বুরুজ (সূরা ৮৫)


---

শপথ ওই আকাশ ভরা,
টিমটিম তারা রে,
শপথ নেয় যে বিচার হবে,
সেই মহান ঘরে।

ধ্বংস হোক সে আগুনখোঁড়ার,
জ্বালায় যারা গর্ত,
যারা বলতো "রব এক আমার",
তাদের দিলো মর্ত।

তারা পুড়ল সেই আগুনে,
দিলো না তারা ছাড়,
তবু মুমিন ভয় পায়নি,
ছিলো রবের ভার।

আল্লাহ দেখেন সবই তো ভাই,
তাঁরই হাতে শক্তি,
তিনি রাজা, তিনিই বিচারক,
তাঁরই আছে মুক্তি।

যারা রাখে ঈমান বুকে,
ডাকে শুধু রব,
তাদের জন্যে জান্নাত আছে,
চির শান্তির সব।

আর যারা করে অন্যায়,
ভয় করে না হায়,
তাদের জন্য আগুন আছে,
সেখানে শান্তি নাই।

রব তো শুরু করেন সৃষ্টি,
আবার ফেরান প্রাণ,
তিনি ক্ষমাশীল, দয়াবান,
তাঁরই দিকে মান।

তোমরা কি জানো না কাহিনি,
সামূদ আর ফিরআউন?
জুলম করে পাপে ডুবেছে,
বাঁচলো না কেউ তাওন।

সবই আছে লেখা একঠাঁই,
পবিত্র কাগজে,
রব রেখেছেন সব খবর,
লাওহে মাহফুজে।। 

যখন আকাশ ফেটে যাবে✍️

📜 যখন আকাশ ফেটে যাবে
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
🏡 মধ্যবেনা, বাদুড়িয়া (কোলকাতা)
📖 সূরা ইনশিকাক (সূরা ৮৪) অবলম্বনে


---

যখন আকাশ ফেটে যাবে,
শুনবে ভয়ের ডাক,
রবের আদেশ মানবে তখন—
থামবে সকল বাক।

যখন মাটি ছড়িয়ে দেবে
ভেতরের সব গোপন,
আদেশ শুনে শান্ত হবে—
থামবে সবই তখন।

হে মানব! তুই খাটিস কেবল
এই দুনিয়ার তরে,
ফিরবি শেষে আপন রবের
বিচার-মঞ্চের ঘরে।

যে পাবে তার কিতাবখানা
ডান হাতে সেদিন,
সে তো খুশি মনে বলবে—
“দেখো আমার দিন!”

সেই ব্যক্তির হিসেব হবে
সহজ-সরল হায়,
সুখে-শান্তিতে ফিরবে সে,
নয় কোনো সংশয়। 

আর যে পাবে পেছন থেকে
কিতাব পাপের ভার,
চিৎকার করে বলবে সে—
“ধ্বংস হোক এ সার!” 

সে তো ছিলো দুনিয়াতে
নিজের মধ্যে মগ্ন,
ভেবেছিলো ফিরতে হবে না—
রবের সে নয় গন্য।

না, নিশ্চয়ই ছিলো এক
অন্তর অন্ধ তার,
রব তো সবই দেখেন ভাই—
ছিল না কিছু হার।। 

ওজন কম দিও না ভাই✍️

📜 ওজন কম দিও না ভাই
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা মুতাফ্ফিফীন (সূরা ৮৩) অবলম্বনে


---

ওজন কম দিও না ভাই,
রব তো সবই জানে,
পাল্লা যেটা তুই ধরিস,
সেটা কি ঠিক মানে?

নিজের জন্য তুই যা চাস,
তাই দে সবার পণ,
ভুলে যাস না—একদিন
আসবেই সেই গণন।

ধ্বংস তারা! কম মাপে
দেয় যে অন্যজন,
পাপের খাতায় লিখছে সব,
দেখবি একদিন মন।

সেদিন তবে দাঁড়াবি,
কোনো পক্ষ নাহি,
যার কাজ খারাপ হবে,
বাঁচার সুযোগ কাহি?

তারা এখন হাসাহাসি
নেক বান্দার চেয়ে,
সেদিন কিন্তু হাসবে না,
জ্বলবে আগুন পেয়ে!

নেক বান্দারা জান্নাতে,
সুখে কাটায় দিন,
রবের নৈকট্য পায় তারা,
ভরে হৃদয় বিন।

তাদের আমল লেখা হয়,
উঁচু এক কিতাবে,
যে-ই চায় তা দেখতে ভাই,
দেখবে স্বচ্ছভাবে।

তাদের মুখে জ্যোতি থাকে,
থাকে শান্তি বাণী,
তাদের পানির পেয়ালা
রব দিয়েছে দানী।। 




যখন আকাশ ছিঁড়ে যাবে✍️

📜 যখন আকাশ ছিঁড়ে যাবে
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা ইনফিতার (সূরা ৮২) অবলম্বনে


---

যখন আকাশ ছিঁড়ে যাবে,
তারকা ঝরে পড়ে,
সমুদ্র যখন উথলে উঠবে,
কবর খুলে ধরে—

জেনে নেবে প্রত্যেক জীবন,
কি সে করেছে কাজ,
কি সে পাঠায় আপন জন্যে,
থাকবে কি তাতে সাজ?

হে মানব! কী করেছো তুমি—
প্রভু বড়ো দয়াল,
তিনিই তো গড়েছেন মোছা,
গড়েন রূপ-রঙ-ঢাল।

আকৃতি তোর মাপে মেপে,
গঠন দিয়েছেন চাই,
যে পথে চায়, সে তেমন করে—
রবেরই এক দায়।

না! মানুষ তো করেছে ভুল,
ভুলে রবের বিধি,
তার উপর আছে পাহারাদার,
ফেরেশতা সদা নিধি।

সব কিছুই লেখা হবে,
যা তুমি করো আজ,
দিনে-রাতে যে সব ঘটে,
লিপিবদ্ধ সেই কাজ।

ধারাবাহিক সেই বিচার দিনে,
বাঁচবে কে ঐ ক্ষণে?
ধর্ম যে নেই – রক্ষা কোথায়,
কোথায় তার আপন জনে?

আহ! নেক লোক কী জানে না যে,
রহমতে নাজাত রয়?
আর পাপীজন কী জানে না—
নরকে কঠিন ভয়?

সেই দিন হবে বিচারের দিন,
কেউ ফিরাতে পারবে না,
আদেশ দিবে একমাত্র রব—
কাহারো কথা চলবে না।। 


যখন চোখে ভয় নেমে আসবে✍️

📜 যখন চোখে ভয় নেমে আসবে
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
📖 সূরা তাকভীর অবলম্বনে
---
যখন সূর্য ঢলে পড়বে,
হারাবে সে তাপ,
তারা ভেঙে পড়বে নীচে,
নিভে যাবে সব!

পাহাড় কাঁপে, উড়ে যাবে,
গরবিনী উট ফেলে,
সমুদ্র হবে রক্ততুল্য,
সীমা কে আর মেলে?

শিশু কন্যা জিজ্ঞেস করবে—
কোন দোষে খুন আমি?
রোজনামা খোলে ধরা,
গোপন ছিল যামী!

নরক তখন চোখে আসবে,
জ্বলবে অগ্নি-ভয়,
জান্নাতও হবে উন্মুক্ত,
শান্তির মধুময়।

জেনে যাবে মানুষ তখন,
কি করেছে প্রাণে,
কে দিয়েছে কোন ইশারা,
কোন পথে সে হানে।

এ বাণী এক ফেরেশতা ফেরে,
বিশ্বাসী, শক্তিমান,
সিদ্ধ পথের রাহবার সে,
রবেরই এক দান।

সেই বাণী নিছক কবিতা নয়,
অন্ধেও তা চেনা,
শুধু যে চায়, তাকেই মেলে,
বাকিরা হারায় ভোনা।। 



যে মুখ ফিরিয়ে নিলো

যে মুখ ফিরিয়ে নিলো

✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী

একজন মানুষ মুখ ফিরিয়ে নিলো,
এক জন দৃষ্টি হীন,
ডাকছিল সে হিদায়াতের দিকে,
ছিলো না তাতে দীন!

কে যে মর্যাদায় বড়ো এখানে,
তারে কি তুমি চেনো?
যে খোঁজে সত্য – সেই তো শ্রেষ্ঠ,
তুমি ভুলে যেও না যেন!

যাকে তুমি হেয় করেছিলে,
সে জানে সত্যের মুখ,
আর যাকে তুমি আপন ভেবেছো,
সে ডাকে কেবল সুখ।

না সে ভয় পায়, না সে শেখে,
চায় না নেকের আলো,
তার মনেতে দম্ভ-অহংকার,
ভালো কি তাতে ভালো?

এই কুরআন এক খাঁটি বাণী,
জাগায় সত্য বোধ,
যে চায় শিক্ষা — সে তা পাবে,
রবে না কোনো ক্ষোভ।

এমন বাণী পবিত্র-পরিচ্ছন্ন,
লিপিবদ্ধ হয় সব,
ফেরেশতারা রাখে তা লিখে,
রবের হুকুমে ধ্রুব।

ধ্বংস সে মানুষ, অকৃতজ্ঞজন,
কে দিলো তার প্রাণ?
একফোঁটা থেকে সে গড়েছে,
কী করে করে অসম্মান?

তার পর ধাপে ধাপে গঠন,
জীবন দিলো ধার,
যখন চায়, মাটিতে ফেরায়,
শেষে তো সেই বিচার।

এবার যখন ডাকা হবে,
বেড়িয়ে আসবে কবর,
সেদিন তুমি প্রস্তুত আছো?
আছে কি সদ্গুণ ভর?


মৃত্যু'র পরের ডাক

মৃত্যু’র পরের ডাক

✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী

তীব্র ঝাঁকায় ফেরেশতারা,
ছিনিয়ে নেয় প্রাণ,
কারো বেলায় মধুর মমতা,
কারো বেলায় ত্রাণ?

সেদিন কিন্তু আসবেই ফিরে,
নেই যে পালাবার,
কম্পে উঠবে পাথর-আকাশ,
ভয় পাবে পরিবার।

হৃদয় কাঁপে, বুকে প্রশ্ন জাগে—
জীবন কেমন কেটেছে?
যারা ফিরল সত্য পথ থেকে,
জাহান্নামেই মেটেছে।

মূসা এলেন রবের বারতা,
ডাকলেন হেদায়াতে,
ফিরআউনের দম্ভে উঠল আগুন,
ডুবল সে লানাতে।

তোমরা কেন মানো না তাঁকে,
সৃষ্টিকর্তা যিনি?
হাড়-গোড়েও প্রাণ দিয়ে দেন,
তাঁরই কুদরতি নিদর্শনী।

যে পবিত্র, ভয় করে রব,
সংযম রাখে অন্তর,
তারই জন্যে জান্নাত বরকত,
চির শান্তির ঘর।

আর যে পিছে দুনিয়া চায়,
চায় না নেকের আলো,
আগুন পাবে সেই ব্যক্তি,
দেখবে শুধু কালো।

এসব কথা নিছক গল্প নয়,
আছে তাতে শিক্ষা,
আখিরাতের ডাক পড়বেই,
যে বুঝে সে-ই বাঁচা।। 



একটি বড় খবর

একটি বড় খবর

✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী

জিজ্ঞেস করে মানুষ সবাই,  
কি সে বড়ো খবর?  
যে খবরে সব কাঁপে গায়,  
শোনে না কেউ জবর।  

একদিন তো সবাই জানবে,  
যখন বাজবে ঘণ্টা,  
আকাশ হবে চুরমার,  
ধরবে ভয়ের ছাঁটা।  

পাহাড় হবে ধুলোবালি,  
ভেসে যাবে জলে,  
মহান রবের সামনে সবে,  
দাঁড়াবে এক ছলে।  

আমরা কেমন জীবন কাটাই,  
তা-ই লেখা হয় ঠিক,  
যা করেছি সবার হিসাব,  
আসে একদিন টানিক।  

পুণ্য যারা জমিয়ে রাখে,  
পাবে বেহেশ্‌তের ছায়া,  
কাফের যারা অবাধ্য,  
তাদের আগুন খায়া।  

সেথা শান্তি নাইকো মোটে,  
না থাকে কিছু ঠাঁই,  
গরম পানি, জ্বলন্ত আগুন,  
সারাটি জীবন দায়।  

এই সবই এক সঠিক কথা,  
আছে এতে শিক্ষা,  
যে ভয় পায় আল্লাহ্‌র ডাকে,  
সে পায় মুক্তির দীক্ষা।।

সোমবার, ৯ জুন, ২০২৫

জীবন বিক্রি করেছি

📜 জীবন বিক্রি করেছি 
✍️ তরিকুল ইসলাম খালাসী
🏡 মধ্যবেনা, বাদুড়িয়া (কোলকাতা)
---
জীবন বিক্রি করেছি আমি  
মালিক আল্লাহর হাটে,
জান্নাত পেলাম দাম স্বরূপ 
চিরসুখের পাটে।

রক্ত ঝরুক এই পথে  
মুখে নেইকি ক্লান্তি,
শাহাদাতই স্বপ্ন আমার  
তাতেই আছে শান্তি।

কাটে যদি মাথা তবু 
ফিরবো না সে ডাকে,
মৃত্যু এলে হাসিমুখে 
যাবো জান্নাতের দিকে।

বাণী এসেছে তাওরাতে 
ইনজিলে, কুরআনে,
চুক্তি এই মু’মিনদের  
লিপিবদ্ধ আসমানে।

ফকির হলাম দুনিয়াতে 
জান্নাত আমার রাণী,
আল্লাহর পথেই লুকিয়ে আছে 
চির শান্তির বাণী।

সৌভাগ্য এই বায়আতের 
নেই তাতে ক্ষয়,
সফল সেই, যাহার অন্তর 
আল্লাহতেই রয় ।।

শুক্রবার, ৬ জুন, ২০২৫

অটল পথিক

অটল পথিক
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (কোলকাতা) 

যদি শত্রু থাকে দিকেদিকে
তবু চলতে হবে পথ,
বুক ভরা সাহস তোমার
বাড়াবে হিম্মত।

কাঁটা বিছানো এ জীবন,
তবু থেমো না একফোঁটাও,
আশার আলোয় জ্বালিয়ে
জয় করো শত ঘাত-প্রতিঘাত।

ঝড়ে পড়ে না যে গাছ,
তারই ডালে ফলে মিষ্টি,
সহ্য করেই বাঁচে যারা,
তারাই গড়ে ইতিহাস সৃষ্টি ।

ভয় পেওনা ব্যর্থতায়,
সাফল্য তারই সাথি,
যে লড়ে যায় দিনরাত
ভুলে নিজ কাঁদা-মাটি ।। 

শান্তির ডাক

 শান্তির ডাক 
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা, বাদুড়িয়া (কোলকাতা)

শান্তির রাজ্যে 
আমরা আছি,
তবুও বুকভরা 
বিষের আঁচি । 
ওই অশান্ত যারা | করেছে বাছা,
এসো আজ তাদের | করি নাচা ।

জ্বলেছে আগুন 
রাগে-শাপে,
মানব গড়েছে  
বিষের পাপে । 
ভুলের বাতাসে | কালো ধোঁয়া,
সত্যের পথে | নেই যে ক’য়া। 

এসো হে বন্ধু  
হাত ধরো আজ,
ভালোবাসা হোক 
মনের সু-সাজ । 
ঘৃণার মুখে | বলি "না রে" ! 
আলোক জ্বালাও | হৃদয় দ্বারে । 

এসো গড়ি এক সকাল 
শান্তির নামে, 
ভালোবাসাতেই সব 
উঠুক জমে ।  
নব আলোর তরে | চলি রে ভাই,
মানুষ গড়ার | শপথ চাই ।।  


বুধবার, ৪ জুন, ২০২৫

যে শিক্ষিত

যে শিক্ষিত 
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (কোলকাতা) 

যে শিক্ষিত সৎ সাহসে
সত্য কথা বলতে পারেনা, 
এই সমাজে ওরাও বোঝা 
লজ্জা ওদের লাগে না !

যে শিক্ষিত ঘুষের টাকায় 
ফুলে ফেঁপে ওঠে, 
এসো! বয়কট করি ওদের 
সমাজ থেকে দিই ছেঁটে । 

যে শিক্ষিত দায় বোঝেনা 
টাকায় সবই ভোলে, 
এমন শিক্ষা সমাজ থেকে 
দাও গো সবাই তুলে ।

যে শিক্ষিত অন্যায় দেখেও
নিরব থাকে সদা, 
বরং ওরা জাতির লজ্জা  
কেঁদে যায় মানবতা ।। 




সম্পর্ক

সম্পর্ক 
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (কোলকাতা) 

তোমার আমার সম্পর্কটা 
হোক আত্মার টানে, 
ধন্য হবে জীবনযাত্রা 
তৃপ্তি পাবে মনে । 

এই জীবনে সফলতা 
আসবে ধাপে ধাপে, 
মনের খায়েশ হবে পূরণ 
শত্রু উঠবে কেঁপে । 

আমরা জানি রক্তের বন্ধন 
হয় যে সবার আপন, 
না ! স্বার্থের টান যেই এসে যায় 
ছিঁড়ে সব বাঁধন ।। 

মঙ্গলবার, ৩ জুন, ২০২৫

আর না

আর না 
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (কোলকাতা) 

তুমি অনেক করেছো 
আর না, 
এই দ্বিচারিতা 
জনগণ ভুলবে না ।  

আর কতদিন
এভাবেই ঠকাবে !
মিথ্যা বুলি দিয়ে 
মানুষকে বোঝাবে ? 

সরলতাকেই করেছো 
হাতিয়ার জানি, 
বিশ্ব জেনেছে 
তুমি মানবতার খুনি । 

মানুষ বোঝে 
এই ছলোনা,  
ধরার মত ধরলে 
কিন্তু ছাড়বেনা । 

ধোঁকা দিয়ে 
দিওনা সান্ত্বনা, 
বিষ বাষ্প হবে 
এই যন্ত্রনা ।। 

সোমবার, ২ জুন, ২০২৫

ফরিয়াদ

ফরিয়াদ 
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (কোলকাতা) 

মালিক তোমার কাছে মোরা
চাই গো পরিত্রাণ,‌ 
মালিক তুমি করো মোদের 
তোমার রহম দান । 

শত শত করেছি পাপ 
হয় সেই অনুশোচনা, 
এই মন ভেঙে খানখান 
তুমি ছাড়া কেউ দেখেনা । 
তোমার কাছে তাই গো আমি.. 
করি যে ফরমান । 
মালিক তুমি করো মোদের 
তোমার রহম দান ।  
মালিক তোমার কাছে……………… 

কঠিন ওই আজাব মোরা 
সইতে পারবো না, 
দাও করে ক্ষমা মোদের 
ওগো রব্বানা ।  
তোমার কাছে এই ফরিয়াদ..  
ওগো মেহেরবান । 
মালিক তুমি করো মোদের 
তোমার রহম দান । 
মালিক তোমার কাছে……………… ।।

রবিবার, ১ জুন, ২০২৫

সময় কথা বলে


সময় কথা বলে 
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (কোলকাতা) 

আরে ভাই! 
সময় কথা বলে,  
ক্ষমতা ক'দিন চলে ?
একটু যদি বুঝতে !

পাল্টে যেতো  
ভাবতে হতো 
রীতিনীতি মানতে হতো 
মানবতার কথা বলতে । 

শুনতে তখন 
মনের কথা, 
জমা ওদের 
যত ব্যথা,  
ব্যস্ত হতে সমাধান দিতে । 

রাখতো মনে 
এই আচরণ, 
ছিঁড়বার নয় 
এমন বাঁধন,  
কতই না স্বস্তি পেতে । 

আরে স্বৈরাচারীর 
হয় গো পতন, 
থাক না যতই  
সাত রাজা ধন,  
সাধের অট্টালিকাও হয় ছাড়তে । 

তাই গো বলি 
হও সচেতন, 
আচরণ হোক 
ফুলের মতন, 
উজ্জ্বল মুখটি ধরে রাখতে ।।