রবিবার, ৩০ এপ্রিল, ২০১৭

কবিতা:- চলছে পথে শয়তানের

চলছে পথে শয়তানের
মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

বহু!নারী-পুরুষ এ জামানায়
চলছে পথে শয়তানের ।
এরা কেউ ভয়ে করে না
কঠিন শাস্তি কিয়ামতের ।
আল্লাহর হুকুম ছেড়ে দিয়ে
গোনায় এরা রয় পড়ে ।
কুকুরের মতো স্বভাব এদের
যাকে পায় তাকে কাটে ।
ছোট্ট ছোট্ট পোষাক পরে
পুরুষ-নারীর ভোলায় মন ।
বিশ্বাসীরা দেখে ওদের
থু-থু ফেলে সবাই তখন ।
এদের কৃতি কালচার দেখে
মন আমার যায় ফেটে ।
যুদ্ধ এখন হতো যদি
তবেই আমার রাগ মেটে ।
আল্লাহ্ তুমি রাখো আমার
এদের হতে দুরে ।
প্রতিষ্ঠিত করো সুবিচার
ধৈর্য দাও মোরে ।।
           সমাপ্ত

বৃহস্পতিবার, ২৭ এপ্রিল, ২০১৭

কবিতা :- শুধু তাঁরই দাসত্ব কর

       শুধু তাঁরই দাসত্ব কর
 মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

তোমরা তোমাদের সেই
আল্লাহর দাসত্ব স্বীকার কর ।
কুরআন হাদিসের প্রতি
ঈমান নিয়ে তবেই মর ।
শেষ বিচারের দিন
আসছে ছুটে
যেমন মেঘ ঘনিয়ে
বজ্রপাত ঘটে ।
তোমরা তাঁর দাসত্ব স্বীকার কর
তাঁর ভয় করে তাঁরই পথে চল
সত্যদ্রোহী লোকদের জন্য নির্দিষ্ট
দহন রয়েছে ভয়াবহ ।
তোমরা তাঁর প্রতিশ্রুতি সুদৃঢ় করে
কেমন করে ভঙ্গ কর ?
তাঁর নির্দেশ ছিন্ন করে
কেন বিপর্যয় সৃষ্টি কর ?

বুধবার, ২৬ এপ্রিল, ২০১৭

কবিতা :- তাঁহার ইশারায়

           তাঁহার ইশারায়  
মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

কে দিয়েছেন মনে শান্তি
কে দিয়েছেন বুলি?
কে দিয়েছেন চরণ দুখানি?
তাইতো মোরা চলি।
কে দিয়েছেন নয়ন মাঝে
সূর্যের মতো আলো?
সুন্দর সুন্দর বস্তুকে
কতো দেখতে লাগে ভালো।
কে দিয়েছেন নাসিকা নামের অঙ্গ
দুটি ছিদ্র করে?
কার ইশারায় সকল প্রাণীই
আপন প্রাণ রক্ষা করে?
কে দিয়েছেন ভূগর্ভে তোমার
কে দিয়েছেন শক্তি?
কার ইশারায় মোরা আজ
সম্মাননীয় এক ব্যক্তি?
কে দিয়েছেন ঠান্ডা-গরম
কে দিয়েছেন ঝড়ের মাঝে বৃষ্টি?
কার ইশারায় 'হও' শব্দে
এই জগৎ সৃষ্টি?
            সমাপ্ত 

সোমবার, ২৪ এপ্রিল, ২০১৭

প্রবন্ধ:- অবশ্যই রাষ্ট্রপ্রধানের সমালোচনা করার অধিকার রাখি

অবশ্যই রাষ্ট্রপ্রধানের সমালোচনা করার
                      অধিকার রাখি
          @মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল@
                    15/06/2016
আমরা রাষ্ট্রপ্রধানের কাজ কর্মের প্রতি তীব্র তীক্ষ্ন দৃষ্টি রাখার অধিকার রাখি।এবং সেই সঙ্গে রাষ্ট্রের বড় বড় দায়িত্বপূর্ণ পদাধিকারী ব্যক্তিদের কার্যকলাপের প্রতি লক্ষ্য রাখা সামগ্রিক ভাবে গোটা জাতির এবং ব্যক্তিগত ভাবে প্রত্যেকটি নাগরিকের একান্ত কর্তব্য।কিন্তু আমার দেশের রাষ্ট্রপ্রধান থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি রাজ্যপাল ও গ্রাম অঞ্চল ব্লকের নেতারা যে অপরাধ করে যাচ্ছে তা আজকের মুসলমান আলেমরা মাথা পেতে নিচ্ছে সার্থ-সিদ্ধির জন্য ।কিন্তু এই আলেমদের কাজ ছিল তাদের ভুল-ভ্রান্তি গুলি স্পষ্ট ভাবে তাদেরকে বলে দেওয়া ।আজ না বলার কারণেই তারা মারাত্মক ভুল করে যাচ্ছে ।এবং তারা শেষপর্যন্ত গোটা জাতি ও রাষ্ট্রকেই ধ্বংস করে দিচ্ছে ।
এর একটাই কারণ, দেশের মুসলমানরা নিরব বলেই ।যতদিন মুসলমানদের আলেমরা নিরব থাকবে ততদিন পর্যন্ত মুসলমানরা লাঞ্ছিত নিপীড়িত হতেই থাকবে ।এ জন্যে হাদিসে উদ্ধৃত হয়েছে, নবী করীম(সঃ)বলেছেন :
"দ্বীন হলো নছীহত ।আমরা বললাম:কারজন্যে?তিনি বললেন:(রাষ্ট্রীয়)নেতাদের জন্যে এবং মুসলিম জনগণের জন্যে ।"(মুসলিম শরীফ)
এভাবে নছীহতের পরও যদি কোন শুভ ফলোদয় না হয়, তা হলে রাষ্ট্রপ্রধানদের ঠিক ভাবে পরিচালিত করার জন্যে শক্তি প্রয়োগ করতে হবে ।রসূল্লাহ(সঃ)বলছেন: প্রয়োজনে শক্তি প্রয়োগ করতে হবে ।আর এরা বলছে এটা হিন্দুত্ববাদের দেশ এখানে চলবে না ।এতুই দুর্বল ঈমান এদের,আবার বলে আমরা মুসলমান।মুসলমান হতে হলে কি কি করোওনিও এরা কী জানে না!এরা কি এটাও জানে না নবী করীম (সঃ)-এর কি নির্দেশ ছিল! নবী করীম(সঃ)আমাদের আদেশ করেছেন :
"আল্লাহর নামে শপথ করে বলছি,তোমরা অবশ্যই ন্যায়ের আদেশ করবে ।অন্যায়ের প্রতিরোধ করবে ।যালেমের হাত শক্ত করে রাখবে,সত্য নীতির ওপর স্থির করে রাখবে এবং তাকে সত্য কাজ করতেই বাধ্য করবে ।অন্যথায় মনে রাখবে, আল্লাহ্ তোমাদের মনকে পরস্পরের প্রতি খারাপ করে দেবেন ।আর শেষ পর্যন্ত তোমাদের কে পূর্ববর্তীদের মতো অভিশপ্ত করবেন ।"(আবু দাউদ)
রসূল্লাহ(সঃ)আরও বলেছেন :যে "লোকেরা যখন যালেমকে জুলুম করতে দেখবে, তখন যদি তারা দু'হাত শক্ত করে না ধরে রাখে তাহলে আল্লাহর আযাব সাধারণ ভাবে সবাইকে গ্রাস করতে পারে ।"(রিয়াদ্বুচ্ছালেহীন)
রাষ্ট্রপ্রধান ও রাষ্ট্রের অপরাপর দায়িত্বপূর্ণ পদাধিকারীদের প্রতি এরূপ তীক্ষ্ন দৃষ্টি রাখার অধিকার একটা জাতীয় অধিকার ।সেই অধিকার আমরা কী রাখতে পেরেছি?আবার বলছি আমরা মুসলমান ।সর্বপ্রথম পুরুষ যিনি ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন হজরত আবুবকর সিদ্দিক(রাঃ)খলিফা নির্বাচিত হয়ে সর্বপ্রথম যে ভাষণ দিয়েছিলেন, তাতে তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেছিলেন :"আমি ভালো করলে তোমরা সবাই আমার সহযোগিতা করবে ।আর আমি যদি বাঁকা পথে চলতে শুরু করি,তোমরা আমাকে সঠিক পথে চলতে বাধ্য করবে।"(তাবকাতে  কুবরা ইবনে সায়াদ,3য়খণ্ড,183পৃষ্ঠা)"
দ্বিতীয় খলিফা হজরত ওমর ফারুক(রাঃ)তার এক ভাষণে একথা বলেননি? যে "তোমাদের মধ্য   থেকে কেউ আমার মধ্যে কোনওরূপ বক্রতা লক্ষ্য করলে তা দূর করে দেয়া তার কর্তব্য ।তখন উপস্থিত লোকদের একজন বলে উঠলো: "আল্লাহর কসম,আপনার মধ্যে কোনওরূপ বক্রতা দেখতে পেলে আমরা আপনাকে আমাদের তরবারির সাহায্যেই ঠিক করে রাখবো ।"এ কথা শুনে দ্বিতীয় খলিফা উচ্চস্বরে বলে উঠলেন : আল্-হামদুল্লাহ,"আল্লাহ্ হজরত মুহাম্মদ(সঃ)-এর উম্মাতের মধ্যে এমন লোক সৃষ্টি করেছেন, যারা তাদের তরবারির দ্বারা ওমর  কে ঠিক পথে চালাতে পারে ।"তাই বলবো আমি আমার মুসলিম ভাইদের কে, আমরা এখনো আমাদের অধিকার কে যদি বুঝে না নিতে পারি ।তাহলে আগামীতে এমন এক ভয়ঙ্কর পরিস্থিতি আসছে যে কথা মুখে বোঝানো যায় না ।যেমন যেখানে যে ঔষধের প্রয়োজন সেখানে সেই ঔষধ ব্যবহার না করলে ইনফেকশন হয়ে যায় ।তদ্রূপ সত্য মিথ্যার পার্থক্য না করলে'শুধু বিপর্যয় নয়'বরং মহা-বিপর্যয় সৃষ্টি হয় ।

প্রবন্ধ:- বর্তমান বিশ্বে মিথ্যা অপবাদের শিকার হচ্ছে মুসলিম জাতি

বর্তমান বিশ্বে মিথ্যা অপবাদের শিকার হচ্ছে
                       মুসলিম জাতি
          @মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল@
                    মধ্য-বেনা,বাদুড়িয়া
আজ সারা বিশ্বে মুসলিমদের ওপরে বিভিন্ন দিক দিয়ে বর্তমান বিশ্বের মানব দরদী সংস্থা গুলি নির্মমভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে। কখনো বোমা ফেলছে তাদের ইবাদতগাহে,আবার কখনো তাদের বাস ঘরে। কখনো গুলি করে মারছে তাদের নেতাদের,আবার কখনো মারছে তাদের বাচ্চাদের। কখনো আবার তাদের ঘরের মেয়েদের তুলে নিয়ে এসে তাদের কে ধর্ষণ করছে।আবার কখনো তাদের গর্ভবতী মায়েদের পেটচিরে বাচ্চা বারকরে ত্রিশূলের আগায় নাঁচাচ্ছে। কখনো কখনো তাদের ওপরে বিভিন্ন মিথ্যা অপবাদ দিয়ে যাবত্ জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হচ্ছে। কখনো আবার তাদেরকে ফাঁসি দিয়ে মেরে ফেলা হচ্ছে। এই হচ্ছে বর্তমান বিশ্বের মানব দরদীদের মানবতা। কিন্তু একেই কি বলে মানবতা? না একটা জাতিকে ধ্বংস করে দেওয়া কেই বলে মানবতা? কই মুসলিমরা এমন ভাবে কোনো জাতির ওপরে তো অত্যাচার চালায় না। কাউকেই তো এরা বিনা দোষে দোষী সাব্যস্ত করে না। এরা তো এক সাথেই থাকতে চাই, এক পথে চলতে চাই,ও একসাথেই খেলতে চাই, এবং সবাই একে ওপরের বন্ধু হতে চাই। আর এটাই কী এদের অপরাধ? যখন হিটলার ইহুদিদের উপরে নির্মমভাবে অত্যাচার চালাচ্ছে। তখনো তো ওই মানব দরদী সংস্থা গুলি মানবতা দেখায় নি। সেই মানবতা এবং উদারতা দেখিয়ে ছিল কারা জানো? যাদের কে আজ তোমরা নিঃস্ব করে দিতে চাইছো, তারাই সেদিন তোমাদের পাশে ছিল এবং তোমাদের মাথা গোঁজার ব্যবস্থা করে দিয়ে ছিল। নুন খেয়ে নুন হারামি তাই না? তোমারই আবার মানবতা শেখাও! তোমরা মানবতার নাম করে একটা মানব জাতিকে পাঁঠার বলিতে বলি দিতে উঠে পড়ে লেগেছো তাই না! তোমাদের এটা মানবতা নয় বরং মেরে পোতা হচ্ছে এই নিরীহ মানুষদের কে। তবে মনে রেখে দিয়েও মুসলিম জাতি ভীতু নয়। এরা সত্যকে উদঘাটন করবেই। সেদিন ইঁদুরদের গর্তে পালাতে হবেই। বিশ্বাসীদের বুঝতে আর বাকি নেই কারা আজ সমাজকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে যাচ্ছে। কারা মানবতা কে হত্যা করছে। কারা দেশকে শ্মশান এবং কয়লার কারখানায় পরিণত করতে চাচ্ছে। এই মানব জাতি সজাগ হবেই হবে। জানি বিপদের আশঙ্কা হলে বিড়াল গাছে ওঠে,শিয়াল গর্তে ঢোকে,আবার শিয়াল বিড়াল ইঁদুরের রাজত্ব চলে  এই দুনিয়ায়। প্রকৃত মুসলিমরা রাজত্ব চায়না বরং এরা 'দ্বীন"প্রতিষ্ঠা করতে চাই। ন্যায় নিষ্ঠা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে রক্তের প্রয়োজন হলে পিছপা হয় নাই। এরা শান্তিপূর্ণ রাজ্য রাষ্ট্র দেশ চাই।ভোগবাদীদের পতন চাই। শান্ত পরিবেশে স্বাধীন পতাকা ওড়াতে চাই। ভ্রাতৃত্বের বন্ধনে খোলা আকাশের নিচে একসাথেই থাকতে চাই। জাতপাত দূর করে এঁকে ওপরের ভাই হয়ে সেই স্রষ্টার কাছে ফিরে যেতে চাই।।

শনিবার, ২২ এপ্রিল, ২০১৭

কবিতা :- মুজাহিদ

                   মুজাহিদ
         মোঃ তরিকুল ইসলাম

সত্যের পথে যদি দাও তুমি জান
লখ্য গুনে বাড়বেই সম্মান ।
মুজাহিদ-মুজাহিদ
বুকে তুলে নাও পাক-কুর'আন ।
মিশর-ভারত ও বাংলার
মা-বোনেদের
যারা করছে ইজ্জোত হরণ ।
তাদের কে করবো নাস্তানাবুদ
থাকতে মোদের জান ।
মুজাহিদ-মুজাহিদ
দাও গাও এই স্লোগান ।
হারাম হালাল চেনো আগে
মন্দ কথা বলো না রাগে ।
সার্থক হবেই তবে জীবন
আসে আসুক মরণ ।
মুজাহিদ-মুজাহিদ
তুমি সেই আল্লাহর দান ।
           সমাপ্ত

কবিতা:- কাফের হয়ে মরব না

     কাফের হয়ে মরব না
   তরিকুল ইসলাম খালাসী 

ঈমান যখন এনেছি ভাই
কফের হয়ে মরব না ।
বাতিলেরি পতাকা মোরা
কখন ভাই ধরবো না ।
সামনে চেয়ে এগিয়ে যাবো
ভয় করব না কাফেরদের ।
শক্তি যদি কম হয়ে যাই
চালিয়ে নেবেন আল্লাহ মোদের ।
উপোস করে থাকবো তবু
কাফেরদের কাছে চাইব না ।
খোদার পাঁচিল ডিঙ্গিয়ে মোরা
ঝাপ দিয়ে ভাই পড়বো না ।
বিঁধেছে কাঁটা ফুটেছে কাঁকর
ধৈর্য মোরা ধরবো হে ।
এর প্রতিফল চাইব মোরা
খোদার কাছে পাইব রে ।
ঈমান যেন যাই না চলে
খোদা রহম কর মোরে ।
কবুল তুমি করিলে খোদা
মোর মনের বাসনা মিটবে রে ।।
             সমাপ্ত 

কবিতা:- বিভেদের বেড়া জাল

       বিভেদের বেড়া জাল
@মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল@

জন্মেছি মোরা মানুষ হয়ে
রক্ত মোদের লাল
ভাই ভাইয়ের মধ্যে কে বুনিলো
বিভেদের বেড়া জাল ?
হিংসা বিভেদ ধ্বংসের কারণ
এরাই কেন হলো আপন?
কিসের মোহে পড়ে তুমি
বরবাদ করলে এ জীবন?
হিন্দু মুসলিম জৈন খ্রিস্টান
কেন এতো নামের গুঞ্জন?
মানুষ হয়েই তো জন্মেছি মোরা
হতে পারিনা আপন?
হাওয়া বাতাস রাতদিন
সূর্যের আলো তো  সমানেই পাই,
আর দেরি নয় এসো মোরা
একে অপরের ভাই হয়ে যায় ।।
               সমাপ্ত 

কবিতা:- প্রতিবাদ না করলে

              প্রতিবাদ না করলে
        মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

প্রতিবাদ না করলে
      শয়তানের হাত থেকে
                  মুক্তি পাবে না কেউ ।
   
পীর ফকির সুফি দরবেশ
                হোক না কেনো সেউ ।

 শয়তানের কৌশাল
         সত্যের কাছে দুর্বল
               তুমি যদি থাকো অটল

দেখবে পিছিয়ে গেছে
                   সাগরের ঢেউ ।।

                 সমাপ্ত

কবিতা:- দুঃস্বপ্ন

          দুঃস্বপ্ন
  মোঃতরিকুল ইসলাম মন্ডল

কি একটা সময়

            মনুষের কোনো হুশ নাই!

আঁধার রাতের দুঃস্বপ্নে

             জীবনটা সাজাই ।

দিনের বেলাই সুফি গাজি

            রাত হলে তার ধান্দাবাজি ।

কালো চাস্মা পরে সে

             জীবনটা কাটাই।

সুখ শান্তী পেতে সে
 
                    কি না করে ।

 জড়পদার্থের মতো তার

                    জীবনটিও ঝরে ।

তবুও সে.....

            সত্পথের কথা না ভেবে

অন্ধকার পথধরে

          জীবনে এগিয়ে যেতে চাই ।।

                 সমাপ্ত

কবিতা:- ভিন্ন খবর

ভিন্ন খবর
       মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
            মধ্য-বেনা,বাদুড়িয়া
ভিন্ন দেশে বাড়ি আমার
ভিন্ন কথা কই
তাই তো আমি মজলুম এতো
অত্যাচার সই ।
আশা মনে থাকবো আমি
সবারই পাশে
তাই তো ডাকি এসো থাকি
মিলে ও মিশে ।
মানুষ মোরা আমরা সবাই
আদমের সন্তান
আর দেরি নয় এসো মেনে নিই
আল্লাহরই বিধান ।
বিশাল উঁচু সবই নিচু
আছে যার হাতে মোর জান
তাঁর হুকুমেই সব কিছু ভাই
পাবেই সমাধান ।।
           সমাপ্ত

কবিতা:- সেদিন ওরা বুঝবে

সেদিন ওরা বুঝবে
       মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

লক্ষ্য মায়ের বক্ষে ব্যথা
রক্তাক্ত সন্তান
যদি থেকে যায় এই সমাজে ভাই
তবে কিসের গাও জয়গান?
লক্ষ্য উনোনে শূন্য হাড়ি
আর তোমরা দেখাও জমিদারি
ওরা রক্ত করলো পানি
আর তোমরা বানিয়েছ ভুঁড়ি !
ওদের রক্তে তোমার ফিরলো জীবন
যদিও হও তুমি ধনী
জীবন পেয়েই তুমি আবার
করেছ তাদের হয়রানি!
মানুষ তুমি আর মানুষ নহে
তুমি নিকৃষ্ট জন্তু
ভাবনার বিকাশ না ঘটালে
জন্তুরাই তোমার ছিড়ে খাবে কিন্তু ।
থাকতে সময় জাগতে হবে
তবেই সময়ের মূল্য পাবে
ভাইকে বাঁচাতে রক্ত দেবে
দেখবে সেদিন ওরা বুঝবে ।।
             সমাপ্ত

কবিতা:- ধ্বংসের পথে

ধ্বংসের পথে
          মোঃতরিকুল ইসলাম

মানব সমাজে ধষ নেমেছে

                        ওই বাধ বাদবে কে?

শিক্ষিত বুদ্বীজিবিরা করছে ভুল

                     গলাধাক্কা দেই মানব কে।

আর ঠেকাতে পারবে না

              যতুই হোক তোমার চেনা।

মারলে খেতে হবে মার

           তবুও মনের আশা মেটবে না।

মনের আশা যদি মেটাতে হয়

                 আল্লাকে ভাই কররে ভয়।

সুখ শান্তী আরাম আয়েস

                  সবকিছু থাকবে বজায়।

কুরআন কে তুমি আকড়ে ধরো

                 বেশি করে কালেমা পড়ো।

যুগের সাথে তালমিলিয়ে

            জীবন দিয়ে জীহাদ করো।।

                    সমাপ্ত

কবিতা:- আছি সেই দিনের অপেক্ষায়

     আছি সেই দিনের অপেক্ষায়
  @মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল@
          মধ্য-বেনা,বাদুড়িয়া
আমরা আছি সে দিনের অপেক্ষায় ।
যেদিন মিথ্যা পারবে না
সত্যকে আড়াল করতে
দুষ্কৃতী পারবে না
মায়ের বুক খালি করতে ।
যেদিন থাকবে না পড়ে
ভায়ের লাশ অলিতে গলিতে
আর লজ্জায় বোন ঢাকবে না মুখ
ঝোলানো ওই দড়িতে ।
যেদিন ক্ষুধার্ত ক্ষুধার চোটে
ঘুরবে না আর পথে পথে
বেকারত্ব দূর হবে
সমাজ হতে ।
যেদিন গরিব তার ন্যায্য অধিকার
পাবে ফিরে
আর মজলুম মুক্তি পাবে
সঠিক বিচারে ।
যেদিন আকাশ বাতাস
শান্ত হবে
অপরাধী লজ্জায়
মুখ ঢাকবে,আর বলবে
হায়-কেন ছিলাম অন্ধ
কেন করেছি দ্বন্দ্ব
পারলাম না দিতে
সমাজকে আনন্দ!
আছি...........
সেই দিনের অপেক্ষায়।।
             সমাপ্ত

কবিতা:- একটু ভাববেন জনগণ

          একটু ভাববেন জনগণ
        @মোঃ তরিকুল ইসলাম@

যারা বুদ্ধির বলে আজ
মানুষকে ঠকায়
সত্যিই কী তারা বুদ্ধিমান ?
একটু ভাববেন জনগণ ।

তোমার টাকা আমার টাকা
ওরা শুধু পকেট করছে ফাঁকা
তোমার আমার দুর্বল পেয়ে
ওরা বানিয়েছে বোকা ।

এই ভাবে চলছে বলে
দেশটা গেছে রসাতলে
আর কতো দিন সোইবো অপমান !
একটু ভাববেন জনগণ।

নেতারা মিছিলে নিয়ে
তোমার আমার বন্দুকের সামনে দিয়ে
ওরাই আবার দেয় পিছুটান
একটু ভাববেন জনগণ ।
                 সমাপ্ত

কবিতা:- কিসের জন্য

                     কিসের জন্য
            মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

আগুন হয় যদি
ফুলের বাগান
তবে কেন হতাশ হও
মুসলমান ?
লালসার ছোবলে
তুমি জ্ঞান হারিয়ে
বিক্রি কর না
ঈমান ।
মোরা করুণাময়কে পেয়েও
মরণের ভয় করে
কেন আছি দূরে ?
তারাই তো ভয় করে
শয়তানের হাত ধরে
যারা গেছে বহুদূরে ।
সৎ সাহস নিয়ে
এগিয়ে এসেছেন যারা
তারাই হয়েছে ধন্য ।
মোরা ভেবেছি কি একবারও
দুনিয়াটা সৃষ্টি
তিনি করেছেন কিসের জন্য ?
              সমাপ্ত
03/02/2015
14/04/2017

কবিতা:- ভেদাভেদ

             ভেদাভেদ
মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

এসো মোরা একসাথে
সুখ দুঃখ ভাগ করি
হিংসা ভুলে গিয়ে
এগিয়ে যাওয়ার পথ ধরি ।
তোমার রক্তে যদি
ফেরে আমার জীবন
তবে বলো ভেদাভেদ
কিসের প্রয়োজন ?
সমাজ নীতি অর্থ নীতির মানে কী
শত্রুতা ?
এসো না মোরা বাঁচায়
মানবতা ।
   
    03-04-2017

কবিতা:- তুচ্ছ

             তুচ্ছ
মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

দুনিয়ার আইন নগণ্য
অপরাধী পাই না সাঁজা ।
নির্দোষ মানুষের ধরে তারা
চাপায় অপরাধের বোঝা ।
মিথ্যা ছলনা অপবাদ প্রতারণা
জয় কখনো হবে না ।
তাদের তরে সেই খানে
আছে কঠিন যন্ত্রণা ।
দুনিয়ার আইন ছেড়ে দাও
খোদার আইন মেনে নাও
তবেই পাবে শান্ত না ।
সেই আদালতে সূক্ষ্ম বিচার
হবেই হবে ।
দুর্বল অসহায় মজলুম যারা
তারা শান্তি পাবে ।
আফসোস হবে তাদের শুধু
যারা দুনিয়ায় বাহাদুরি করবে ।।

                সমাপ্ত
26/05/2014

গান :- সমাজ

                সমাজ
তরিকুল ইসলাম খালাসী

আমি নিজেকে কবি বলবো না
তবু কবিতা লিখি ।
বর্তমান যে জামানা
হায়-হায় মোদের হবে কী ?
চোরেরা পাঠ নেয়
রাজা বাদশার ।
মূর্খরা হতে চাই
হ্যাড-মাস্টার ।
আজ সমাজের শিক্ষিতদের
কোনো মূল্য আছে কী  ?
ওরাই তো করছে
অন্যায় জুলুম অবিচার ।
যারা দুর্বল মজলুম
তাদের উপর ।
এমন সরকার
মোদের নেই দরকার
এদেশ কে সবাই
বাঁচাবে কী ?
দাও হাতে হাত কাঁধে কাঁধ
সামনে আসুক যতই বিপদ।
সব মাড়িয়ে একসাথে
সত্যের পথে চলবে কী ?

            সমাপ্ত
11/11/2014

কবিতা:- অস্ত্র

                অস্ত্র
তরিকুল ইসলাম খালাসী 
          07/04/2017
অস্ত্র!তাতে কি হয়েছে!
ওরা তো শিশু,
নানা ওরা বড়ো হয়ে
করবে অনেক কিছু।
আরে ওরা তো নারী দুর্বল জাত
নানা তুমি কি জানো ওরাই ভবিষ্যত!
আচ্ছা ওরা নাকি পুরুষের
চুষে খেতে চাই?
তাই কি কখনো হয়!
 স্রষ্টার সৃষ্টি সব চলে জাননা!
নিয়ম মেনেই,
যতই বাড়াবাড়ি করুক আছে সব
অতি দুর্বলের আওতায়।
আরে বাঁদরের হাতে খোন্তা দিয়ে কি কখনো
ঢোলের বাজনা পাওয়া যায় ?
তবুও সাবধান হওয়া ভালো নয়!
ঠিক যেমনি শেখে তেমনই বাজায় ।



কবিতা:- এসো এক গাছের নিচে

  এসো এক গাছের নিচে
মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

সত্য কথা বললে
তাঁরা আজও দুমকে মরে ।
সত্যের পথে চললে
তাঁরাই মোদের জেলে ভরে ।
তবুও করিনা  ভয়
জোরালো কণ্ঠে বলতে চাই ।
হে আমার মতো
মানব সন্তান
এসো ওই
বিশাল এক গাছের ছায়ায় ।
যাঁর স্বস্তি নিশ্বাস
চিরশান্তিময় ।
চাইতে যদি তোমাদের হয়
এসো এক স্রষ্টার কাছেই চাই ।
উলঙ্গ মানব মূর্তির কাছে
কেন মোরা হয় ঠাঁই ?
যারা পারে না নিতে
পারে না খেতে
তাঁরাই কি কখনো
পারে দিতে ?
জীবনের প্রত্যেকটা দিন
যদি হয়ে যাও ঋণ
তবে কি ভাবে
স্রষ্টার সম্মুখে
মুখ দেখাবে সেইদিন ?

          সমাপ্ত
18/01/2015

প্রবন্ধ:- বর্তমান মুসলমানদের পরিস্থিতি

বর্তমান মুসলমানদের পরিস্থিত
       @মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল@
                  মধ্য-বেনা,বাদুড়িয়া
বাংলার মুসলমানরা যেন ক্রীতদাসদের ন্যায়ে
তাগুতের তাবেদারি করছে। যেদিকে জোয়ার আসছে সেদিকেই গা-ভাসিয়ে দিচ্ছে ।কিন্তু এরা জানে না এদেরকে মাগুর মাছেরা ছিন্নভিন্ন করে খাওয়ার চেষ্টা করছে!নানান রকম ফাঁদ পেতে রেখেছে ।সেই ফাঁদে পা-দেওয়ার কারণেই আজ এরা জুলুমের শিকার হচ্ছে ।আসলে শয়তানের কৌশল যে বড়ুই দুর্বল ।এই কথা যেন তুচ্ছ মনে করে নিয়েছে ।এরা নামাযে বলছে আল্লাহ তোমারি ইবাদত করি এবং তোমার কাছেই সাহায্য চাই,এই অঙ্গীকারও করছে ।
কিন্তু এরাই আবার প্রকাশ্য বলে C.P.I.Mকংগ্রেস T.M.Cআমাদের খাওয়ায় পরাই।এরা যেন ওদের পোষা কুকুরদের নেয়।খাওয়ার ছুড়ে দেওয়ার আগেই লাফিয়ে খেতে যায় ।ইসলামিক পরিভাষায় এদের কে মুসলমান বলা যায় না বরং এরা ভণ্ড ।এরা মুসলমানের রূপ ধারণ করে মুসলিমদের ধোঁকা দিচ্ছে ।
এরা আল্লাহর ওই কথা কে অস্বীকার করে ।
যে কথা আল্লাহর প্রেরিত রসূলের বাণী ছিল ।
'আকিমুদ্দিন" অর্থাত্-দ্বীন প্রতিষ্ঠার আন্দলোনের  কথা ।এরা কুরআন কে আরবি সুরেই মেনে নিয়েছে ।কিন্তু আরবির অর্থ বুঝতে চাই না ।ইসলামের সহজ হুকুম গুলোকে আঁটা কামড় দিয়েই মেনে নেয় ।কিন্তু বাতিল পথকে রুখে দেওয়ার মতো হুকুম গুলিকে মেনে নিতে পারে না ।জীবনের লক্ষ এদের দুই নৌকায় পা-দেওয়ার মতো ।আল্লাহ্ কাফেরদের থেকেও এই মুনাফিকদের পরিস্থিতির কথা কুরআনে বলেছেন বেশি করে ।
কারণ মুনাফিকরাই ইসলামের সবচেয়ে বেশি
ক্ষতিকারক।কুরআনে আল্লাহ্ পাক বলছেন ।যখন তাদেরকে বলা হয় :তোমরা এসো,
আল্লাহর রসূল তোমাদের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করবেন, তখন তারা মাথা ঘুরিয়ে নেয় এবং আপনি তাদেরকে দেখবেন যে, তারা অহঙ্কার করে মুখ ফিরিয়ে নেয় (5:মুনাফিকুন)।এবং
আরও বলেন :দুর্ভোগ সেসব নামাযীর,যারা তাদের নামায সম্বন্ধে বে-খবর; যারা তা লোক-দেখানোর জন্য করে(4:5:6 আল-মাউন)।
আল্লাহ্ পাক সূরা-বাক্বারার মধ্যে বলেন :(বিপথগামী ওঁরাই )যারা আল্লাহর সঙ্গে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়ার পর তা ভঙ্গ করে এবং আল্লাহ্ পাক যা অবিচ্ছিন্ন রাখতে নির্দেশ দিয়েছেন, তা ছিন্ন করে,আর পৃথিবীর বুকে অশান্তি সৃষ্টি করে ।ওরা যথার্থই ক্ষতিগ্রস্ত(27) ।
বাংলার মুসলমানদের পরিস্থিতি ঠিক এরা কমই ।এরা আল্লাহর নিষিদ্ধ মদ জুয়া চুরি গুণ্ডা বাজি  এবং বেশ্যা বারের কর্ম নিজেরা না করলেও পূর্ণাঙ্গ সমর্থন করে যাচ্ছে ।কিন্তু আল্লাহর আদেশ ছিল, এই সমস্ত অপকর্মকে নিজেদের জীবন থেকে পরিত্যাগ করা । এবং এই পরিত্যাগ করা কে রাষ্ট্রীয় ব্যবস্থা অনুযায়ী বাস্তবায়িত করার প্রচেষ্টা করা।কিন্তু যারা মুসলমান নাম নিয়ে জোয়ারে গা-ভাসিয়েছে। তারা কী আল্লাহর ওই সমস্ত হুকুম গুলি পালন করছে?যারা আল্লাহর হুকুমকে বাস্বায়ন করে না তারা কী কখনোই মুসলমান হতে পারে?আল্লাহর রসূলের ভাষায় এরা কখনোই মুসলমান হতে পারে না ।
মুসলমান তো তারাই হবে, যারা A to Z আল্লাহর হুকুমকে নিজের জীবনে মেনে নেবে ।ও গ্রাম অঞ্চল ব্লক রাজ্যে এবং রাষ্ট্রীয় ভাবে বাস্বায়নের প্রচেষ্টা করবে ।কিন্তু সেই সংখ্যক মুসলমান তো  খুবই কম ।এই কম থাকার পরেও কি তিন হাজারের বিরুদ্ধে তিনশো তেরো জন যথেষ্ট ছিল না বদরের যুদ্ধে!মুসলিম লিগের নেতা হাসানুজ্জামান কে জ্যাতিবাবু বলেছিলেন, জামান সাহেব তুমি পার্লামেন্টে এসে একা কি করবা? জমান সাহেব বলেছিলেন জ্যাতিবাবু আপনার মুখে দাঁত কোয়টি ?জ্যাতিবাবু বললেন কেন বত্রিশটি ।জামানসাহেব বলেছিলেন বাবু বত্রিশটি দাঁতে ব্রাশ লাগে কটি?
জ্যাতিবাবু নিজেই বলেছিলেন একটি ।জামান সাহেব বলেছিলেন দেখুন বত্রিশটি দাঁতে যদি একটি ব্রাশ যথেষ্টই হয়।পার্লামেন্টে সত্যের জন্য একাই যথেষ্ট ।আজ বিশেষ করে বাংলার আলেমরা কিছু নগদ পাবার জন্য ইসলাম থেকে দূরে সরে গিয়েছে ।তাই দেখে সাধারণ মুসলমানরা বিচলিত হয়ে পড়েছে ।যারা আমরা কুরআন প্রেমিক রাসূল প্রেমিক ইসলাম প্রেমিক তারা কী কখনোই বাতিলের সাথে আদানপ্রদান করতে পারে?তাই যদি হয় রাসূল্লাহ(সঃ)শান্তিপূর্ণ ব্যবস্থা আনতে আল্লাহর হুকুমকে লঙ্ঘন করে কাফেরদের কোনো চুক্তি কী মেনে নিয়ে ছিলেন?
ও বাংলার আলেমরা! তাহলে আপনারা ওই সমস্ত অপকর্ম গুলি মেনে নেন কেন? এটা ভারত বর্ষ হিন্দুত্ববাদের দেশ ।তাই কী আপনারা ভয় পান?কে বলেছে এটা হিন্দুত্ববাদেরে দেশ! এটা সেই আল্লাহর সৃষ্টি জমিন ।এই আল্লাহর জমিনে আল্লাহর হুকুম চলবে না এ কেমন কথা?আপনারা কি অঙ্গীকার করেননি? আমরা মুসলমান! তাহলে কেন,কেন মেনে নেন ওই অশ্লীল আচারণ গুলি কে!
আফসোস মোদের বড়োই আফসোস ।হ্যাঁ-এটা সর্ব জাতির বসবাসের দেশ ।প্রত্যেকে প্রত্যেকেই নিজস্ব ধর্মকে পালন করতে পারে ।কিন্তু অপকর্ম গুলি প্রত্যেক জাতির জন্যই কি ক্ষতিকারক নয়? আমার দেশের হিন্দু-মুসলিম জৈন-খ্রিস্টান বোদ্ধ এবং ছোটোজাত-উঁচু জাত প্রত্যেকেই আমরা সৃষ্টির শ্রেষ্ঠ মানুষ ।তাই জাতি বর্ণ নির্বিশেষে এসো আমরা সকলেই একসাথে আবার অন্যায়কে উৎখ্যাত করে ন্যায় নিষ্ঠা দিয়ে গ্রাম-অঞ্চল রাজ্য-রাষ্ট্র গড়ে তুলি ।

কবিতা:- কিয়ামত

                       কিয়ামত
         মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল
               মধ্য-বেনা, বাদুড়িয়া

             দ্বীর্ণ-বিদীর্ণ হইবে যখন
            আসিবে তখন কিয়ামত ।
      দুনিয়ায় দেখানো খোদার শিখানো
             আছে বড়োই নিয়ামত ।
           কবর যখন খুলিয়া দেবে,
               সমুদ্র যাইবে ফেটে ।
             মানুষ তখন হাহাকারে
              উঠবে খোদার ডেকে ।
           ভয়ে ভীতু মানুষেরা তখন
              বলিতে থাকিবে হায় ।
             এমন দৃশ্য তো কখনও
                মোরা দেখি নাই ।
           সত্য মিথ্যা বাঁছাই হইবেই
               কিয়ামতের মাঝে ।
           সত্য পন্থীরা চলিয়ে যাইবে
               গুলবাগিচার দিকে ।
          পাপিদের মুখে রইবে তখন
                হায়রে হায়রে হায় ।
         এমন দিন আসিবে জানিলে
               করিতাম না অন্যায় ।
            হে প্রভু এ দিনের তরে
             ছাড়িয়া দাও আমায় ।
           পুনর্জন্মে আসিয়া আমি
           এবাদাত করিব তোমায় ।।

                       সমাপ্ত

কবিতা:- শিশু হারা মা

               শিশু হারা মা
     মোঃ তরিকুল ইসলাম মন্ডল

সৃষ্টি তুমি করেছিলে
কেন তুলে নিলে ।
                কোন্ জনমের তুমি
                প্রতিশোধ নিলে?
ভেঙে গেলো ঘর,
হলাম যাযাবর ।
                কতো আশা ছিল এ জীবনে
                হায় কি পেলাম আজ প্রতিদানে ।
বাচ্চার এই স্মৃতি নিয়ে
বেঁচে থাকা বড়ো দায় ।
                কাকে যে বোঝাব আমি
                লাগে কতো অসহায় ।
আঁধারে কেটেছে জীবন
আলো তাই সাইলো না ।
                আমার নয়ণমণি
                আর আমার থাকলো না ।
যার ধমণীতে বয়
আমার এই রক্ত কণা ।
                সে যখন আঘাত করে
                সয়না সে বেদনা ।
কী চেয়েছিলাম আজ কিযে হলো
কতো আশা ছিল ।।

                    সমাপ্ত

শুক্রবার, ২১ এপ্রিল, ২০১৭

প্রবন্ধ:- উদারতার প্রয়োজন

             উদারতার প্রয়োজন
            তরিকুল ইসলাম খালাসী

প্রয়োজন মোদের একতা,
               প্রয়োজন মোদের সততা,
প্রয়োজন মোদের সিংহ সাহস,
               আর প্রয়োজন উদারতা ।
কিন্তু আজ সারা বিশ্বে মানবজাতির মধ্যে হিংসা হিংসা আর হিংসা। একটি মানুষ আর একটি মানুষের মধ্যে বিরাট এক প্রাচীর হয়ে উঠেছে। কিন্তু তা কেন! এটাই কী মানুষের বৈশিষ্ট্য? আমরা প্রত্যেকেই বলব, না! কখনোই এটা মানুষের বৈশিষ্ট্য হতে পারে না। তাহলে কেন জাতিতে জাতিতে দন্দ চলছে? করণ একটাই, আজ মানুষ তার সৃষ্টি কর্তাকে চিনতে না পারার কারণেই এই বর্বরতার শিকার হচ্ছি আমরা। যতদিন সৃষ্টি কর্তাকে না চিনতে পারবো,
ততদিন আমরা বিপদ গ্রস্ত হতেই থাকবো।তাহলে উপায়! আমাদের একতা, আমাদের সততা,মানুষ মানুষের ভালবাসা, স্রষ্টার হুকুমকে মেনে নেওয়া, আর মিথ্যা প্রবঞ্চনার নাগাল থেকে বহু দূরে থাকা এবং নিজেকে খাঁটি মানুষ হিসাবে গড়ে তোমায় হচ্ছে মানুষের বৈশিষ্ট্য। কিন্তু আজ সে একতা কোথায়? সততা কোথায়?
ভালবাসা কোথায়? স্রষ্টার হুকুম মানার তো দূরের
কথা,বরং স্রষ্টার হুকুম মানার নাম করেই নানান রকম দলাদলি মারামারি খুনোখুনি রাহাজানি চলতেই আছে আমাদের এই সমাজে। আচ্ছা বলুন তো!পৃথিবীর স্রষ্টাকজন? আমরা প্রত্যেকেই
বলব, তিনি 'এক" এবং অদ্বিতীয়। তাহলে এতো ঝগড়া কেন!রক্তপাত কেন? আমি বলব স্বার্থসিদ্ধির জন্য। সে ব্যক্তি কারা? যারা দুনিয়ার মহে পাগল হয়ে গেছে,তারা ধর্মের কতিপয় বাহ্যিক অনুষ্ঠান পালন করে শুধু নিয়ম পালনের উদ্দেশ্যে নির্ধারিত কয়েকটা ধর্মীয় কাজ করে।এবং তাকওয়ার কয়েকটা রূপের প্রদর্শনী করে। এটিই আসলে সৎকাজ নয়, বরং সেই স্রষ্টার পবিত্র গ্রন্থ আল্-কুরআনুল্-কারিমের মধ্যে বলছেন : সৎকাজ শুধু এই নয় যে পূর্ব দিকে কিম্বা পশ্চিম দিকে মুখ করবে, বরং বড় সৎকাজ হল এই যে, ঈমান আনবে আল্লাহর উপর, কিয়ামত দিবসের উপর, ফেরেশতাদের উপর এবং সমস্ত নবী-রসূলগণের উপর, আর সম্পদ ব্যয় করবে তাঁরই মোহব্বতেঁ আত্মীয়-স্বজন, এতেম মিসকীন, মুসাফির-ভিক্ষুক ও মুক্তিকামী ক্রীতদাসদের জন্যে। আর যারা নামায প্রতিষ্ঠা করে, যাকাত দান করে এবং যারা কৃতপ্রতিজ্ঞা সম্পাদনকারী এবং অভাবে, রোগে-শোকে ও যুদ্ধের সময় ধৈর্য্য ধারণকারী তাঁরাই হল সত্যশ্রয়ী,আর তারাই পরহেযগার।  (বাক্বারা-177)এবারে আপনারা বলুন! যারা কিছু ধর্মীয় অনুষ্ঠান পালন করে তারা কী সত্যিই স্রষ্টার পথের পথিক? না কখনই এরা স্রষ্টার পথের পথিক হতে পারে না বরং এরা স্রষ্টাদ্রোহী।তাহলে স্রষ্টার পথের পথিক কারা? যারা স্রষ্টার হুকুমকে অক্ষরে অক্ষরে মেনে নেই এবং সমাজে বাস্তবায়িত করার চেষ্টা করে,  আর যখন তার ভাইদের সাথে কথা বলে নম্রতার সহিত কথা বলে, এরাই হচ্ছে সেই স্রষ্টার পথের পথিক। এদের উপরে যখন জালেমরা অত্যাচার করে তখনও এরা সাহসিকতার সহিত সত্য কথাটাই মানুষ কে বলে, এবং ধৈর্য্য ধারণ করে সততার পরিচয় দেই। এরা কখনো কট্টরপন্থী হয় না বরং এরাই হয় উদারপন্থী। তাহলে আমাদের হতে হবে কী কট্টরপন্থী না উদারপন্থী? আমাদের হতে হবে উদারপন্থী। কারণ,স্রষ্টা পবিত্র আল্-কুরআনুল্-কারিমের মধ্যে বলছেন : আমি জিন জাতি এবং মানুষ জাতিকে সৃষ্টি করেছি শুধু আমার দাসত্ব করার জন্যেই। (আয-যারিয়াত-56) অর্থাত্- আমি তাদেরকে অন্য কারো দাসত্বের জন্য নয় আমার নিজের দাসত্বের জন্য সৃষ্টি করেছি। তারা আমার দাসত্ব করবে এজন্য যে, আমি তাদের স্রষ্টা। যখন অন্য কেউ এদের সৃষ্টি করেনি তখন তার দাসত্ব করার কি অধিকার এদের আছে? তাছাড়া তাদের জন্য এটা কি করে বৈধ হতে পারে যে, এদের স্রষ্টা আমি অথচ এরা দাসত্ব করবে অন্যদের! এই ব্যাক্ষা থেকে কি আমাদের এটাই শিক্ষা নয় যে, আমরা সেই স্রষ্টার দাস! সেই  আল্-কুরআনুল্-কারিমের মধ্যে অধিকাংশ আয়াতেই তিনি বলেছেন :আমি নিতান্ত দয়ালু এবং করুণাময়। স্রষ্টা যদি এতুই উদার হয়,  তাহলে তাঁর বান্দাদের  কোন্ পন্থী হওয়া উচিত? অবশ্যই উদারপন্থী হওয়া উচিত। এবং তিনিও পছন্দ করেন তাঁর হুকুম মেনে চলা মানুষদের কে। তাই বলব হিংসা দিয়ে হিংসা নয় মারামারি করে নয় খুনোখুনি করে নয় বরং আমাদের প্রয়োজন একতা বদ্ধ হওয়া,আর প্রয়োজন সৎ ও সাহসিকতার,একে ওপরের প্রতি ভালবাসা এবং প্রয়োজন উদারতার ।।
                                 
                         

কবিতা:- বিদ্রূপ

              বিদ্রূপ
  তরিকুল ইসলাম খালাসী 
         
হোক না যতই ছোট মানুষ
তাকে ছোট ভেবো না ।
আর হোক না কেউ সাদাসিধে
তাকে পাগল বলো না ।
ওই বাচ্চাটাকে এতিম বলে
গলা ধাক্কা দিওনা ।
হাজার শত্রু হলে তুমি
তাঁকেও খতি করনা ।
বধির বোবা অন্ধ দেখে
ঠাট্টা বিদ্রূপ করনা ।
মরার পরে শাস্তি আছে
মুক্তি সেদিন পাবে না ।।
            সমাপ্ত
১০.০৪.০১৭