ভদ্রতা
তরিকুল ইসলাম খালাসী
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (উত্তর ২৪ পরগনা)
ভদ্র ভাষায় কথা বলো,
গলে যাবে মন,
দূরের মানুষ বিভেদ ভুলে
হবে আপনজন।
নম্র আচরণে জয় করা যায়
হৃদয়ের রাজত্ব,
এই অহংকারে হারায় মানুষ
আপন ব্যক্তিত্ব।
কঠিন দিনেও হাসিমুখে
দিও তুমি বিদায়,
দেখবে তখন তোমার তরে
ওরাই দেবে হৃদয়।
এই দয়া, মায়া, ভালোবাসা —
ভদ্রতারই চিহ্ন,
এ সব কিছুই রব দিয়েছেন
মানুষেরই জন্য।।
অর্থ/ব্যাখ্যা:
এই কবিতায় কবি ভদ্রতার মাহাত্ম্য তুলে ধরেছেন। ভদ্রতা মানুষকে একে অপরের কাছাকাছি আনে, সম্পর্ককে দৃঢ় করে। নম্রতা, ভালোবাসা, দয়া—এসব গুণই মানুষকে প্রকৃত অর্থে সুন্দর করে তোলে।
---
প্রথম স্তবক:
“ভদ্র ভাষায় কথা বলো,
গলে যাবে মন,
দূরের মানুষ বিভেদ ভুলে
হবে আপনজন।”
👉 ভদ্রভাবে কথা বললে কঠিন মনও নরম হয়ে যায়। ভদ্রতা মানুষের দূরত্ব ঘোচায়, অপরিচিতকেও আপন করে তোলে।
---
দ্বিতীয় স্তবক:
“নম্র আচরণে জয় করা যায়
হৃদয়ের রাজত্ব,
এই অহংকারে হারায় মানুষ
আপন ব্যক্তিত্ব।”
👉 নম্রতা দিয়ে মানুষের হৃদয় জয় করা যায়। কিন্তু অহংকার মানুষের ব্যক্তিত্বকে নষ্ট করে দেয়।
---
তৃতীয় স্তবক:
“কঠিন দিনেও হাসিমুখে
দিও তুমি বিদায়,
দেখবে তখন তোমার তরে
ওরাই দেবে হৃদয়।”
👉 জীবনের কষ্টেও যদি ভদ্রতা আর হাসিমুখ বজায় রাখা যায়, তবে মানুষ তোমাকে হৃদয় দিয়ে ভালোবাসবে।
---
চতুর্থ স্তবক:
“এই দয়া, মায়া, ভালোবাসা —
ভদ্রতারই চিহ্ন,
এ সব কিছুই রব দিয়েছেন
মানুষেরই জন্য।। ”
👉 দয়া, মায়া ও ভালোবাসা ভদ্রতার প্রধান লক্ষণ। এগুলো স্রষ্টার দান, যা মানুষের জীবনে সৌন্দর্য যোগ করে।
---
👉 সারকথা:
এই কবিতার মূল শিক্ষা হলো—ভদ্রতা ও নম্রতা মানুষের আসল সৌন্দর্য। ভদ্র ব্যবহারে মন জয় হয়, সম্পর্ক দৃঢ় হয়, আর অহংকার শুধু মানুষকে একা করে দেয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন