তরিকুল ইসলাম খালাসী
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (উত্তর ২৪ পরগনা)
দেখে সবাই একই দৃশ্য,
ভাবনায় নেই মিল,
কারো চোখে স্বপ্ন জ্বলে,
কারো চোখে ঝিলমিল।
কেউ পায় সুখের ইঙ্গিত,
কেউ খোঁজে দোষ,
কেউ বোঝে হৃদয়বাণী,
কারো জ্বলে আফসোস।
ঘৃণার চোখে দেখলে সবই
লাগে কেবল কালো,
ভালোবাসার চোখে দেখো—
পাবে আশার আলো।
হিংসা খোঁজে অপবাদে,
ভালোবাসা চায় মন,
দৃষ্টিভঙ্গি বদলালেই
বদলে যায় জীবন।
তাই তো ভাবনা শুদ্ধ করো,
খুলে দাও অন্তর,
নিজের চোখেই বদলে যাবে
এই পৃথিবীর ঘর।।
অর্থ/ব্যাখ্যা:
এই কবিতায় কবি দেখিয়েছেন যে একই জিনিস মানুষ ভিন্ন ভিন্ন চোখে দেখে। যার দৃষ্টিভঙ্গি যেমন, তার মনে প্রতিফলনও তেমন। কেউ ভালোবাসা দিয়ে পৃথিবীকে দেখে আশা খুঁজে পায়, আবার কেউ ঘৃণা ও হিংসার কারণে শুধু অন্ধকার দেখে। তাই কবি আহ্বান জানিয়েছেন—মনকে শুদ্ধ করো, দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টাও; তাহলেই জীবন ও পৃথিবী বদলে যাবে।
---
প্রথম স্তবক:
“দেখে সবাই একই দৃশ্য,
ভাবনায় নেই মিল,
কারো চোখে স্বপ্ন জ্বলে,
কারো চোখে ঝিলমিল।”
👉 মানুষ সবাই একই জিনিস দেখে, কিন্তু ভাবনার ভিন্নতার কারণে অনুভূতি আলাদা হয়। কেউ আশা দেখে, কেউ আনন্দ খুঁজে পায়।
---
দ্বিতীয় স্তবক:
“কেউ পায় সুখের ইঙ্গিত,
কেউ খোঁজে দোষ,
কেউ বোঝে হৃদয়বাণী,
কারো জ্বলে আফসোস।”
👉 কেউ সুখ ও ইতিবাচকতা খুঁজে পায়, কেউ আবার শুধু দোষ খোঁজে। কেউ অন্তরের বার্তা বোঝে, আবার কারো মনে আফসোস জ্বলে।
---
তৃতীয় স্তবক:
“ঘৃণার চোখে দেখলে সবই
লাগে কেবল কালো,
ভালোবাসার চোখে দেখো—
পাবে আশার আলো।”
👉 ঘৃণা দিয়ে দেখলে সব কিছু অন্ধকার লাগে। কিন্তু ভালোবাসার চোখে পৃথিবী আলো আর আশায় ভরে ওঠে।
---
চতুর্থ স্তবক:
“হিংসা খোঁজে অপবাদে,
ভালোবাসা চায় মন,
দৃষ্টিভঙ্গি বদলালেই
বদলে যায় জীবন।”
👉 হিংসা শুধু অন্যায় আর অপবাদ খুঁজে, কিন্তু ভালোবাসা মন খোঁজে। আর যদি দৃষ্টিভঙ্গি পাল্টানো যায়, তবে জীবনই বদলে যায়।
---
পঞ্চম স্তবক:
“তাই তো ভাবনা শুদ্ধ করো,
খুলে দাও অন্তর,
নিজের চোখেই বদলে যাবে
এই পৃথিবীর ঘর।। ”
👉 কবি উপদেশ দিচ্ছেন—ভাবনা পরিষ্কার করো, হৃদয় খুলো। দৃষ্টিভঙ্গি বদলালে তোমার চোখেই পৃথিবী সুন্দর হয়ে উঠবে।
---
👉 সারকথা:
এই কবিতার মূল শিক্ষা হলো—পৃথিবীকে যেমনভাবে দেখা হয়, সেটাই আমাদের মনে প্রতিফলিত হয়। তাই দৃষ্টিভঙ্গি ইতিবাচক হলে জীবনও সুন্দর হয়।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন