শুভাকাঙ্ক্ষী
তরিকুল ইসলাম খালাসী
মধ্যবেনা বাদুড়িয়া (উত্তর ২৪ পরগনা)
তোমার আমার শুভাকাঙ্ক্ষী
আছে অনেক ভাই,
তাদের ভালোবাসা পেয়ে
হৃদয় ভরে যায়।
কারো সাথে পথ চলেছি
ভালোবাসার টানে,
কারো চোখে মমতা ছিল
নিঃস্বার্থ প্রাণখানে।
তারা সবাই থাকলে দূরেও
ভোলে না এই মন,
তারাই আমার আপন,
তারাই প্রিয় জন।
তাদের তরেই দোয়া করি
নীরব রাতে উঠে,
রব, তুমি হেফাজত করো,
চাই না পাপের ছিঁটে।।
অর্থ/ব্যাখ্যা:
এই কবিতায় কবি তার জীবনের প্রকৃত শুভাকাঙ্ক্ষীদের কথা বলেছেন। যারা তাকে ভালোবাসে, পাশে থেকেছে কিংবা দূরে থেকেও আন্তরিক স্নেহ দিয়েছে—তারা-ই তার আসল আপনজন। কবি তাদের জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং আল্লাহর কাছে তাদের হেফাজত প্রার্থনা করেছেন।
---
প্রথম স্তবক:
“তোমার আমার শুভাকাঙ্ক্ষী
আছে অনেক ভাই,
তাদের ভালোবাসা পেয়ে
হৃদয় ভরে যায়।”
👉 কবি জানাচ্ছেন, আমাদের জীবনে অনেক শুভাকাঙ্ক্ষী থাকে। তাদের ভালোবাসা ও আন্তরিকতায় হৃদয় ভরে ওঠে।
---
দ্বিতীয় স্তবক:
“কারো সাথে পথ চলেছি
ভালোবাসার টানে,
কারো চোখে মমতা ছিল
নিঃস্বার্থ প্রাণখানে।”
👉 কেউ ভালোবাসার সম্পর্কে কাছে এসেছে, কেউ বা নিঃস্বার্থ মমতা দেখিয়েছে। এভাবেই শুভাকাঙ্ক্ষীরা জীবনের অংশ হয়ে থাকে।
---
তৃতীয় স্তবক:
“তারা সবাই থাকলে দূরেও
ভোলে না এই মন,
তারাই আমার আপন,
তারাই প্রিয় জন।”
👉 দূরে থাকলেও তাদের স্মৃতি ও ভালোবাসা ভোলা যায় না। তারাই আসল আপনজন, তারাই প্রকৃত প্রিয়জন।
---
চতুর্থ স্তবক:
“তাদের তরেই দোয়া করি
নীরব রাতে উঠে,
রব, তুমি হেফাজত করো,
চাই না পাপের ছিঁটে।। ”
👉 কবি আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করেন—যেন তার শুভাকাঙ্ক্ষীরা সর্বদা হেফাজতে থাকে, আর কোনো পাপ তাদের ছুঁতে না পারে।
---
👉 সারকথা:
এই কবিতায় কবি জীবনের প্রকৃত সম্পর্কগুলিকে মূল্যায়ন করেছেন। তিনি শুভাকাঙ্ক্ষীদের ভালোবাসা ও স্নেহকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে আল্লাহর কাছে তাদের নিরাপত্তা ও কল্যাণ কামনা করেছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন