জেগেছে জাতি
তরিকুল ইসলাম খালাসী
মধ্যবেনা, বাদুড়িয়া (উত্তর ২৪ পরগনা)
জেগেছে জাতি, আনতে সুদিন,
জেগেছে মুক্তির তরে,
অত্যাচারের শৃঙ্খল ভেঙে
দাঁড়ায় দৃপ্ত ভরে।
জেগেছে জাতি, সত্যের ডাকে,
মিথ্যার বিরুদ্ধে সংগ্রাম,
আত্মত্যাগে গড়বে আগামী,
তাই করে যায় পরিশ্রম।
জেগেছে জাতি, হাতে হাত রেখে,
গড়ছে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন,
সোনার স্বদেশ উঠবে জেগে,
ফুটবে মিলনের মিলন।
জেগেছে জাতি, অদম্য শপথ,
ন্যায় যেখানে সাথি,
শান্তির স্বপ্ন হবে পূর্ণ,
আমরাই গড়বো খ্যাতি।।
---
অর্থ/ব্যাখ্যা:
এই কবিতায় কবি জাতিকে এক নতুন জাগরণের বার্তা দিয়েছেন। অত্যাচার–অন্যায়, মিথ্যা–অবিচারের বিরুদ্ধে জাতি জেগে উঠেছে এবং একদিন তারা শান্তি, ভ্রাতৃত্ব ও স্বাধীনতার সমাজ গড়ে তুলবে।
প্রথম স্তবক:
“জেগেছে জাতি, আনতে সুদিন, জেগেছে মুক্তির তরে, অত্যাচারের শৃঙ্খল ভেঙে দাঁড়ায় দৃপ্ত ভরে।”
👉 কবি বলছেন—অত্যাচার, শোষণ ও দুঃশাসনের শৃঙ্খল ভেঙে জাতি আজ জেগে উঠেছে। তারা নতুন দিনের, মুক্তির সুদিনের প্রত্যাশায় দৃপ্ত ভঙ্গিতে দাঁড়িয়েছে।
দ্বিতীয় স্তবক:
“জেগেছে জাতি, সত্যের ডাকে, মিথ্যার বিরুদ্ধে সংগ্রাম, আত্মত্যাগে গড়বে আগামী, তাই করে যায় পরিশ্রম।”
👉 জাতি এখন সত্যের পথে। মিথ্যার বিরুদ্ধে তারা সংগ্রামে নেমেছে। নিজেদের আত্মত্যাগ ও শ্রমের মাধ্যমেই তারা এক সুন্দর আগামীর ভিত্তি গড়ে তুলবে।
তৃতীয় স্তবক:
“জেগেছে জাতি, হাতে হাত রেখে, গড়ছে ভ্রাতৃত্বের বন্ধন, সোনার স্বদেশ উঠবে জেগে, ফুটবে মিলনের মিলন।”
👉 একতা ও ভ্রাতৃত্বের হাত ধরে জাতি একত্রিত হচ্ছে। এর ফলে একটি সোনার স্বদেশ গড়ে উঠবে, যেখানে মিলন ও শান্তির ফুল ফুটবে।
চতুর্থ স্তবক:
“জেগেছে জাতি, অদম্য শপথ, ন্যায় যেখানে সাথি, শান্তির স্বপ্ন হবে পূর্ণ, আমরাই গড়বো খ্যাতি।।
👉 জাতির শপথ—ন্যায় হবে তাদের সাথি। এই শপথই পূর্ণ করবে শান্তির স্বপ্ন, আর তার মাধ্যমেই জাতি বিশ্বে খ্যাতি অর্জন করবে।
---
👉 সারকথা: কবিতাটি একটি প্রতিবাদী ও প্রেরণামূলক আহ্বান—অত্যাচারের শৃঙ্খল ভেঙে সত্য, ন্যায়, ভ্রাতৃত্ব ও শান্তির স্বপ্নে জাতির নতুন জাগরণ।